কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৪

১৫) শর্মিষ্ঠা ঘোষ



শর্মিষ্ঠা ঘোষ

ফেরা


প্রতিটি ফেরানো মুখ ফিরে আসার অবশ্যম্ভাবী
প্রতিটি চলে যাওয়া অবশ্যম্ভাবী দিন বদল
প্রতিটি ফিরে আসা এই মুখ অন্য চোখে দ্যাখে
প্রতিটি পুরনো চোখ অপাঙ্গে ক্যাজুয়ালি দেখি
 
আদিগন্ত নরম পলি ছেড়ে চলে গেছে যারা
বয়ঃসন্ধির পাখিবেলা ফেলে উড়ে গেছে যে সমস্ত প্রেম
তাদের থেকে সরতে সরতে সয়ে গেছে মনখারাপ
ওদের থেকে ভাঙতে ভাঙতেই নতুন ভালোবাসা





মিথ

গর্জনশীল চল্লিশা থেকে সেই আওয়াজ আসে যদি
থরে থরে কেঁপে যায় মন্ত্রমুগ্ধ লাউডস্পীকারের বুক
সেই নাম উচ্চারিত হলে ঘর ছেড়ে আসে হাজারো পতাকা
সমর্পণের আগুনে সাগ্নিক স্তিতধী মিছিলদৃপ্ত পদক্ষেপে ভোর
স্বপ্ন স্পন্দনে সারি সারি জারিগান আলপথে পা মেলায় পায়ে


সফেদ নিপাট ব্যারিটোন থেকে সেই জুরাসিক ডাক এলে
মাদলের দ্রিমি দ্রিমি জানে আড্রিনালিনের বাড়াবাড়ি উৎসস্থল
হাত থেকে খসে যায় কালের হ্যান্ডকাফ গলা থেকে কলার
স্বাধীন বিশ্বাসী ভূখণ্ডে চুঁইয়ে আসে অরোরা বোরিয়ালিস
শ্রেণী ভেঙে বেড়া ভেঙে বাঁধ ভেঙে সূর্য ওঠে তাতারের চোখে


সেই ব্যাটন বইতে হবে বলে আমাদের অসময় বলে কিছু নেই
সেই ক্রস ওয়ার্ড পাজল সমাধানে আমাদের ঝর্নাকলম রক্ত লেখে
সেই পাশে থাকা সেই কাছে থাকা সেই ঘিরে থাকা রোজ ঘনিষ্ঠ হয়
তত্ববোধে তন্নিষ্ঠ আমাদের রেনেসাঁ অট্টালিকা ছোঁয় কুঁড়েঘর থেকে
নত হই নত হই বারে বারে নত হই তুমি মিথ ভাঙা জনজোয়ারে



কবিপত্র

জাগলারি করতে করতে সত্যি বলে ফেলেছি
শব্দ থেকে নতুন কিছু পাবার বা করার নেই আর
সে এখন নিজের মুখোমুখি সে এখন খারাপলাগা কাটাতে পারে না
সে এখন মন সরাতে পারে না এইসব মিথ্যে থেকে

এখানে এমন কিছু নেই যা তাকে এগিয়ে দিতে পারে দু'এক কদম
এখানে মাথা খায় বড় বেশি চাওয়া আর ভ্যাদভ্যাদে মানডেন
এখানে দিতে দিতে হাফিয়ে যাচ্ছে সে, চাহিদাগ্রাফ চড়ে যাচ্ছে
এখানে কেবল গ্রহণে নিজেকে শহীদ ভাবছি আমি উজবুক

একটা সকাল চলে গেল আলো ছাড়াই, সে যেমনই যাক
সে কি চলে যেতে বলছে নাকি এভাবেই চালিয়ে নিতে বলছে?
ছেঁদো কথায় পেরিয়ে গেছি পথটুকু, কতটুকুই বা পেরিয়েছিলাম!
পেছনে হাঁটার শক্তি খুইয়ে বসে থাকি দিশাহীন সম্মুখ নিয়ে

দুই কবিপত্র যথাক্রমে খবর দিল চাইলেই বৃষ্টি হবে আজ
যেন আজকাল রুখাশুখা বসে আছি তাদেরই অপেক্ষায়
ফিচেল হেসে জানতে চাইল কতখানি খরাপ্রবণ আমি
ডাক ভালো যদি ফাঁকা থাকে ঘর, পর্দা তোলা থাকে জানালায়


 
প্রপাগন্ডা 

এক্স ইজ ইকুয়াল টু প্রথম থেকেই হারছি জেনে খেলতে নামা কারুর কারুর কাছে
...
লিমিটেড ডোজের স্লিপিং পিল-এ কামনা রঙের ঘুম থেকে মাইনাস স্বপ্ন জেনে
এক নম্বরের হারামির হাতবাক্স দু'নম্বরি ব্ল্যাকমেইলিং করছি আপন আত্মাকেই ...  কানে কানে শিখিয়ে দিচ্ছি মন গলানোর ষোলোকলা ... তার কাছেই ফের হাত পাতছি ব্যাখ্যাতীত দৌর্বল্যে ... ঘুম ঘুম সড়ক থেকে অচেতন নুড়ি কাঁকর সরিয়ে রাখছি যেন তেন প্রকারেণ ... চাই তাকে চাই বলতে গিয়ে এক বোবা কালা হৃদয়ের
কাছে কুশল কামনা করে আসি তার ... নাও সব ভার সূক্ষ্ম স্থূল কামনা রাশি
সরিয়ে ... যাও, তাকে নিয়ে যাও অভীষ্টে ... আমার আসলেই সে থাকে অনন্ত ...
সমস্ত বৃষ্টি বাদলার ঢ্যামনামো গায়ে মেখে পরের সকালেই উশুল করে নেব ডাবল
ডোজের আদর, যতটুকু নষ্ট হলো এক রাত্তিরের অবুঝ নাবালকত্বে তার অনেক গুণ
ভেবে নিয়েছি মনে মনে কুমীরডাঙার আগেই ... এইসব সফি গেমে সব্বাই কি মানাতে পারে, বস? সখের বাওয়ালবাজি করে রকজাত দিনাতিপাত ভবিষ্যনিধির একমাত্র পুঁজি যাদের, তাদের আর যাই হোক নেকু পুষু মার্কা প্রপাগন্ডা সইবে না  এবং  তাতে পুব পশ্চিম গুলিয়ে যাবার মতো বড় কিছু ঘটে না

1 কমেন্টস্: