একজন... দুজন... তিনজন...
একজন, দুজন, তিনজন মানুষ। মেলার ভিতর হাঁটছে। মেলাও হাঁটছে ওদের ভিতর। লাল, নীল, হলুদের বাহারি
বেলুন। পেরিয়ে যাচ্ছে হৃদপিন্ড, ফুসফুস, ধমনীর সজাগ উচ্ছ্বাস। পেরিয়ে যাচ্ছে খানাখন্দ অথবা অতিমাত্রায় রেডিও অ্যাকটিভিটি। ওরা জানতো পেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্ত থেকেই গুণতি শুরু। কেউ কাছে থাকার জন্য কাছে আসে না। শুধু একে অপরকে পেরিয়ে যেতে
যেতে আচমকাই দেখে ফেলে দিনান্তের আভা। অলৌকিক অতীব নেশার খামে ভরা। ওরা এও জানতো প্রান্তরের উদারতাই শেষ কথা নয়। পাখিদের ডানার ভিতর লুকোনো মেঘও চুপিচুপি ঢেকে রাখে। এসব নিছকই গল্প। ওরা একদিন ঠিকই ভুলে যাবে মাথা
থেকে পা পর্যন্ত ঘাসের গন্ধ। ভুলে যাবে সময়কে খুন করতে চেয়েছিল
একদিন। নিঁখুত, পরিণত। যাতে কেউ কোনোদিন বলতে না পারে সময় আসলে চায়নি বলেই পাতে তুলে দেওয়া গেল না কলমীর
ঝোল।
এখানে শুধু বিফল ঋতুকাল
শান্ত, শুষ্ক ভগ্নবুক বৈতালিক
শিষ
ফাঁকা হাওয়ার মতো ঘুরে ঘুরে
উড়ে চলে...
লিপিকা
এখানে একদিন সব যুদ্ধ শেষে ফুটে উঠবে অম্লান চারা।
প্রেমিকের স্নেহ সিঞ্চনে প্রেমিকার বেণীতে শোভা পাবে জাদুতন্ময়তা। অথবা একনিষ্ঠ
স্পর্শ জাগিয়ে তুলবে উন্মাদ। জারুল গাছটা চুপচাপ ভাসিয়ে দেবে জন্মফুল। মেঘের নৌকোয়
ঠিক তখনি অমরাবতীর কোনো যুবতী যক্ষিণী সেই ফুলে গেঁথে তুলবে চন্দ্রহার। মেঘলোক থেকে পাঠিয়ে দেবে পৃথিবীর সেই প্রেমিকের
জন্য যার হাতের রেখায় মিলে গেছে চাঁদের অবয়ব।
তুমি তৈরী থেকো আগামী বর্ষা উৎসবের জন্য।
আবহমান
হাত বাড়ালেই বন্ধু
ভেবেছি যেই তাকে
সব ডুবেছে নিরুচ্চারের প্রবল দুর্বিপাকে
এত কথা গিজগিজ করে আশেপাশে তবু তরঙ্গ তোলে কই? কোথায় সেই
সম্পূর্ণ জীবতকাল যেখানে শব্দের সাথে শব্দের ঘর্ষণে জেগে ওঠে অনাবিল ভূমি? আয়ু লিখে রাখে
আয়ুর গর্বিত বাণী? মাটির কথা,
মায়ার কথা, হৃদয়ের কথা ভিন্ন আর সবই নগ্ননি:স্ব। সময়ের শুরু যদি হয় তাকে ঐশ্বর্যময়
সমাপ্তিও দিতে হয় একদিন। এত মুখরতা, এত কোলাহল, এত এত অচেতন
প্রশ্রয়ে কিছুটা সবুজ শ্বাস ছেড়ে দাও হে ফুসফুস।
কিছুটা,লুকনো থাক
শান্ত বিশালত্বে। আমরা বুকের ভিতর সেই বিপুল আয়োজন নিয়ে বাঁচি। পা ভিজিয়ে চলি
সামুদ্রিক উল্লাসে। যার সবটুকুই আসলে আহুতি।
নৈ:শব্দের। ঝড় আসুক। উড়ে যাক ধুলোবালিঘর। উড়ে যাক এত আমি। এত তুমি। এত সে ও
তারা। আকাশের যত নিরূপায় স্তর। শব্দহীন
হোক আমাদের স্বর। যাতে নিরুপদ্রব ভেসে বেড়াতে পারে বিস্মিত প্রহর।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন