কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৪

২৬) ওয়াহিদা খন্দকার



ওয়াহিদা খন্দকার  

মরাই
সময়ের গভীরে ভিনদেশী পাহারায়
দৃশ্যগুলি সরে যাচ্ছে;
অক্ষরগুলি ধ্বনি হারাচ্ছে কেবলই
ক্ষয়ে যাচ্ছে পাখির বাসা... 
অথবা নাগরদোলায় পাক খাচ্ছে জীবন মরণ
ভেতরে চরে বেড়ানো নিঃশ্বাসটা দৃষ্টির আড় পথে,
আর পুরুষ পিরামিডের নিষিদ্ধ শরীরে
জেগে উঠছে আমার বৈকালিক আত্মারা
তবু সময়ের অন্দরে বিচ্ছিন্ন সাঁকো দিয়ে বুনে চলেছি
একটি প্রাচীন মরাই


অন্যতর
স্মৃতিগুলি থেকে নবজাতকের মতো জন্ম নিচ্ছে কিশলয়
চোখ বুজলে দূরে...
টিলাগুলির পাংশু কাগজের মুখ
হয়তো কোনোদিন কৈশোর ছিল না আমার
অথবা কৈশোরের পরে জন্মেছি
তবু যৌবনের অজস্র মৃত কীট পেরিয়ে
ভাগাড়ের গানেই সিদ্ধ হচ্ছে শকুনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
তাই মানুষ তৈরির রান্নাঘর থেকে
এক মুঠো মাটি নিয়ে
ঢেলে দেব সঞ্চিত ঘ্রাণগুলি
ঈশ্বরের তিক্ত অবকাশে রেখে দেব পরিযায়ী ঝর্না 


বুকে পোড়া দাগ
কিছু উপলব্ধি
কিছু ভালোবাসা  
অথবা কয়েকটি আগুন
এর কাছে নগ্ন হচ্ছি সব সময়
ডোবার জল ঘোলা হলে
বেঁচে ওঠে কিছু জিওল মাছ
যারা লজ্জিত স্বাধীন সুখে
আস্তাবলের ঘুঁটিতে সাজছি আমিও
শুধু বন্য দেওয়াল রক্তের কারখানায়
অথবা আরও একবার বৃষ্টির গর্ভে নবান্ন নামছে বুঝি
আর তারাদের অলঙ্কার খসে পড়ছে একে একে
চিনতে পারবে তো?
বিবস্ত্র নক্ষত্র হয়ে আছি
বুকে পোড়া দাগ!
শেষ উনুনের আঁচ এখনো নেভেনি তো!




0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন