দেবপ্রিয়া চট্টোপাধ্যায়
সময় থমকে আছে
সংবেদনশীলতা আজ অন্ধ
অপরিসীম লজ্জারাও আজ
আর মুখ ঢাকে না।
যান্ত্রিক সভ্যতা
এগিয়ে চলে-
তাসের দেশের
গোলাম-বাবু-বিবি
আবর্তে ঘুরছে
দিনরাত।
ভোর হয়, দিন আসে
গোধূলির আলো জ্বলে
রাত ভাসে
চোখের পাতায় তবু ঘুম
নেই।
নিঃসঙ্গতার দায় নিয়ে
বাঁচা
অসহ্য, অস্থির সময়;
বিশ্বাসের তন্ত্রীর
সুর কেটেছে
স্বপ্নের ময়ূরকণ্ঠী
নাও
পথ হারাচ্ছে বার বার
একটু একটু করে
পিছিয়ে চলা
নোনা জলের অদেখা
কান্নার স্রোতে
প্রাণ ভাসে-
আবার রাত আসে; দিন
হয়।
কালি-কলম-মন
সব প্রচ্ছদ আজ ঢেকে গেছে
কালিমায়;
অজস্র আঁকিবুকিরা খেলে
বেড়ায়
শ্বাপদসঙ্কুল পথে-
মনের কোণে জমে না কোনো
অশ্রুবাষ্প
কাঁদতে ভুলেছ নাগরিক?
কান্না জমে তবুও হয় পাথার, মন্দার
পর্বত;
সমুদ্র-মন্থনে উঠে আসা গরল-
ধারণ কর ও বক্ষে।
ভাঙো, গড়ো, বিম্বিত হও
চিক্কুর সম-
গর্জে উঠে বর্ষণ কর অঙ্গার
পথের চৌকাঠ, অর্গল
চূর্ণ হোক, বিদীর্ণ হোক;
তবু
উদ্ধত দুর্বিনীত গদ্য
জ্বলে উঠুক বার বার
যবনিকার পর্দা ভেদ করে।
অ্যাডোলেসেন্স অ্যাডাল্টহুড
টডলারের জীবন ছেড়ে
উঠে এসেছি বাস্তবে
চওড়া মুখের হাসিতে
নেই মৌমাছির আনাগোনা
কিছু বোলতা ঘুরে
বেড়ায় আশেপাশের ভিড়ে
ডানায় ওঠে হামিং-এর
অসহ্য একটানা শব্দ
সব সম্পর্কের লাশে
হোঁচট খেতে খেতে এগোনো;
রাঙ্গামাটির এই পথে
আজ সব বাঁশের কাঠামো-
রবীন্দ্রনাথ – এক লাইনও যদি আওড়াতে
পারতাম!
পৌষমেলার হাটে বাড়ে
বেচা কেনা-
নোবেল চোরের
আনাগোনায় স্তব্ধ প্রতীচী
দিগন্তের আঁচলে
তোমার অতৃপ্তিটুকু মুছে নিতে নিতে
আবার চলে এসো সেই
শুরুর শপথে
নিরাপদ দূরত্বের
নিরাপত্তা বলয়ের পরিধি বাড়ে
দাঁড়িয়ে আছি আজ – জন্ম মরণের মাঝখানে
প্রতিধ্বনিতে
এলোমেলো প্রতিশ্রুতির দ্বারপ্রান্তে।।
chomotkar.....
উত্তরমুছুন