ক্যাপশনে সভ্যতা
(১)
পর্দাতে নক্সা এঁকে
আয়নাতে ঝুলিয়ে
বেতারতরঙ্গ ছুঁড়ে পাখি হয়ে উঠে
বেড়াল
ময়নার সঙ্গে আবৃত্তি করে রান্নাশাল...
জানালার পাশে
আকাশ দেখা শিশুটি আঁশের মতো ছড়িয়ে পড়ে
পকেট-কাটা কয়েনেরা যেমন-
ড্রয়িং খাতার ফড়িংয়েরা
রক্তমাখা মানসিকের বাতাসা কুড়োতে কুড়োতে
দেখে যজ্ঞেতে পুড়ছে চিরুণি,
পাশে ল্যান্ট সকাল।
(২)
অ্যাকোরিয়ামের ভিতরে ঘড়িটা রেখে
কানেতে গোঁজে হেডফোন
চোখ বুজলেই
পাখনা মেলে কোকিল ওড়ে,
কলতলায় পোড়া হাঁড়ির পিছনে ঝরে পড়ে
রঙীন পালক...
মৃতপাখিটিকে চাবির রিংয়ে গলিয়ে
গাড়ি স্টার্ট দেয় প্রেমিক,
প্রেমিকা লুকিং-গ্লাসে দেখে নাক
কতটা মানিয়েছে নোলক।
(৩)
ধর্ষিতা শিশুকে
যীশুর মতো দেয়ালে গাঁথতে গাঁথতে
পেরেকের গর্ভ থেকে জন্মায় ফুল-পাতার নক্সা...
লতার মতো
সাপটা মুখের সামনে ঝুলে
আর কবি কবিতাপাঠ করে...
(৪)
লোডশেডিং।
মোমবাতি না-জ্বেলে পৃথিবীকে ছুঁড়ছে দেয়ালে
লাল-নীল-সবুজ আলো জ্বেলে বলের ভিতরে মাছেরা খেলা করে...
আমতেলের বয়ানের পাশে বসে
মাংসে মুড়ি চটকে
ফেসবুকে ঢেঁকুর ওঠে
“পাশ-ফেলে আমিও জেলে!”
(৫)
চটের সামনে উলের ফুল
চটের পিছনে গিঁট আর ছেঁড়া ছেঁড়া রুল-
রুলেতে মেপে ছিট কেটে
সেলাইয়েরা
আসন মিলতেই কুটুমেরা চুমকি হয়
শাড়িজুড়ে...
পোড়া তাওয়ার উপরে রুটি যেমন
গায়েতে মাখে কালোবসন্ত
যুবতী হয়ে ওঠে মাশুল...
তোমার লেখা প্রতিটি শব্দ শৈল্পিক
উত্তরমুছুনভালোবাসা
উত্তরমুছুন