বকুল ঠাকুর
(১)
পরপর তিনদিন চিঠি এলো। সুর করা চিঠি। মেয়েলি ছাঁদের কন্ঠ...
খাদের ধৈবতে
এসমস্ত গান শুনলে মনে হয় সমুদ্র পেরোতে গিয়ে নুনজল ঢুকে যাচ্ছে কোনো ছিদ্র দিয়ে। হু হু হাওয়া... গাংচিল... মরা-ভাঙা ঝিনুকের দাগ
আর্তনাদ জমে উঠছে গাঢ় শাদা মুক্তোর আকারে
আমি বোবা। তবু শব্দ ভালোবাসি। তারা ভালোবাসি। দেখো,
এ মেঘের রাতে কাঠের সিন্দুকে ভরে ভাসিয়ে দিয়েছ বলে অভিযোগ নেই। চাবির শরীর বেয়ে সমুদ্রের পিয়নেরা রাতভোর আছড়ে পড়েছে
এখন এ ঝড় থামে যে গান শোনালে
সে গান কি ভুলে গেলে বকুল ঠাকুর?
(২)
কোনো বৃষ্টিপাতই স্থায়ী নয়
মেঘ কেটে যায়। ফের রোদ ওঠে আমার শহরে
যেটুকু নেতিবাচক পুরুষস্বভাব নিয়ে
ভেবেছি তা মিথ্যে করে খুঁজে পাই প্রেমিকের সুর
কে বলে শরৎ শেষ? কাশের শরীর নিয়ে
এ শহরে জেগে থেকো বকুল ঠাকুর।
(৩)
নিরালম্ব ঈশ্বরের দিকে চলে গেছো...
দেবগৃহ নেই আর।
তোমাকে ভাবতে বসে মনে পড়ে অন্য কারো মুখ
রোদ্দুরের তেজ বাড়ে। আমি ভয় পাই
যদি পুড়ে যায় প্রেম! কিশোরীবয়স!
বিশ্বাসঘাতিনী বলে তবে কি কুপিত হবে?
অভিশাপ দেবে?
বল, বকুল-ঠাকুর!
ভাল লাগল, তৃতীয় টি বেশি।এককথায় কবিতা মনে না হয়ে, আত্মকথা মনে হল বলেই, বেশি ভাল লাগল।
উত্তরমুছুন