অসিত ঘোষ
নীরবিনী-৪
কী
তীব্র পর্দা টানলে
জানালাটা
খুলতেই...
পায়ের
মাপে পা হাঁটিয়ে
দুঃখের
রোঁয়া খুঁটে খুঁটে
ধোঁয়ার
বেগুনি জাল তুচ্ছ
দুমদাম
ডাক ফাঁক না-ফাঁক
শব্দে
শব্দ ছুঁড়ে মারা
অ্যালবামের
ছবি টানাটানি
পাথরে
বা শ্যাওলায় উলু হয় কিনা
মাটির
রঙে উল্কি কাটা
ভয়ের
আঁকচিরা গোড়ালিতে মুছে
জলের
পাশে যে মহাঘুম
টেনে
তুলে, যখন
যা বলেছ
কাদা
কাঁটা ঘেঁটে মেখে
ফিতে
ফরমায়েস দুহাত উজাড়
যেই
বললাম, কেঁপে
অ-মেপে - একবুক...
কী
ভীষণ নৈঃশব্দে পর্দা টানলে
নীরবিনী-৫
মরে যাই...
ওই দূর ঠিকানা
নির্ঘাম হাওয়ার আদল দরজা
পাপোষে টুঁ রাখিনি
ধুলো পেয়েছি
লুকোন্ত হাতের ঢলঢল
ছাদ পার উড়ন্ত বিন্যাস
মূর্চ্ছার মতো ক-পলক
চূড় চূড় একসের না ছোঁয়ার স্বাদ
মহুয়ায় তুমি তখন
গাছিনীর গাছ হওয়া...
পাথরের পাঁড় পাথর হয়ে মনে হলো
লাউদেশের কোনো আমোদিনী বাউল
এবার উন্মুক্ত হবে
দয়াবতী হবে, তুমি
দূরস্পর্শ থেকে দূর না হলে
ক্ষোভ-বিস্ময়জ তাপে...
ছাই হওয়া নিরীহ স্পর্ধার
নীরবিনী-৬
খতম দুপুরে
এক গলা লিখে ফেলব
চুরমুর
হাঁটুর ওপর, কব্জির ওপর
তুমি তখন কোকিলা
কুলু ভিলা থেকে
ছবি সেন্ড করে লিখলে -
‘আপেল দুপুর
জানালা টপকে চোখ শিখছে
ঘাসের পিঠে ঘুড়ির প্রস্তুতি
ওড়ার সুতো, লাটিমের ফাঁট
হ্রেষার তীক্ষ্ণ অভিশাপ’
খতম দুপুরে লিখে ফেলি
হাভাতের বিগ্রহ খুলিতে
নবত
একক আঙুলে
নীরবিনী-৭
সিঁড়িতে
সিঁড়ির বল
ড্রিপ
ড্রিপ
নিচে
প্রাবলিক নিউটন ওপরে বৃত্তভর তুমি
মধ্যবর্তী
ওপর এক হন্তদন্ত অন্ধকার
ঝুপের
অপেক্ষায়
বাইরে
বিত্তশালী রোদের ওপর মেঘের প্রাকৃতিক টান
খরায়
ছোবলের শ্লীলতা
জ্বালাও
আমার প্রেমিকা... প্রেমিকা...
ড্রিপ
ড্রিপ ধরো
ভেতরে
শাঁস, অনেক
প্রভুময় জল পাথর গলে গলে
ফাঁক
ফাঁক - ইক্ষুরস, অন্য
হৃদয়
বাকি
তোমার ঠোঁট যে কথা আজও বলল না - বলবে
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন