কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / প্রথম সংখ্যা / ১২৮

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / প্রথম সংখ্যা / ১২৮

সোমবার, ২৩ মে, ২০১৬

কাজী জহিরুল ইসলাম

আগুন দেখোনি

তুমি আমার জল দেখেছো আগুন দেখোনি
অশ্রু দিয়ে পত্র লেখো রক্তে লেখোনি
জলের নিচে জ্বলে আগুন দ্বিগুণ অভিমানে
এমন অভিমানের কথা রাত্রি শুধু জানে
অন্ধকারে জমাট বাঁধে পুরনো যন্ত্রণা
মাথার ভেতর ফুসে ওঠে কালনাগিনীর ফণা
ফণার বিষে আমি তো নীল, তুমি নীলের দাস
শূন্য নীলে শয্যা পাতি, শূন্যে বসবাস।

আমি কি আর বেঁচে আছি, এই কি বেঁচে থাকা?
হাঁটা–চলা সবই যে আজ মৃত্যু দিয়ে ঢাকা
তবু আমার কফিন থেকে অনেক দূরে থেকো
কফিন ভেঙে জাগতে পারে পশু, মানুষখেকো
আমার ভেতর পশু আছে এক-দুটো নয়, হাজার
পশু কি আর বোঝে নাকি গণতন্ত্রের মাজার

জল দেখেছো তুমি আমার দেখোনি তো আগুন
কখন যে হায় ছড়িয়ে যাবে শত সহস্র গুণ।
বুকের ভেতর জল থৈ থৈ বিস্ফোরণের নদী
ভাসিয়ে দেবে পুড়িয়ে দেবে বাঁধ ভেঙে যায় যদি।


প্লাবিত ক্ষয়িষ্ণু সমতলে

অসংখ্য পায়ে পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা গাভীটির পেছনের ক্যানভাসে
একদল দ্রুতগামী মেঘের প্রস্থান, যেতে যেতে পাক দেওয়া নদীর মতো বহুরঙের ভেংচি কাটে
খানে এখনো ঝুলে আছে একগাছি স্বাস্থ্যবতী হলুদ কলার মতো সৌভাগ্যের প্রাচীন  শেকড় 
দুধের বদলে শুধু রক্ত
রক্তপ্রপাত থেকেই খরস্রোতা, দম্ভ ও সমৃদ্ধির উৎসমূল
প্লাবিত ক্ষয়িষ্ণু সমতলে পলির বদলে এখন প্লাজমা
সোনালি শস্যের বদলে জন্মেছে আগাছা, কন্টকলতা...   

কাটাঁগুল্মেরও জানা দরকার একদিন এই সমতলে ঢেউ উঠত সবুজ ফসলের
এখানেও পাখি ছিল, সুর ছিল, বৃষ্টি ছিল
মাছের অবাধ সাঁতার ছিল সাড়ে সাত’শ নদীতে।






0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন