কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শনিবার, ২২ জুলাই, ২০১৭

দীপঙ্কর লাল ঝা

ইশতেহার


এই তাঁতফাটা রোদে কে নেবে চোখের ইশতেহার?
গুটগুট জলে ভাঙছে মুরগির ফ্যাটফ্যাট
কুকুরের মতো শাড়ি শুঁকে আসি  
শাড়ি কাঠ হয়ে আসে
নাক থেতলে বানিয়েছো, তারপর
ছুঁয়েছো বালিশের নখে
পালিশ
তাতে হয়েছেটা কী
এখানে
ছাঁদ ভাঙে গাছেদের মাথা
দরদী, ভাঙা মাথা বৃদ্ধে চেপে
দিনরাত আবিষ্কার করি,
আকাশ আঁৎকে উঠলে  আমার ভেতরের স্প্রিং ছুঁতে চায়

সখি, গ্রীবা থেকে উড়িয়ে দাও চুল
কোন বারণে?


সভ্যতা


সারাদিন বারান্দা মেপে মেপে হৃৎপিণ্ডে ঝাড়ু দিচ্ছে একজন  
আর বুকের উপর থেকে শিশুর খেলার বল গড়িয়ে পড়ছে
জামা কাপড় টাঙিয়ে রাখা নতুন কিছু নয় শহরে
কেউ কেউ গঙ্গা ফড়িংএর মতো
একটা বিকেল এনে দেয় আলনায়
এই আস্ত বিকেল নিয়ে যারা চিন্তা করছে, কী করবো ?
তারা হালকা করে দোলনায় ঝুলে পড়ুক
আর ধেউ করে পায়রা উড়ে যাক
পায়রার কথা মনে পড়লেই
নগেন বুড়োর কথা মনে পড়ে
কঙ্কাল কোনোদিন বুকে পায়রা পুষতে পারেনি
এই ধরুন যেমন এই মানুষগুলো বেখেয়ালে হেঁটে চলে যাচ্ছে
এইসব নিয়ে গোধূলি সেলাই করে একটা নৌকা
যদি ওপারে কারো ঘর ডুবে যায়
তাহলে কেউ জানালা খোঁজে না
ডুবে যাওয়া একটা সভ্যতা
যেখানে চোখ বন্ধ রাখাই ভালো


আঁশ


পাখি ধরে রাখো অথবা ছেড়ে দাও
আঙুল জুড়ে শুধু যে খাঁচাই হয়
সে তোমরা না জেনেই
অন্ধকারে
নদীতে মাছ ধরতে যাও
সব কিছুই পূর্ণিমা ভেবে দেখো
আর চাঁদে ঝোল লেগে থাকে
এই যেমন ঘর থেকে বেরিয়ে আসছে বুড়ো
কাশতে কাশতে নিজের চারদিকে
যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে রাখে
তাতে আশেপাশের কুকুরদের ঘুম পায়
রাস্তা নেশায় টলতে টলতে যখন বাড়ি ফেরে
স্ট্রিটলাইট বকাঝকা করে
আমরা এমন একটা আলুক্ষেতে যাচ্ছি  
যার পাশ দিয়ে খগেন হাড়িয়া মেরে নদীতে স্নান করে
আর চাঁদ ঘেমে ওঠে
গা থেকে নক্ষত্র ঝাড়ে খগেনের চুল




0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন