কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০১৪

১৪) তানিয়া চক্রবর্তী


সাপের শাপনামচা


একজাতীয় সাপ আর তার সাপুড়ে -- পরজীবীর প্রসাধনে চলে। সাপটার বিষ মায়োটক্সিক (পেশির খাদক) ছিল -- সাপের মণি ছিল না কোনোদিন -- সাপের দুধের শরীর নয় সাপ খোলস ছাড়ে লুকিয়ে প্রতিদিন। সাপুড়ে রাতের বীণ চেতনা  খুলে বাজায় রাজার মতো পেশি ঘুরিয়ে ঘরের মধ্যে ঢোকে -- ক্যাবলাগোছের বউ -- কাপড় সরাও রানি -- খোলস খুলে এসো! জানো, সাপটা আমায় ছোবল দিতে পারত, কিন্তু এখন বিষ নেই তো ওর, শুধুই খেলা দেখায় তোমায় আমি নাভির  নিচে বাজাব

ও আমার ক্যাবলাগোছের পাতলা শরীর নধর নধর বউ -- তোর চোখ বলব পটলচেঁরা ইতিবাচক -- ঠোঁট বলব গোলাপজামুন -- নাক বলব বাঁশি -- শঙ্খিনী না পদ্মিনী -- ঘটে তুই সিঁদুর লাগাস -- পল্লবরা হাসে -- নরম হয়ে যাচ্ছিস বুকের মধ্যে ভাঁজ দেখেছি -- খাদ্য তোকে ভাবি -- ও চামড়া প্রেম -- গাঁয়ের মোড়ল আছে -- আমাকে রাতের আখড়া টানে -- আকন্দের কষ দেখেছিস? মাখাব  বলে ঋতু টলমলিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকি -- তোর খনক থেকেই চুরি করব খিস্তি  ত্বকের মধ্যে -- চোখের মধ্যে টলমলেরা জল -- জলই আমার জীবন পাপ সোহাগী -- খাপছাড়া তাই ঝুপড়ি খুলে ওর চোখকে দেখি রোজ... ব্যবসারীতি -- গন্ধপ্রেম -- মুখচ্ছবি। ওরে তুই নগ্ন হয়ে দাঁড়া -- আমারা দাঁড়ারা প্রবল -- পাপের চোখ আত্মা দেখে না -- ওসব দেখলে দায় আসে -- দায় আসলে ভোগ কমে -- ভোগ কমলে আপস -- আপসরা সব অতৃপ্তির ভাঁড় -- শরীর জুড়ে রক্ত রক্ত খেলা -- তোর উপবৃদ্ধি চোখ ধাঁধিয়ে দেয় -- খিদে আমার আরোহ -- অবরোহ 

“ও সাপুড়ে এভাবেই তো শরীর স্রোতের মতো নাচে -- শক্তি বোঝে না! এই ছোট্ট ছোট্ট পুতুল -- টগবগিয়ে চলছে -- ফাটল ধরলে পিঁপড়ে  হয়ে যাবে! ও সব সাপের শাপরা নিঃশ্বাসেই থাকে -- ধারা রেখার সংখ্যা জুড়ে পাপ বাড়ছে দারুণ...”

2 কমেন্টস্:

  1. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. সাপের শাপনামচা বশ অন্যরকম হোয়েছে তানিয়া । ভালো লাগলো । এই সিরিজে আরও দু একটা লিো ।

      মুছুন