অপেক্ষায় আছি
(১)
অধিক মদ্যপানে সে অচঞ্চল স্থির। বরং কম মদ্যপানে তার শুরু হয় মাতলামি। তখন মদের নেশায় সে তার ছেলেকে মনে করে বাবা আর মেয়েকে মা। বৌকে মনে হয় শাশুড়ি আর শাশুড়িকে নেহাৎই বাল্যখিল্য চপলাকুমারী। যদিও চপলতা আদৌ ছিল না তার প্রতিদিনের যাপনে। চপলার সাথেও ছিল না কোনো তাপ বিনিময়ের খেলা। তবুও কেন যে সাগর উথলে ওঠে মধ্যদুপুরে! নদীতে ধেয়ে আসে ষাঁড়াষাড়ি বান! ভেসে যায় নির্দ্ধিধায় সেয়ানা চাতাল! ফুঁসে ওঠে দুরন্ত ফুটবল, ফুটবলের ছাল! কতটা মদ্যপানে কতটা মাতাল, অঙ্ক কষে যদিও মাপা হয়নি তার পরিমান, তবে রাত্রি গভীর থেকে গভীরতর হলে নগ্ন হয় রাতের বাথান।
অপেক্ষায় আছি। অপেক্ষায় আছে এক রূপালী সকাল।
(২)
এতক্ষণ কৃষিকাজের আলোচনার পর আমরা আলোচনা করতেই পারি শিল্প সম্পর্কে। শিল্প অর্থে ভারীশিল্প, মাঝারিশিল্প, হালকাশিল্প। আবার প্রাসঙ্গিক আলোচনায় আসতেই পারে হস্তশিল্প, পদশিল্প, চক্ষুশিল্প বা হৃদয়শিল্পের কথাও। যার শিল্প যত নিপুণ তার ততই মান। তাকে অনায়াসেই দেওয়া যেতে পারে দক্ষ শিল্পীর সম্মান। আর হাতে যদি কিছুটা সময় থাকে তাহলে আমরা অবশ্যই সেরে নিতে পারি কিছুটা সংস্কৃতির কথাও। মানে সংস্কৃতি, সুসংস্কৃতি, অপসংস্কৃতি। এছাড়াও আছে লৌকিক সংস্কৃতি, অলৌকিক সংস্কৃতি, পারলৌকিক সংস্কৃতি। এবং অতঃপর আমরা অনুপ্রবেশ করতেই পারি সঙ্গীতচর্চায়। আসলে আলোচনাটা নিরন্তর চালিয়ে যাওয়া দরকার। আর এভাবেই আলোচনা থেকে সমালোচনা, সমালোচনা থেকে পর্যালোচনা, পর্যালোচনা থেকে...
অপেক্ষায় আছি। অপেক্ষায় আছে এক সোনালি দুপুর।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন