দ্বিধান্বিত
আগুন এবং স্বর্ণবিভ্রমের দোদুল্যমানতায়
পার হচ্ছি এক আজব ধ্রুপদ মহাকাল।
প্রতিটি আগুন আমি সোনা ভেবে স্পর্শ করেছি
আর হাতের দগদগে ক্ষত লুকিয়েছি গোলাপমোড়কে।
দ্বিধা;
হাপরের কঠিন তাপতরঙ্গে পুড়ছে যে ধাতুভাগ
হাপরের কঠিন তাপতরঙ্গে পুড়ছে যে ধাতুভাগ
সে কী
স্বর্ণপিন্ড হবে? না কী লৌহজঞ্জাল?
যাত্রা
কেন এমন ঝাপসা হয়ে আসে চোখ?
হয়তো চশমার কাচে কিছু জমেছে কুয়াশা।
ঠাসবুনটে রুকস্যাক ভরা জিনিসপত্র।
অসাবধানে কোথাও কিছু কী পড়ে রইলো?
যাত্রা তো নিশ্চিত ছিল। প্রস্তুতিও।
একা একজন
প্রবল বর্ষণের ভেতরে হেঁটে যাচ্ছে
ঝড়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে
একজন একা মানুষ।
সারারাতের জন্য
এই ঝড়জল
এই দুর্ভোগ।
রাত শেষ না হলে খুলবে না
ভোরের আগে খুলবে না
পান্থশালার দোর।
অপরিচিত
আবার দু’জন মুখোমুখি;
তাদের মাঝখানে
অপরিচয়ের প্রগাঢ় ছায়া
ঝালরের মতো দুলে থাকে।
আকস্মিক স্মৃতির ঝাপটায়
তৈরি দৃশ্যপট
সে কেবল একটা দেজাভ্যু।
শুধু একটা কথাই সত্যি বলে মনে হয়;
স্পর্শের ভাঁজে ছিলো তীব্র আগুন।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন