অন্তর্বর্তী
এক বোধের দরোজায় কড়া নাড়ি
প্রশ্নের বাইরেও
অনেক প্রশ্ন থাকে
উত্তরের বাইরেও
অনেক উত্তর
যে পথে হেঁটে
যাই সে অনেক পথ
যে পথে হাঁটি
না সেও অনেক পথ
নিজেকে মেপে
মেপে দেখি সারারাত
কিছুতেই মেলে
নাকো মাপ
সংকল্প কিছু নেই,
মাটির পুতুল দাঁড়িয়ে আছি
একটি শুধু অস্থির
মন রঙ মাখে
রঙ ধুয়ে দেয়
কান্নার জল
সুখ ও অসুখের
বৃত্তে নামে রঙধনু
সূর্য ছড়ায়
রোদের সাতরঙ
অন্ধকারে নিজেকে
হাতড়াই
অন্ধকারে নিজেকে
ডাকতে থাকি
ডেকে ডেকে হেঁটে
যাই পথ
প্রিমিটিভ
কিছুই সাজিয়ে রাখিনি
মেধাও ঢাকিনি মাথার চুলে
দিনকে করিনি আড়াল
জীবনের বিকেলে
নুন আনতে পান্তাও ফুরাইনি
দহন এসেছে বলে কুয়োও খুঁড়িনি
তোমার বিছানা থেকে পা রেখেছি দূরে
নিজের গান গাইনি কারও সুরে
অযথা সমুদ্রে গিয়ে ডুবেও মরিনি
নিভে গেছে একলা প্রদীপ বলে
কেরোসিন চাইনি তোমাকে
অন্ধকারে ডুবে থেকে থেকে
আজ আমি হয়ে গেছি আঁধারের ছেলে
নীল ভাস্কর
দুর্বলতা মরচে পড়া ঘুম
না এলেও আসে, এলেও আসে না
আলোতে পরাহত বস্তুত নিঃঝুম
অশোকবনের কোনও নারী
নিবেদিত জলে গোপন আকাঙ্ক্ষার ঢেউ ফেলে গেছে
স্পন্দনে কেঁপে ওঠে হাত, নীল জল
আবার কদম ফুটে ওঠে
ছায়া পড়ে মুগ্ধ
মনোরম
স্নেহের আবরণ খুলে দেখি
সমীহ পবন যায় আসে
অথবা দুরন্ত জটিল কোনও সর্বনাম
লিখতে থাকে যা
কিছু লেখার স্বয়ংক্রিয়
অথবা লেখে না
রোদ্দুর ও জলে মেলে দেয় দেহ
দেহে দেহে পর্যাপ্ত কাম
বাহ--বেশ লেগেছে--শেষেরটি আরও বেশ--
উত্তরমুছুনবাহ্ । কবি শুভেচ্ছা
উত্তরমুছুনবরাবরের মতো,চমৎকার।
উত্তরমুছুন