আবু সাঈদ
ওবায়দুল্লাহ
ম্যাসেজবক্স ১
খেলা বলতে - উড়ে আসা মার্বেল
গড়িয়ে গড়িয়ে
চড়ুইচঞ্চু ঘূর্ণন
কিছু
টমেটোদানা কিছু জয়ফুল
গুপ্ত বীজ - বীজের বেহালা
ধীর তানসেন...
প্রজাপতি মাঠে
- রঙ রংবাজ
মাখে এমন
ভাড়াটে রূপসী
তার চোখের
হারামী দুশমন...
এমন চেনা ফেরারি
ঘুরে ঘুরে আসা বিয়াত্রিচ
বেদনা
ডাকে তো ডাকে না
নিভে তো নিভে না
তার মুখ তার
মায়াবি গুল্ম
দেখে দেখে
আঙুল বেয়ে কফিনে রক্ত
আসামি গোলাপ
টব থেকে বাথটাবে
যে তুমি অতি
পরদেশ। হে ফুল
জানুবা...
ম্যাসেজবক্স ২
সেই চিঠিও
লিখে রাখব
এই সমুদ্রদাগ
এই হারানো তিমি
প্রস্থানপ্রিয়
মালবাহী ট্রেন, তার পায়ে
মরা সাপশিশু, সকালের ডি-জে-রি-ডু
ওস্তাদ
আলাউদ্দি খাঁ...
এমন খুব
জলপ্রধান তান। চলন্ত
জেব্রা ক্রসিং - তার সামনে হঠাৎ
মূত্র ত্যাগের
ধারণা। আর
চিনাবাদামের
খোসায় অবাক
কাঠবিড়ালি!
এসবই লিখে
রাখব আস্তে আস্তে
তন্দ্রা
বিরতির মাঝখানে।
জুয়াড়ি
থোকা থোকা আঙুরবাক্সে চোখ
রাখছি
একটি চতুর কয়েন একটি চূর্ণ
ঘোড়ার রেস
ঢুকে পড়ছে -- ফেরাউনের কফিনে।
পাশে সেয়ানা মেয়েদের
মায়াভেলকি
চুমুকে চুমুকে বাঘ করছে
ছেলেদের ঘোড়া।
মুখোশমুখি মেলা। ক্লাউন হাসছে ছোট্ট শিশুদের
রেস্তোরাঁয়। তাদের ডাকাত নাচবে শেষ
লুটেরার সিংহাসনে। এমন মুর্হূতে কে
পূর্ব জন্মের ভাষা শেখায়? কে ভবিষ্যদ্বাণী করছে
আগুন আর আগ্নেয়াস্রে?
চারিদিকে তুষারের ঢেউ, নদীর রোজনামচা
আমার আয়ুলেখা লুপ্ত ভিড়ের দানবাক্সে।
উৎসবের কবি
উত্তরীয় পরিয়ে দিচ্ছে
ঠাণ্ডা রাইফেল যে ফুটছে না তাকে
যে লিখছে না তার কাঠ কাঠ তার মমি
যে ভাবছে না তার গ্রামের পর গ্রাম
কাক আর কোকিলে
ক্রমশ ফানা হয়ে উঠছে
ক্রমশ বাক বাকুম বন্ধু বন্ধুর কফিনে
তার পীর তার মুর্শিদ।
পরগাছা গাছ আঙুরফলের বাকলে
সেনানি রঙিন বিষকালো ধীরে
খালি চেয়ার আর টেবিল যারা মাপছে
যারা কলরব শেষে ঘুমিয়ে পড়ছে
যারা প্রত্ন ও প্রস্তর শীততাঁবু তিরপল
তাদের কপিলাবস্তু ছাপিয়ে জাগছে কোথাও
গৌতম ও বুদ্ধ।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন