সাবরিনা মাত্রা
আমার সমস্ত...
আমার সমস্ত ভেঙে চুরমার
একটি কুঁড়েঘর ও গুল্মসমূহ,
বৃক্ষদের বেলায় জানি শিকড় ছড়িয়ে
অনেকদূ্র -
বাহ্য বিসর্জনে তবু রক্তাক্ত
মৃত্তিকা।
একটি নিঃসঙ্গ আহত পাখি
আর তার বিচ্ছেদ যন্ত্রণা।
বনের কাছে আহাজারি -
যদিও জানে
সেই বন তার একার নয়
সকল পাখির আশ্রয়।
আমি কেবল সমস্ত কষ্টের ধারক
ঘর, গুল্ম, বৃক্ষ, মৃত্তিকা ও পাখির,
যদিও মেনে নিয়েছিলাম এদের
মন্দভাগ্য
আর উদ্ভাসিত ক্ষীণসুখ
তবু আজ সহনসীমায় দাবী সোচ্চার
ক্ষত বুকে নিয়ে মানতে রাজি নয়
ঘর, গুল্ম, বৃক্ষ, মৃত্তিকা ও পাখি।
আমি বলি, থাক না -
তোদের গড়ন ওতো এমনি করেই
রাতারাতি হৃদযমুনায় জোয়ারের তোড়ে।
ক'দিন ধরেই যাব যাব করছিল
আজ না হয় সে চাঁদ ফিরেই গেল
ঈশানে-নৈর্ঋতে যমুনার মেঘ,
অমাবস্যায়ও জ্যোছনা প্লাবিত হয়;
আমার না হয় সেই স্মৃতি আর
গেরুয়া বসনই থাক!
অপারগ
আমার সাথে
আমির মাঝে মাঝেই খুব দ্বন্দ্ব হয়,
দ্বিধার
দ্বন্দ্ব;
আমি বলি
ক্ষমা কর
‘আমি’ বলে না।
তোমার
সাথে আমার কোনো শিউলী-সকাল বা বকুল-সন্ধ্যা ছিল না,
তবু কী যে ছিল
আমি তুমি নই
ফেলে আসা
সময়ই শুধু জানে।
তুমি ভালো
থেকো – কষ্ট হলেও বলছি শোন
আর কখনো
এমন এসো না।
যদি পারো
ভুলে যেও
যা করেছি
তা তো করেই ফেলেছি, এর চেয়ে বেশি কিছু আর পারিনি।
একদিন
কবিতার মতো, পায়ের নিচে মাধুরী মৃত্তিকা- স্বপ্নচোখে
প্রেমিকার উদার চুম্বন- সেই উদভ্রান্ত প্রেম; এর চেয়ে বেশি কিছু আর পারিনি।
যদি পারো ভুলে যেও, পারিনি দিতে তোমায় সেই বন্ধনহীন সাবিত্রী-সংসার।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন