কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / প্রথম সংখ্যা / ১২৮

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / প্রথম সংখ্যা / ১২৮

বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০১৭

বেবী সাউ

প্রত্যাখান  


(১)


তেইশটা বছরের খননকার্য কি সহজে শেষ হয়!  
অথচ, কী ক্লান্তিহীন মননে খুঁড়ছ খুঁড়ছ আর খুঁড়ছ

জল নেই, কৃষিকার্য হয় না সেভাবে
মাটি উর্বর নয় বলে ঝিমিয়ে পড়ছে অগোছালো জরায়ু
ভাবছ, কৃত্রিম নদী এনে ভেজাবে সর্বস্ব
ভাবছ, এই সায়েন্টিফিক আর্টকে কাজে লাগানো কীভাবে যায়!

ততক্ষণে, আমি পুরনো পশমের কাপড় মেলে ধরেছি ভাদ্র রোদে  


(২)


যাক গেবললেই সবকিছু যেতে দেওয়া যায় না
আরো গভীর হচ্ছে এই বসবাস
নিবিড় ভাবে ঢুকে পড়ছে ওইসব কথাঘর
তুমি ছুটছো আই হসপিটাল
হায়দ্রাবাদের নিজাম কন্যা সখ্যতার অফার পাঠিয়েছে
তোমার হারিয়ে ফেলা আইডি তে
চক্কর কাটছি আমি
এই কাঁকরের দেশ জুড়ে কী অপরিচিত দৃশ্যান্তর!
কী নিদারুণ একলা-পন!

ভাবছি, এবারই শেষ
পাল্টে ফেলব আমারও চশমার লেন্স


(৩)


দৃঢ় অথচ নিপুণতার পরিচয় চেয়েছ বার বার
তার জন্য শোনানো -- তাতে আর আশ্চর্য হই না

বরং, প্রত্যেকবার নিজেকে নিগড়ে রোদ মেলে ধরেছি
স্কোয়ার ফুট জীবনে

ছুটছে তোমার ডি এম ডব্লিউ
ছায়ায় হেসে উঠছে পরীর স্ট্যাচু 
লনের পুলে থইথই ফুটে উঠছে বিদেশী লিলি

এসবের পরে, আমাতে তোমাতে বাদ দিয়ে যে অবসর
গোপনে  বালিশের খাঁজে চোখের পালক
বাড়ছে


(৪)


অজ্ঞাত মহাজাগতিক কারণে বিষিয়ে উঠছে প্রাণ
লোধাশুলি জঙ্গলের ভয় ঝুলছে
আমাদের মুক্তির জানালায়  
কতদিন আগে মরে যাওয়া কবুতরে কিলবিলিয়ে হাঁটছে
পিঁপড়ের পা, শনি চালিশা
তোমার আধভেজানো দরজায় স্পষ্ট অন্য নারীর স্তন
কৃত্রিম প্রজনন ঘিরে যে উন্মাদনা ফ্রিজ চুপ আছে, শুক্র কীট নড়ছে

আর কাজ না পেয়ে,
ফেলে দেওয়া জরায়ু কুড়িয়ে গাছ লাগাচ্ছি অন্ধ বাগানে আমি, একা


(৫)  


কত আর মেলবো বল!
সমস্ত শিকড় - সঙ্গমে আজ রক্ত উঠে আসছে
শালপাতায় খসখসে পায়ের শব্দ
দলমায় জল নেই বলে, আশ্চর্য ভাবে,
লোকালয় ভরে যাচ্ছে হাতির শুঁড়ে

সমস্ত সাদা বিছানায় গাঢ় হচ্ছে বারুদ - ব্যান্ডেজের গন্ধ
মশারীতে শোষকের চোখ

চিলেকোঠায় লুকানো পৃথিবীর শেষতম অমূল্য সম্পদ
নিয়ে ভয়ে কাঁপছি


দরজায় ঝকঝক করছে ব্রুটাসের ছুরি

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন