কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৪

০১) লুইস সেরনুদা



প্রতিবেশী সাহিত্য
 
লুইস সেরনুদা  (Luis Cernuda)


(স্পেনের ’২৭ এর জেনারেশনের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক লুইস সেরনুদা ১৯০২ সালে স্পেনের  সেভিইয়া-তে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পূর্বপুরুষ ফ্রান্স থেকে স্পেনে আসেন বসবাসের জন্য। সারা জীবন তিনি  প্রবন্ধ কবিতা ইত্যাদি লিখে গেছেন যা লোরকা প্রভৃতির যুগেও স্পেনের বুদ্ধিজীবী মহলে বিশেষ প্রভাব ফেলেছিল। তিনি বরাবরই সাহসী ছিলেন এবং মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো রকম চাপের কাছেই নতি স্বীকার  করেননি।। স্পেনের গৃহযুদ্ধের সূচনায় লোরকা সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তির মৃত্যু হলে  একটি বক্তৃতা দিতে  তিনি গ্রেট ব্রিটেন যান এবং মৃত্যুর আগে তিনি আর স্বদেশে ফিরতে পারেননি। 'বাতাসের প্রোফাইল' ও 'গ্রাম্য কবিতা', বিষাদসঙ্গীত,  'গীতিকাব্য' ইত্যাদি তাঁর প্রথম সাহিত্য জীবনের উজ্জ্বল কাব্যগ্রন্থ। তাঁর কবিতার  বৈশিষ্ট্য  মাচাদো, লোরকা বা আলবের্তির থেকে তাঁকে অনেকটাই অনন্য করে রেখেছে। সুররিয়ালিস্ট ধারার এই কবির সাহিত্য কীর্তির ব্যপ্তি স্পেনের সাহিত্য জগতে তাঁকে বুম পূর্ব যুগের স্মরণীয় সাহিত্যিক করে রেখেছে। ব্যক্তি জীবনেও তিনি তাঁর সমকামীতাকে কখনো লুকোননি, যদিও সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে এটি  বৈপ্লবিক  ঘোষণা বলা যেতে পারে। মেক্সিকোর রাজধানীতে প্রবাসে ১৯৬৩ সালে এই কবির মৃত্যু হয়। এখানে কবির তিনটি কবিতার বাংলা অনুবাদ মূল সহ প্রকাশ করা হলো।) 


(কবিতাগুলি বাংলায় অনুবাদ করেছেন জয়া চৌধুরী)


তোকে বলে দেবো’খন কীভাবে তুই জন্মেছিলি

তোকে বলে দেবো’খন কীভাবে তুই জন্মেছিলি, নিষিদ্ধ আনন্দের ওপরে,
ভয়ের মিনারের ওপরে কীভাবে জন্ম নেয় কামনা,
গরাদের ধমকিগুলোর ওপর, বর্ণহীন আক্রোশের ওপর,
ঘুঁষির দাপটে হতচকিত পাথর হয়ে যাওয়া রাতের ওপর,
সব কিছুর আগে গিয়ে, সবচেয়ে কঠিন বিদ্রোহটা সুদ্ধু,
দেওয়ালহীন জীবনেই কেবল মাপসই সে কামনা।

অজেয় ঢাল, বর্শা অথবা ছোরাদের,
প্রতিটিই ভালো যদি ওগুলো শরীরকে খন্ড বিখন্ড করে;
তোর ইচ্ছে হয় পান করিস ঐসব লালসার পাতাদের
কিংবা ঘুমোস সেইসব আদরভাসি জলে,
কিছু এসে যায় না;
ওরা এর মধ্যেই ঘোষণা করেছে তোর আত্মা নাকি অশুদ্ধ।

শুদ্ধতায় কিছু যায় আসে না, একটা গন্তব্যের চেয়ে উপহার টুপহারগুলো সুদ্ধ
অবিস্মরণীয় হাত নিয়ে ও এগিয়ে গিয়েছিল পাখিদের কাছে,
যৌবন থাকলেও কিছু এসে যায় না, মানুষের চেয়ে স্বপ্নসংখ্যা অধিক,
এক পতিত পলিটব্যুরো থেকে, কী মহান হাসি তার
ঝড়ের ভেতরে রেশমের তীর যেন।

বলে দেবো নিষিদ্ধ আনন্দেরা কেমন। অথবা জাগতিক গ্রহরাজি,
গ্রীষ্মের স্বাদে ভরা মর্মরের সদস্যরা কেমন,
কিংবা কীরকম সমুদ্রতলে নিষিদ্ধ স্পঞ্জের খেলা,
লোহার পুষ্পেরা, ওরা পুরুষের বুকের মতো গর্জনকারী।

অহংকারী একাকীত্ব, ভূপাতিত রাজমুকুট সব,
স্মরণীয় মুক্তিরা, বা যৌবনের চাদর;
ভাষায় ধ্বংসস্তূপ হয়ে, ঐসব ফলদের ওরা অপমান করে,
এটি রাজার মতো নিন্দনীয়, যেন এটি   
জীবনের এক টুকরো অর্জন করার জন্য পৃথিবীর
পদতলে হিঁচড়াতে হিঁচড়াতে টেনে আনা রাজার ছায়া এক।

আমি জানতাম না রাজকরের সীমানা,
জানতাম না ধাতু কিংবা কাগজের সীমারেখাও
ভাগ্য যতদিন না অত উঁচু আলোর নিচে উন্মোচন করেছিল তার চোখ,
জঘন্য সব সংকেত, ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশের ইবলিশেরা এমন কি
শূন্য বাস্তবেরাও যেখানে পৌঁছয়নি।

অতঃপর একটা হাত বাড়িয়ে ধরা
যেন নিষিদ্ধ এক পাহাড় খুঁজে ফেরা,
এক দুরাধিগম্য জঙ্গল যা কি না অস্বীকার করে
সমুদ্রকে যা কি না গিলে ফেলে বয়ঃসন্ধির বিদ্রোহ।

তথাপি যদি ক্রোধ, অপমান, অসম্মান আর মৃত্যু,
এখনো মাংসহীন উৎসুক দাঁতেরা,
তার টরেন্ট ঘূর্ণিঝড় খুলে দিতে দিতে হুমকি দেয়,
অন্য দিক থেকে তোরা, নিষিদ্ধ আনন্দেরা,
অহংকারের ব্রোঞ্জ, কিংবা ধর্ম নিন্দা যাতে কিনা কেউ অংশ নেয় না
কোনো এক হাতে তোরা তা ঝুলিয়ে রাখিস রহস্যে।
এমন এক স্বাদ যা কোনো তিক্ততাও নষ্ট করতে পারে না,
আকাশেরা, বিদ্যুৎ চমকে ভরা আকাশেরা তা ধ্বংস করে দেয়।

নিচে, অজ্ঞাত স্ট্যাচুরা,
ছায়ায় ছায়ায়, দুঃখেরা, কুয়াশার রীতিনীতি;
শক্তিপ্রদানের সময় ঝলসে ওঠে
সেইসব সুখের এক ঠাট্টা।
তার ঔজ্জ্বল্য তোদের পৃথিবী ধ্বংস করে দিতে পারে।


Diré cómo nacisteis

 
Diré cómo nacisteis, placeres prohibidos,
Como nace un deseo sobre torres de espanto,
Amenazadores barrotes, hiel descolorida,
Noche petrificada a fuerza de puños,
Ante todos, incluso el más rebelde,
Apto solamente en la vida sin muros.

Corazas infranqueables, lanzas o puñales,
Todo es bueno si deforma un cuerpo;
Tu deseo es beber esas hojas lascivas
O dormir en esa agua acariciadora.
No importa;
Ya declaran tu espíritu impuro.

No importa la pureza, los dones que un destino
Levantó hacia las aves con manos imperecederas;
No importa la juventud, sueño más que hombre,
La sonrisa tan noble, playa de seda bajo la tempestad
De un régimen caído.

Placeres prohibidos, planetas terrenales,
Miembros de mármol con sabor de estío,
Jugo de esponjas abandonadas por el mar,
Flores de hierro, resonantes como el pecho de un hombre.

Soledades altivas, coronas derribadas,
Libertades memorables, manto de juventudes;
Quien insulta esos frutos, tinieblas en la lengua,
Es vil como un rey, como sombra de rey
Arrastrándose a los pies de la tierra
Para conseguir un trozo de vida.

No sabía los límites impuestos,
Límites de metal o papel,
Ya que el azar le hizo abrir los ojos bajo una luz tan alta,
Adonde no llegan realidades vacías,
Leyes hediondas, códigos, ratas de paisajes derruidos.

Extender entonces una mano
Es hallar una montaña que prohíbe,
Un bosque impenetrable que niega,
Un mar que traga adolescentes rebeldes.

Pero si la ira, el ultraje, el oprobio y la muerte,
Ávidos dientes sin carne todavía,
Amenazan abriendo sus torrentes,
De otro lado vosotros, placeres prohibidos,
Bronce de orgullo, blasfemia que nada precipita,
Tendéis en una mano el misterio.
Sabor que ninguna amargura corrompe,
Cielos, cielos relampagueantes que aniquilan.
Abajo, estatuas anónimas,
Sombras de sombras, miseria, preceptos de niebla;
Una chispa de aquellos placeres
Brilla en la hora vengativa.
Su fulgor puede destruir vuestro mundo.



আমি ক্লান্ত
আপনার পালক আছে বলে ক্লান্ত থাকা,
তোতাপাখির মতো মজাদার গোষ্ঠী বেঁধে থাকা,
পালকেরা যেখানে তারপর থেকে কখনো ওড়েনি,
কিন্তু একটা পালকের চেয়েও বেশি ঝাপটায় যারা।

বাড়িগুলো থাকার জন্য আমি ক্লান্ত বোধ করি,
কোনো অঙ্গভঙ্গী না করেই দ্রুত ধ্বংসাবশেষের ভেতর আমার ক্লান্তি আসে;
আমি জিনিষ টিনিসগুলোর মধ্যেও ক্লান্ত বোধ করি,
একটা রেশমের চাবুকের মতো যা পিঠ থেকে ফিরে আসে।

আমি বেঁচে থাকাতে ক্লান্ত বোধ করি,
যদিও মরে যাওয়াটা আরও অনেক বেশি ক্লান্তিকর;
হাল্কা চতুর পক্ষগুলোর মধ্যে
আমি ক্লান্ত হতে ক্লান্ত বোধ করি,
সেই তোতাপাখির পালকগুলো এত দুঃখী এত পরিচিত,
সেই চিরকালের ক্লান্ত থেকে যাওয়া তোতাপাখিটি




Estoy cansado


Estar cansado tiene plumas, 
tiene plumas graciosas como un loro, 
plumas que desde luego nunca vuelan, 
mas balbucean igual que loro. 

Estoy cansado de las casas, 
prontamente en ruinas sin un gesto; 
estoy cansado de las cosas, 
con un latir de seda vueltas luego de espaldas. 

Estoy cansado de estar vivo, 
aunque más cansado sería el estar muerto; 
estoy cansado del estar cansado 
entre plumas ligeras sagazmente, 
plumas del loro aquel tan familiar o triste, 
el loro aquel del siempre estar cansado.



তীর্থযাত্রী

ফিরে আসা? ফিরে এসো যা তার আছে,
দীর্ঘ সময় পেরিয়ে, দীর্ঘ পরিভ্রমণ শেষে,
পথের ক্লান্তি আর লোভের ক্লান্তি থেকে
তোমার দেশ, তোমার বাড়ি, তোমার মিত্রজন
প্রতীক্ষমান তোমার প্রতি প্রত্যাবর্তনেও বিশ্বস্ত ভালোবাসা থেকে ফিরে এসো।

কিন্তু, তুমি? ফিরে আসা? প্রত্যাবর্তনে তুমি ভেবো না,
বরং মুক্ত হয়ে এগিয়ে যেতে থাকো,
চিরকালের মতো পলকে হাজির, যুবক কিংবা বৃদ্ধ,
প্রতীক্ষমান ইথাকাভূমিহীন এমন কি বিশ্বস্ত নারী পেনেলোপে ছাড়াও,
তোমাকে খুঁজেছে নিঃসন্তান, ইউলিসিসের মতো

গন্তব্য অনেক সহজ, তার জন্য ব্যাকুল হয়ো না
মাটির ওপর তোমার পা, আগে তো কখনো পদস্থাপনা করোনি,
তোমার চোখদুটি যাদের সামনে কখনো যে গন্তব্য দৃশ্যমান হয়নি,
এগিয়ে যাও, এগিয়ে যাও সামনে আর এসো না ফিরে,
পথের অন্ত পর্যন্ত বিশ্বস্ত থাকো তোমার জীবনে।



 Peregrino

          ¿Volver? Vuelva el que tenga,
tras largos años, tras un largo viaje,
cansancio del camino y la codicia
de su tierra, su casa, sus amigos,
del amor que al regreso fiel le espere.
          Mas ¿tú? ¿volver? Regresar no piensas,
sino seguir libre adelante,
disponible por siempre, mozo o viejo,
sin hijo que te busque, como a Ulises,
sin Ítaca que aguarde y sin Penélope.
          Sigue, sigue adelante y no regreses,
fiel hasta el fin del camino y tu vida,
no eches de menos un destino más fácil,
tus pies sobre la tierra antes no hollada,
tus ojos frente a lo antes nunca visto.



0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন