কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ২৩ মে, ২০১৬

তাপসকিরণ রায়

বনবাস

কখনও বনবাসে মন যেতে চায়-
ঘরছাড়া মনটাকে হারিয়ে আবার খুঁজতে চাই।
স্বপ্নের ঘর, সেখানেও বন্দী হাঁপ!
মনের কুঠুরিও দেখো বন্দিশালা,
কখনও মনে হয় শ্রাবণ বৃষ্টিতে খুব করে ভিজি- 
দুহাত ছড়িয়ে দিয়ে খোলা আকাশের নিচে নেচে উঠি। 
অসুখের ভয়ে বৃষ্টি দেখা ছেড়েছি,
তবু কোনো একদিন ঝাঁপ দিই জলে,  
সাঁতার তো আমিও জানতাম!

  
গুমোট

মেঘলা আকাশটাও গুমোট
হাওয়ার বহাও চাই, শ্বাসে যে জীবন আছে। 
জীবনের কথা ভাবতে হয় না- সময় তার হিসাব রাখে 
তবে কেন অযথা প্রসঙ্গ টেনে সুখ দুঃখে নেমে আসা!
আসলে কি তোমার চাওয়া তুমি জান না,
তুমি অথবা ঈপ্সিত বস্তু যা পেলে সেখানেই তার শেষ। 
নাড়াচাড়ার পর অবসাদগ্রস্ততা আসে,
আবার নোনাফল, টকমিষ্টি ঝাল জিভে নিলে-
টাস টাস তালু ও জিহ্বায় বাড়ি খেলে 

পাবার খানিক পরে আবার তুমি ঝুঁকে যাও,
উদরের ওজন দেখো না তুমি 
এক বন্দিশালা আমাদের পাঁজরবন্ধ ঠিকানায় ধরা আছে। 
উদাস হাওয়া এলে মনটাকে এলিয়ে দিই
লোনাজল সমুদ্রকে জীবন থেকে সরিয়ে দেয়। 
তবুও বেলুন ড়ানো উচ্ছ্বাসে হাত নাড়ি
গুমোট ভাব কখন ছুটে গেছে জানতে পার না তুমি।


বন্দিশালা

নিজের ঘর কখনও বন্দিশালা
কখনও আপন জনকেও পর বলে মনে হয়!
অনেক দিনের আঁটা খোপের বাইরের পৃথিবীটাকে দেখতে চাই। 
লুকোচুরি খেলি, চোর সাজার কথা কখনও মনে বাজে
যখন তোমাকে মনে পড়ে যায়!

প্রখর রোদ্দুরে বুঝি তৃষিত আমরা,
আলো তোমাকে চেনায়, আঁধার ভাবায়,
মন্দবুদ্ধিগুলি ক্রমশ খুলতে থাকে,
অপরাধে ছুঁয়ে দিতে চাই তোমায়!
দিবালোকে নিজেকে চিনতে পারার গোছগাছ ভদ্রতা- 
পলিশ করার মতো একটা অবসর থেকে যায় 
চাইলে রাতের বোধগুলি দিন শুদ্ধ করে নিতে পারে 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন