কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ২৩ মে, ২০১৬

উমাপদ কর

ফেলে আসা পোত ও আশ্রয়
                                       
(১৫)

অনিদ্রা সঙ্গী যদি বিছানা কাতুকুতু
         হাসবে-না-র চেয়ে ফেলে-আসাগুলো  
    উজ্জ্বল হতে থাকে
         মিলিয়ে নেওয়ার মাপকাঠিটার ছায়া
      মায়াবন মায়াবন
      মিলিয়ে যাওয়ার আগে হরিণের সঙ্গে আসে
             ঝাপসা মতোন লোর  
      উল্লাস, তবু বলে উঠতেই হয়...


(১৬)

পথেও ঘাট থাকে বন্দর থাকে
       পথেও পারাপার
   কড়ি জরুরির চেয়েও
   ইচ্ছেটার দমকল ঢং ঢং বেজে যাক
      একেকটা লাইট-হাউসের মায়াবী আলো
    মরে আসার আগেই নৌকো সাজাক চলাচলের পা...


(১৭)

ফিরে-দেখা দেখতে দেখতে চোখদুটো
         তিথি ও নক্ষত্রকে লেবুজল খাওয়ায়
   নরসুন্দ নদীটি এতটা বাঁকা ছিল কিনা
             কারো কাছে আর জেনে নেওয়ার নেই
     তার ঘাটে ঘাটে পারানি নৌকোর ছই-এ
            কিছুটা সরল
        কিঞ্চিৎ চঞ্চল পাখির ঠোক্কর
     রূপ ও রূপান্তরে আজ কেমন...
                জানে না চোখের তিথি


(১৮)

মায়ার পেছনে দুটো চোখ
        আঁচল কুড়োয়
     ভর্তি হয়ে ওঠে কুঁচ আর কুঁড়ি
   হাতপাখা, আজও মাকে ডাকে
         ঘর, মা-কে
  নাই বা পেলে হদিস
        গৃহ, কবে না অস্থির...


(১৯)

একটা চোখ ফেলে রেখে এসে
   আরেকটা চোখে দেখা
   তোর কেমন লেগেছিল মা!
 ট্রাঙ্ক ভর্তি কিশোরগঞ্জ ন্যাপথলিনে মুড়ে
       কাঁকড়জোড়া কাশিমবাজারের চালে
          খটকা লাগতো দাঁতে, মা!


(২০)

রুচিতে চাঁদা মাছের টক বিছিয়ে রেখেছে যে জনপদ
       সেখানে রোজ হাঁড়িচাঁচা বেয়ে একুশটি পাত
    খেলে বেড়ানো দোলনায়
         কোনও এক ঘুমের কপালে চুমু
              পারিবারিক ছবিটির
        দীর্ঘশ্বাস লম্বা হতে হতে
     টিনের ছাপরায় চালকুমড়ো অযথা ফুল ঝরিয়ে যায়... 
     


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন