চারানা আটানা
১৬) আধুনিক কবিতা
কবিতা লেখা এমন
কিছু কঠিন ব্যাপার নয়।
কে যেন লিখে গেছেন – সবাই নাকি কবি নয়, কেউ কেউ কবি। তিনি
কবিতা লিখে জীবন থেকে কতটা আনন্দ পেয়ে গেছেন তিনিই জানেন। কিন্তু তিনি বলেছেন বলেই
যে সেটা সত্যি হবে, এমন কোনো মাথার দিব্যি নেই। পুরুষ মানুষ এখনো প্রেগন্যান্ট হতে পারে না। মুরগীর ডিম আকাশে উড়তে
পারে না পাখি বা এরোপ্লেনের মতোন। মেয়েরা রেগে গেলে সাতাশের ঘরের নামতা গড়গড় করে
বলতে পারে না। কিন্তু ইচ্ছে করলে
সবাই কবি হতে পারে, সবাই। ইচ্ছে করাটাই বড়
ব্যাপার।
তবে কিনা, একটু আধটু
টেকনিক্যাল জিনিসপত্র জানা থাকলে সুবিধে হয়।
কবিতাও তো লেপ
তোষকের মতো একটা বস্তু। নতুন বেলায় এক রকম, ব্যবহারে তার রূপ বদলে যায়। শেষে পড়ে থাকে তেলচিটে সামথিং, ফিনফিনে ওয়াড়ের
মধ্যে কিছু থকথকে তুলো। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন-চর্যাপদের যুগে যা কবিতা ছিল, বিবর্তনের মধ্যে
দিয়ে আজ তার রূপ অনেক পাল্টে গেছে। কৃত্তিবাস-কাশীরাম থেকে মধু-রবি, পরে জীবনানন্দ-বুদ্ধ-বিষ্ণু-প্রেমেন্দ্র হয়ে
সুনীল-শক্তি-জয় প্রমুখ। মহাকাব্যের যুগ পেরিয়ে ভারতবর্ষ-ভারতী-সাধনা-প্রবাসীর যুগ, পরে সবুজপত্র-কল্লোল-কৃত্তিবাস ও কত-না- জানি যুগ।
তবে এ সব ইতিহাস।
এখন এসব বইতে পড়ায়। যেটা চলছে, তা হলো দেশ- আনন্দবাজার-এইসময়-বর্তমান-আজকাল-লিটিল ম্যাগ-ফেসবুকের যুগ। এ
যুগের ধ্যান ধারণা অন্য। এর কবিতাও যে অন্য হবে, তাতে আর সন্দেহ কী!
এখন যদি কেউ ‘মহাভারতের কথা অমৃত
সমান / কাশীরাম দাস ভনে শুনে পুণ্যবান’ টাইপের কবিতা লেখে, কেউ পড়বে? পড়বে না। পড়বে না
বলেই এখনকার কবিরা জেনেরালি এসব
লেখে না।
তবে হ্যাঁ, কেউ নিতান্ত পড়তে
চাইলেও লিখতে গেলে একটু ঝামেলা আছে। কাশীবাবু মহাভারতটা পয়ারে বেঁধেছিলেন।
চোদ্দমাত্রার অক্ষরবৃত্তে। প্যার ঝুকতা নেহী, সে আমরা সবাই জানি, কিন্তু পয়ার ততটা অ-ঝোগ্য মানে ঝুকার
পক্ষে অনুপযুক্ত তো নয়! ঠিকঠাক না লাগালে এমনকি পয়ারও ‘ঝুকে’ যেতে পারে, তাতে সত্যনাশ, মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবার সমূহ সম্ভাবনা।
সুতরাং ঠিক হয়েছে, ও রাস্তায় না হাঁটাই ভালো। কী দরকার রিস্ক
নিয়ে? আবার পয়ার তো মাত্তর
একটা জিনিস, এ ছাড়াও আরো কত কী আছে – ত্রিপদী, চতুর্পদী, স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত, মুক্তক, হ্যাড্ডা-ব্যাড্ডা। পোষায়
নাকি এত কিছু জানা?
আফটার অল, হোয়াট ইজ কবিতা? চলন্তিকায় রাজশেখর
বসু লিখেছেন, কবিতা মানে পদ্য বা কাব্য (অর্থাৎ পদ্য মানে
কাব্য বা কবিতা, আর কাব্য মানে পদ্য বা কবিতা); সংসদের অভিধানে আর
একটা এক্সট্রা অর্থ আছে, শ্লোক। এ টি দেবের
অভিধানেও তাই। ডিক্শনারী যারা লিখে গেছেন, তাঁরাই যদি ঠিকঠাক বাৎলাতে না পারেন, দ্রব্যটি কী, খাওয়া আর মাথায়
দেওয়া ছাড়া আর কী কী করা সম্ভব তা দিয়ে, তবে সাধারণ মানুষ কী বুঝবে, কবিতার কাছ থেকে কী
তাদের প্রাপ্য! এই ধোঁয়াশার সুযোগ
নিয়ে কবিরা ভূতের মতোই কবিতারও ভবিষ্যত নির্মাণ করেছেন, করে চলেছেন।
বর্তমান
পরিস্থিতিতে কবিতার এই সংজ্ঞাটা খুব বেশি অমূলক হবে না – কবি যা লেখেন, তাই কবিতা।
অনুসন্ধিৎসু মন স্বভাবত জানতে চাইবে, তবে কবি কে? উত্তর খুব সহজ – যে কবিতা লেখে, সেই কবি। অর্থাৎ এ
একটা সাইক্লিক্যাল প্রসেস। যে কবিতা লেখে, সে কবি। কবি যা
লেখে, তাই কবিতা। ইনফাইনাইট লুপ। কবি এবং কবিতার মধ্যে সম্বন্ধ হচ্ছে সর্বাঙ্গিক। এই
লুপের মধ্যে যারা নেই, তারা হচ্ছে জনগণ। তাদের কেউ পাঠক বা পাঠিকা (প্লীজ, এর পর থেকে আর লিঙ্গভেদ
করছি না, বাবু মানেই ধরে নিন বিবিও), কেউ সমালোচক, কেউ বোদ্ধা, কেউ নির্বোধ, কেউ নির্বিকার।
জীবনানন্দ যে অতবড়
কথাটা বলে গেলেন, সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি, এতে এই জনগণ তো
ক্ষুব্ধ বটেই, কেননা তারা ঐ লুপলাইনে ঢুকতেই পাচ্ছে না, লুপের কেউ কেউও
প্রবল অখুশি, কেননা তারা লুপে থেকেও কলকে পাচ্ছে না। মানে
লিখছে বেশ অনেক কিছু, কিন্তু ঐ যাকে বলে, ফেসবুকের ভাষায়
লাইক পাচ্ছে না! জনগণ সন্দেহ প্রকাশ করছে, এটা কি কবিতা? যদি কেউ মেনেও নেয়, তবুও জানতে চাইছে, এটা কী কবিতা?
কেলোর কীর্তি
একেবারে!
আপনি হয়তো আবার
ভেবে বসলেন, তার মানে কি এই যে, জনগণ কবিতাটার মানে
বুঝতে পারছে না? আরে মোলো, মশাই, কবিতার মানে যদি
রাম-শ্যাম-যদু-মদু সবাই বুঝে ফেলে, তবে সেটা শক্তিশালী
কবিতা হলো? তাহলে যারা বুঝে ফেলল, তারা দু'তিনদিনের পরিশ্রমে ওদের লুপলাইনে ঢুকে পড়বে না? আর সবাই যদি লুপে ঢুকে যায়, তবে পড়বে কে?
কবির নিজের
স্বার্থেই জনগণের এক সাইজেব্ল্ পোরশানকে দূরে সরিয়ে রাখা বাঞ্ছনীয়। না হলে সবাই
কবি হতে চাইবে। বলা যায় না, হয়ে যেতেও পারে। তাহলে জীবনানন্দের প্রথম এবং
একমাত্র সূত্র ভুল বলে পরিগণিত হবে। বইমেলায় বই নয়, শুধু তেলেভাজা আর
বেনফিশ বিক্রি হবে।
তাও যে আমি সাহস
করে বলে ফেললাম, ইচ্ছে করলে সবাই কবি হতে পারে, সেটা কী করে বললাম! কেননা আমি কবিতার
দ্বিতীয় সূত্রটা স্বপ্নে পেয়েছি। হ্যাঁ, স্বপ্নেই। তাই এর কিছুটা বলছি, সব নেই!
ভালো করে মন দিয়ে
শুনুন। দেখুন, কবিতার ভাষা আর মানুষের ভাষা একই। কবিতার ভাষা বেড়ালের ভাষা বা কুকুরের ভাষা নয়।
মিউ মিউ বা ঘেউ ঘেউ লিখলে কবিতা হবে না, এমনকি আধুনিক কবিতাও। আমরা যা বলি, সেটাকেই একটু ঘুরিয়ে লিখতে হয় কবিতায়। আমরা যা
বলি, তাতে কিছু বাক্য থাকে। বাক্যের বিভিন্ন অংশ – অর্থাৎ কিনা পার্ট্স্
অফ স্পীচ। সাবজেক্ট-প্রেডিকেট। অবজেক্ট। বিশেষ্য-বিশেষণ-সর্বনাম-অব্যয়। সব আছে
কবিতায়।
তাহলে আধুনিক
কবিতায় স্পেশাল কী? স্পেশাল হচ্ছে, সাধারণ কথায় যার
সঙ্গে যা যায়, যেমন আকাশের নীল, কবিতায় ওটা একটু
অন্যরকম করে দিতে হবে, যেমন নীলের আকাশ। না, না, অন্যরকম মানে সব
জায়গায় উল্টে দিলে হবে না। রাম আর শ্যাম, কুকুর আর বেড়াল, ইস্কুল আর পড়াশোনা – এদের মধ্যে একটা যে
সাযুজ্য আছে, সেটা ভেঙে বেরিয়ে
এলেই আধুনিক কবিতা। যেমন – ধর্ম আর জিরাফ, গরু ও ষড়যন্ত্র, মনস্তত্ত্ব এবং
কুমীর।
এ তো গেল দুটো, কী বলে, বিশেষ্যের মধ্যে
সম্পর্ক। এই রকম সাবজেক্ট আর ক্রিয়ার মধ্যেও। ঘোড়া দৌড়ায়, এটা গদ্য। ঘোড়া
দ্রবীভূত হয়, এটা আধুনিক কবিতা। চাঁদ কিরণ দেয়, গদ্য। চাঁদ জেগে
মাঠ পাহারা দেয়, কবিতা। তেঁতুল খেয়ে দাঁত টকে যায়, গদ্য। স্নানের
স্পর্শে ত্বক টকে যায়, পদ্য। বোঝা গেল?
বিশেষ্য-বিশেষণেও তাই। ভালো
ছেলে-র বদলে অলিখিত ছেলে, নিশুত রাত-এর বদলে বিগলিত রাত, অসূর্যম্পশ্যা নারী-র বদলে
অসূর্যম্পশ্যা টেবিল।
এই রকম চালিয়ে
গেলেই নেমে আসবে কবিতার লাইন ঝটাঝট। প্রবল বৃষ্টির দিনে আমি মাছ কিনতে ছাতা মাথায়
বাজারে যাই – এটাকে কবিতা করতে গেলে ওদের বদলে ব্যবহার করা
যেতে পারে এই রকম কিছু – সমূহ বন্যার ফাঁকে আমি চাঁদ উড়াতে ঘাসফুল হাতে
রান্নাঘরে ঢুকি। এবার এটাকে একটু এদিক ওদিক করে মাঝখানে কেটে তিন চার লাইন করে
ফেললেই বেশ কবিতার লাইন। এই দেখুন –
চাঁদ উড়াতে আমি
ঘাসফুল হাতে
রান্নাঘরে ঢুকি,
সমূহ বন্যার ফাঁকে।
এই রকম প্র্যাকটিশ
করে যান। বাজে কথায়, বিশেষ করে নিন্দুকের কথাকে গুজব ধরে নিয়ে ওদের
কথায় কান দেবেন না। ওষুধের দোকানে গজতুলো পাওয়া যায়, কিনে আনুন এক রোল।
কানে এক খাবলা গুঁজে তার পর লিখতে থাকুন। আপনাদের সুবিধার্থে আমি একটা গোটা কবিতা
লিখে দিচ্ছি এই ছাঁদে।
মৃত্যু এবং বিছানার
উপকণ্ঠে
সাঁতরে আসার কথা
ছিল সেই দিন,
স্বপ্ন ও গোধূলির
মাঝামাঝি।
ফরেনসিক রিপোর্ট
বলে,
প্রবল বিদ্বেষে এক
ভগ্নস্তূপ উড়ে গেছে
যমুনার এ প্রান্ত
থেকে ওদের পাড়ায়।
তার নিস্পাপ ছোঁয়ায়
জেগে উঠেছে পোকা-খাওয়া রোদ।
অসহ্য শঙ্খচিল আর
শজারুর নষ্ট সৈকতে
মরূদ্যানে ঝরে গেছে
বিষ। আর তার পাশে
বেড়ার লতানে গাছে
মৃত্যু লিখে গেছে স্বরলিপি।
বড়িশাতে সরিষার তেল
দুর্লভ।
বিদ্যুৎ বিভাগের
মন্ত্রী টুইট করলেন,
রাত্রির ছোবল থেকে
বিষদাঁত ভেঙে দিতে গিয়ে
মুক্তি পেয়ে গেছে
কিছু স্নেহময়ী পাখি;
বারবেলায় উদ্ধত
অষ্টাদশী চাঁদ।
কয়েকটা কনজাংশান
একটু বেশি পড়ে গেছে বটে, একেবারে অখাদ্য লাগছে কি শুনতে? মানেটাও বোঝা
যাচ্ছে না। তবে মনে হচ্ছে যেন দুর্বিষহ কিছু একটা হয়েছে। ঠিক যে কী, তা বোঝা যাচ্ছে না, যাওয়ার কথাও না।
বুঝে গেলে কবিতা হবে কী করে!
ভাবছেন, এই লাইনগুলো আমি কী
করে নামালাম? ওয়েল, ঐ আগের ফর্মূলাতেই। মৃত্যু হচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশ, বিছানা হচ্ছে
ওড়িশা। সাঁতরে পড়াটা আদতে ছিল আছড়ে পড়া। সেই দিন হচ্ছে রবিবার। স্বপ্ন মানে সকাল
সাড়ে এগারোটা আর গোধূলি হচ্ছে বিকেল পাঁচটা।
কী বলছেন, উল্টোপাল্টা বকছি? এই যে অরিজিনালের
গোটাটাই তুলে দিলাম নিচে। সঙ্গে রেফারেন্সও।
মিলিয়ে নিন, বন্ধুগণ!
অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা ছিল রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এ দিন ঠিক সাড়ে ১১টায় ১৯০ কিলোমিটার বেগে হুদহুদ আছড়ে পড়ে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম ও শ্রীকাকুলামে। হুদহুদের কবলে পড়ে এ দিন রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। প্রবল বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়ায় বিশাখাপত্তনমে গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। অন্য দিকে, শ্রীকাকুলামে বাড়ির দেওয়াল ভেঙে মৃত্যু হয় এক জনের। ওড়িশাতেও মৃত্যু হয় দু’জনের। রাজ্যের স্পেশাল রিলিফ কমিশনার পি কে মহাপাত্র জানান, এ দিন ঝড়ের কবল থেকে মাছ ধরার নৌকা বাঁচাতে গিয়ে পুরীতে এক মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার মৃত্যু হয় এক কিশোরীর। (আনন্দবাজার – ১২/১০/২০১৪)
অর্থাৎ খবরের
কাগজের খবর আধুনিক কবিতা বানানোর এক দুর্দান্ত উপকরণ। আনন্দবাজারের শনিবারের খবরের
এক প্যারা থেকে এ রকম কবিতা বানিয়ে ফটাফট আনন্দবাজারেই পাঠিয়ে দিন, দেখবেন পরের দিন
রবিবাসরীয়তে ছাপিয়ে দিতে পারে।
ব্যাস, ফর্মূলা বলে দিয়েছি, এগজাম্পল দিয়ে
দিয়েছি। প্লীজ, এবার আপনারা খাতা পেন নিয়ে বসে যান। যেখানে যা
দেখবেন, বা দেখবেন না, তাই নিয়ে আধুনিক কবিতা লিখে ফেলুন। তার কিছু
নমুনা পাঠিয়ে দিন কাজলদার কাছেও, এই কালিমাটি অনলাইনে প্রকাশের জন্যে।
ওয়েলকাম টু দ্য
ইনফাইনাইট লুপ।
"Back to basic"- Amitava babur ei poramorshoti mone rakhar moto.
উত্তরমুছুনবছর পঁচিশ ধরে যে ফর্মুলা খুঁজে চলেছিলাম, আজ আপনার এই 'বনলতা সেন'-সম লেখার দৌলতে তা পাওয়া গেল। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্যে এই ফর্মুলা মেনে একটা কবিতাই (??!!) লিখতে গেছিলাম, কিন্তু মোবাইল হ্যাং হয়ে গেল! সত্যি!
উত্তরমুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুনদারুন হয়েছে। বিশেষ করে উদাহরণের কবিতাটি। দেখা যাক, উত্তর আধুনিক বা দক্ষিণ আধুনিক কবিদের কাজে লাগে কিনা …
উত্তরমুছুনবোধ হয় একটু বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। আধুনিক কবিতামাত্রেই অত খেলো বলে আমার মনে হয় নি, অন্তত কিছু কবিতা তো গভীর ভাব ও ব্যঞ্জনায় সমৃদ্ধ। তবে এটাও ঠিক বেশ কিছু আধুনিক কবিতা বিনা কারণে যখন দুর্বোধ্য হয় তখন অমিতাভর এই ফর্মুলা কাজে লাগতে পারে। এটি নিঃসন্দেহে একটি শ্লেষাত্মক রম্য রচনা যদিও বক্তব্যটি ফেলে দেবার মত নয়। এর বিপরীত প্রান্তের অন্য কোন লেখা এলে পাঠকদের মূল সত্য অনুধাবনের সুবিধা হবে।
উত্তরমুছুনএকটা দারুন লেখা ! ( অমিতাভ বাবু ,আপনার এই ফর্মুলা তে চটপট একটা কবিতা লিখে ফেলেছিলাম। কিন্তু মুশকিল হলো ওটা একটু গলা ছেড়ে আবৃত্তি করার পর থেকে বাড়ির সবাই , এমনকি কুকুরটা পর্যন্ত গম্ভীর হয়ে আছে। ...... )
উত্তরমুছুনসন্দীপ, কুকুর বলে কি মানুষ নয়?
উত্তরমুছুন