কবিতার
কাছে একা
কেউ
পড়ে না, তবুও লিখে চলা শব্দের মতোই
এ
জীবন বহমান।
অছিলায়
মেঠো চাঁদের রাতগুলো যখন
দোতারা’র
সুরে সুরে ফেনা ভাঙতে থাকে,
ঘোলাজলের
গভীরতা পেরিয়ে
আর
কি-ই বা রয়ে যায় বাঁচার মতো!
অথচ,
সে বিশাল মঞ্চ দৃশ্যহীন হয়ে গেলেও
রয়ে
যায় দর্শক এক বিমুগ্ধ।
স্ট্যালিনগ্রাড্
কখনো রক্তনগরীর দখল নেয় ধূসর জীবাণুরা,
মুহুর্মুহু আক্রমণ তীব্র আগ্রাসনে
ধ্বসে যায় সমস্ত প্রাকার—প্রাসাদ সব;
নির্বিকার লুটিয়ে পড়া হাজার কোষ
আর গাছে গাছে বসন্ত শেষ হওয়ার রাতে
ঘুরে দাঁড়াও হৃদয় শেষবার!
ক্রুদ্ধ ঈশ্বরের মৃত্যুতে লেখা হোক
আরো এক স্ট্যালিনগ্রাডের জন্ম,
আরো এক রক্তনগরীর জন্ম।
ভেষজ রাত
বিস্মৃতপ্রায় কোনো সমুদ্রের তলপেট থেকে
উদ্ধার হওয়া এক ধাতব বুদ্ধমূর্তি,
তা থেকে জলজ শ্যাওলা-আগাছা সরিয়ে
চীনা কিশোরটি প্রয়োগ করেছিল
প্রাণ ফিরিয়ে তোলার এক গূঢ় পদ্ধতি;
সিন্যামন্, প্রাচীন
কর্পূর আর স্বপ্নের দ্রবণে
তিনরাত ডুবিয়ে রাখার পর
ভেষজ-নির্যাসরাঙা পঞ্চম রাতে
জন্ম নিয়েছিল এক অপরূপ যুবতী!
আর আলো ফোটার আগেই মৃত্যু—
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন