অস্তিত্ব
সর্পিল অস্তিত্ব স্থূল হঠকারী নয়-
সূচকসমগ্র নিবিড় তার মৌলিক আর্তনাদে মরণ সংকোচে
তন্তু ছিঁড়ে ঊণমূল্যে আমিও দেখেছি প্রেষণা কেমন
যখন প্রতীক সর্বস্ব চেতনায় ঢুকছি
বিকিয়ে দিচ্ছি নিজেকে
তখনও শেষমেশ অস্তিত্ব এসে যায়
আমাদের চোখ যেমন বর্ণিল তেমন পরীক্ষাক্ষেত্র
কেন্দ্রাপসারী তাপ একাধিক ভাসিয়ে নিচ্ছে উপকূল
আর উপগলিতে বসে বালুকা নির্দয়
আমাকে বলছে প্রাণ দাও
সুড়ঙ্গ ব্রততী আমি সাপের মতো চলি হেতু বাস্তুসংস্থান।
ঘাসফুল
তুমি এলে ধীর, তুল্যরূপ আবেশিত জাদুকর
বাদ্যকর মৃদুনাদে তরঙ্গ ফুঁসছে শূন্যময়
সারশূন্য আমি, তুমি তুলনাবিহীন সিঞ্চিত
আমার অবস্থান শুধুই লয় ক্ষয় প্রস্থান
একাগ্রতা তাকাবার নেই, খণ্ড হৃদয় মুড়া
পথপার্শ্বে আছি পাপড়ি সমেত প্রত্যাশিত
সুকোমল পড়ে তার বিবিধ ঝংকার, লীন
তবু নিগ্রহ শেষে যেন সুরে জাগতে পারি
দিতে পারি কিছু তার, তোমাকে আমার
শিশির ধোয়া বুদবুদ হৃদয় উজাড় করা।
ছায়াপথ
অদ্ভুত তোমার রূপ বিলোল কটাক্ষ ছায়াপথ ধরে যাচ্ছে সরে
অরূপ বুঝিনি অবহেলা নয় কখনো এই নিমিত্ত সুনসান প্রহরে।
ফুঁসছে তন্দ্রা ধ্রুবলোক থেকে প্রবসিত উপকূলবর্তী ছড়ানো উদ্যানে
জানি অভিকর্ষ এক অনুভূমিক তোমাকে ছুঁয়েছে সহজ প্রাণে।
এই যন্ত্র স্থিতিস্থাপক প্রেরণার দোলা বলছে নিরেট অঙ্কপাতনে
আবৃত্ত নয় শুদ্ধসংখ্যা ক্ষণ অগণন যত প্রেম নির্ণয় অনির্ণেয় মনে।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন