সত্যান্যাস
(পর্ব
৭)
অথবা
গোদার
দেখে ৭৮৬টি মনোলগ
একটি
বৈদান্তিক ভোগবাদ বিরোধী গায়ের জোরে বলা উপন্যাস
A
social media studies
যে
বাজার থেকে মুক্ত সে মুক্ত
উৎসর্গ
ঋতস্বিনী
দত্ত বকসী
ঋণ,
অনুপ্রেরণা ও কৃতজ্ঞতা
তরুণ
গোদার
সর্বপ্রিয়ানন্দ
কপিল
শর্মা শো
মৌমিতা
ঘোষ
চন্দ্রিল
নিখিল
ব্যানার্জি
অর্ণব
নাথ
শুভশ্রী
পাল
এবং
ফেসবুক,
হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব
অথ
মুন্নাবাঈ কথা
মুন্নি বদনাম হুয়ি ডার্লিং
মেরে লিয়ে
চোরের মা জিরাফ
একটি প্রাইমারি স্কুলের
অন্দরমহলের কাহিনী
আমার প্রথম হেড টিচার মুন্নাবাঈ। ২০১৭।
বালপল্লী স্কুল। বরানগর।
স্কুলে এসে দেখলাম দুই দিদি সন্তানহীন।
একজনের নিজের সমস্যা নয়, তাই ছাত্রছাত্রীরা তো বটেই আমরাও তার সন্তান হয়ে গেলাম। আর
মুন্নিবাঈ নিজে অক্ষম। তাই সরকারি চাকরি করেও একজন গৃহহীন বেকারকে বিয়ে করেছেন।
আমি তাহার মতো কালাহারি কদাচ মনুষ্য মনে কদাপি দেখি নাই। তাই বাচ্চাদের কেউ মাংস খাওয়াতে
গেলে আনানো হত মুরগির গলা আর ঠ্যাং আর বলা হত এটা কি বাড়ির খাওয়ানো নাকি! আর খাওয়াতেও
হতো ডিমের মিড ডে মিলের দিন, মোট মিড ডে মিলের খরচের সিংহ ভাগ পয়সাটাই যাতে বিনা বাক্য
ব্যয়ে মুন্নির পকেটে ঢোকে।
মুন্নি মার্ডারার।
তার শ্বাশুড়ি যখন শতবর্ষের একটু আগে তখন প্রায়ই মুন্নি বলত, ইচ্ছে করে গলা টিপে মেরে
দিই। ১০০ পূর্ণ হল হতভাগিনীর। ঘটা করে মঞ্চ বানিয়ে এক ঘন্টা ধরে চেয়ারে বসিয়ে স্কুলের
বাচ্চাদের দিয়ে ১০০ গোলাপ উপহার দিইয়ে অনুষ্ঠান হল। মিডিয়ায় যাবতীয় ক্রেডিট নিয়ে সব
কথা মুন্নিবাঈ বললেন। খবরের কাগজে নিজের নাম তোলাটা খুব ইম্পরট্যান্ট ছিল। আর তার ১০
দিনের মাথায় কোনো অসুস্থতার খবর, ডাক্তার, হসপিটাল ছাড়াই আকস্মিক মুন্নির শ্বাশুড়ির
মৃত্যুসংবাদ। বুঝলাম প্রয়োজন ফুরিয়েছে। এটি একটি ঠাণ্ডা মাথার খুন!
মিথ্যেঃ
মুন্নি
বাঈঃ অর্ঘ্য, স্কুল প্রেমিসেসে তামাক নিষিদ্ধ। স্কুলে আর সিগারেট খাওয়া যাবে না।
আমিঃ
আপনি তো ১০০টা জর্দা পান খান। সেটাও তামাক।
মুন্নিঃ
(আঁতকে উঠে) আমি তো জর্দা খাই না! (না, আপনি পাতা খান। পাতাখোররাও এত অ্যাগ্রেসিভ হয়
না। তারাও কথায় কথায় বলে না আই অ্যাম দি দি মুন্নি বাঈ!)
আমি গত বিধানসভা ভোটের কিছুদিন আগে
মুন্নির অত্যাচারে পাগল হয়ে গিয়ে সুইসাইড অ্যাটেমট নিই। আইসিইউ থেকে ১ লাখ খরচা করে
বাবা ফিরিয়ে আনে। ওজন কমে যায় প্রায় ১৫ কেজি। অথচ সেই আমার বাবা মুন্নির পায়ে ধরে বলে
আসতো, দেখবেন চাকরিটা যেন না যায়! মুন্নির মন টলেনি তাতে। সে ব্যস্ত হয়ে পড়ল কোনোভাবেই
যেন আমি ভোটের ডিউটি থেকে নিষ্কৃতি না পাই তার কলকাঠি নাড়াতে। আপনি কি করতেন পাঠক?
FIR নয় কি? অবাক হয়ে যাবেন শুনে লক ডাউনের মধ্যেও আমায় মেডিকেল লিভ আর ক্যাজুয়াল লিভ
নিতে হয়েছে!
মুন্নিবাঈ আমি যদি কোর্টে যাই?
একজন পরিচারিকাও তার থেকে সফেস্টিকেটেড।
আমার বাড়ির কালীপূজায় এলে দিদি বলেছিল, এই কাজের মাসীটা কে রে?
বাবা আমায় তৃণমূল সংগঠনে যেতে দেয়নি,
বলেছে মুন্নির সংগঠন করো। আর মুন্নিই সেই সংগঠনের সার্কেল সভাপতি এবং কোনও সংগঠনের
সাহায্যের প্রয়োজন হলে সেই সবার আগে বিরুদ্ধাচারণ করত। সুতরাং আমার পক্ষে ছিল না কার্যত
কেউ। এক, একা, একক, একাকী। আমার বাবা আমার জন্য অতি মূর্খের মতো অনেক কিছুই ভুল সিদ্ধান্ত
নিয়েছে।
তো ভোটের ডিউটি। আমি যথারীতি ইনফ্লুয়েন্স
খাটিয়ে কাটিয়ে নিয়েছি। মুন্নাবাঈএর কাছে তারই অনুগত পোকাগুলো গুনগুন করছে ডিউটি কাটিয়ে
দাও কাটিয়ে দাও, মুন্নিবাঈ-এর সে মুরোদ তো নেই। সুতরাং…
-
আমি
নির্বাচন কমিশনার অবধি যাব আর গিয়ে দেখব যে তোমার ভোটের ডিউটি কী করে ক্যান্সেল হয়!
আর তার মুসলিম ভাতার সবচেয়ে জুনিয়র কলিগ সারোয়ার বলেছিল, ভোটের ডিউটি না করলে মোদী
মমতা কেউ ছাড়বে না! (উহ্যঃ যা না, এই ভোটের বাজারে কমিশন অফিসের চৌহদ্দিতে গেলে পোঁদে
লাথ মেরে তাড়িয়ে দেবে। আর মুন্নি যেন জানে না যে ভোটের ডিউটি কাটানো যায়!)
এসআই অফিসে গিয়ে দিনের পর দিন আমার
নামে বলেই যেত বলেই যেত এসআইকে। অথচ আমি তখন কারুকে ফোন করলেও পরের দিন জবাবদিহি দিতে
হত। সিএল নিলে সেইদিন ফেসবুকে পোস্ট করলে জবাব দিতে হত। এসআই বলেছিল, অর্ঘ্যের সাত
চড়ে রা নেই। বাধ্যতামূলক ছিল মুন্নির বাড়ি পূজায় যাওয়া। মুন্নিকে কোনো অন্য স্কুলের
কলিগ ইনভাইট করলে আমাদেরও যাওয়া ছিল বাধ্যতামূলক হায় যে আমি কাজিনদের বিয়েতেও যেতাম
না! বাধ্যতামূলক ছিল মুন্নির ভাষায় স্পোর্টস অ্যাটেন্ড করা, তাই বাবার বাইপাসের হসপিটাল
রিলিজ ছেড়ে আমি সারাদিন কলা নিয়ে ছুটেছি বাচ্চাদের পিছনে আর উনি কালো শাড়ি ভুল করে
পড়ে এসে বলেছেন প্রতিবাদ করছি! প্রতিটি স্পোর্টস মিটিং ছিল শিক্ষকদের মারামারির আসর।
বারবার মুন্নি বলত, স্পোর্টস কমিটিতে কি মধু আমি দেখতে চাই! কীসের আর মধু? টাকার আর
মুন্নির ৪০০ সুগার।
যাবতীয় অত্যাচার করে লিখিত নিয়ে মুন্নি
বলত… আমাকে আমার চাকরি বাঁচাতে হবে না! (উহ্যঃ আমাদের চাকরিটা আমাদের বাঁচাতে হবে না?
আর আপনার ১৯৯৮ সালের চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নঃ ভারতের সর্বাপেক্ষা বেশি কোন শস্য উৎপাদিত
হয়? উঃ ধান। এরকম ১০ টা প্রশ্ন। সময় ৩০ মিনিট। জেবিটি করা মানেই চাকরি। ২০০৭ সালে আমি
যে মাইনেতে স্টার আনন্দে ঢুকেছি ২০১৭তে তার থেকে কম মাইনেয় প্রাইমারিতে। কোনোদিনও প্রাইমারিতে
চাকরি করতে হবে এ ছিল কল্পনাতীত! আর ১৯৯৮-এর মাইনের জন্য আপনি জেবিটি করছেন যখন মুন্নি
ধন্নি মেধা অধ্যাবসায়!)
আমার
মাথা ফাংশান করা বন্ধ করে দিয়েছিল। আমায় হিজড়ে বানিয়ে দিয়েছিল ওরা। ও আর সারোয়ার মিলে
একসঙ্গে। সুদীপ্ত আর শুক্লা। কখনও কোথাও আমি প্রতি পদে পদে নিজের এত বুদ্ধি স্মৃতির
অক্ষমতা অনুভব করিনি। কোনো ফিল্ডে না। আমার কনফিডেন্স রোজ মারা যেত। আমি মানসিকভাবে
মরে গেছিলাম। আমার মাথা কাজ করা তখন বন্ধ করে দিয়েছিল।
একটি
মেয়ে মিসিং ছিল। সুষমা পাণ্ডে। রোলকল খাতায় তাকে প্রেজেন্ট করতে বাধ্য করা হতে থাকে।
আমি অসম্মত হলে বলা হয়,
মুন্নিবাঈঃ
তুমি প্রমাণ করতে পারবে যে ও মিসিং!
আমি
বলি চলুন থানায় চলুন। বলা উচিত ছিল চলুন এসআইয়ের কাছে চলুন। তাহলেই সব হাওয়া
বেরিয়ে যেত।
১০০
জন বাচ্চা এলে ১২০ জন বাচ্চা প্রেজেন্ট দিলে চোখে পড়ে না কিন্তু ২৫ জন বাচ্চাকে ৪০
করা যায় কি! করতে বাধ্য থাকতে হত!
-
৫টাকা
৩৯ পয়সায় (১জন শিশুর একদিনে মিড ডে মিল বাবদ বরাদ্দ) আমার সংসার চলে না অর্ঘ্য!(প্রসঙ্গ
অবৈধভাবে অতিরিক্ত প্রেজেন্ট দেওয়া)।
বলতে
পারিনি যে, ১টি স্টুডেন্ট পিছু বছরে দুবার ড্রেস, বেঞ্চ, কন্টিজেন্সি গ্রান্ট, রান্নাঘর
বাবদ বরাদ্দ, জুতো, পিএম পোষণ, আরো আরো হাজারো বরাদ্দ এক বাচ্চার মাথা পিছু ঢুকছে আপনার
পকেটে! বিশ্বাস করুন, ঠোঁটে লেগে থেকেছে কথাগুলো। শুধু বাক হয়ে বেরোয়নি। কি করে বেরতো?
কেউ পাশে ছিল না শুধুমাত্র নিজের দোষে। নিজের নির্বুদ্ধিতায় চরম গাইডেন্সহীন, আইটি
ফিল্ড থেকে এসে সম্পূর্ণ অপরিচিত সরকারি চাকরির জগতে পরেই সবার শ্রেণীশত্রু হয়ে গেলাম।
এ
ছিল একার লড়াই। গোটা বরানগরের নিচুতলার রাজনৈতিক কর্মী শিক্ষকসমাজের বিরুদ্ধে একার
লড়াই। অথচ কেউ আমার সরাসরি শত্রু নন। এবং আমার জন্মাবধি মাতৃভূমি বরানগরের শিকড় শেষপর্যন্ত
উপড়ে দিয়ে ছাড়লেন সেই অভদ্রমহিলা। আমরা কারা/বাস্তুহারা। চলে এলাম নিউটাউন।
মুন্নিবাঈ
শুধু স্কুলের একটাই পেপার ওয়ার্ক করতেন। মিড ডে মিলে জল মিশিয়ে হিসাব মেলানোর খাতায়
মাসিক এন্ট্রি। বাদবাকি আর ২০ টা খাতা আর সব অনলাইন পোর্টালের সব কাজ আমাদের করতে হত।
অথচ মুন্নি বলত তোমরা এসআই ডিআই যার কাছে খুশি যাও, আমি ক্লাস নিতে পারব না! তিনি ফোনে
গল্প ও গেমে ব্যস্ত থাকতেন। আমরা কাজ করে দিতাম বলে কোনো অতিরিক্ত সুবিধা কি কখনও পেয়েছি
কেউ? একেবারেই না। আমার অত্যাচারে অত্যাচারে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। হুইপ জারি করে,
বাধ্য করে, দাবরে যত রাজ্যের সংগঠনের বোকা বোকা মিটিঙে নিয়ে যাওয়া হত। স্কুলের জিনিষ
কিনতে কলেজস্ট্রীট গেলেও অন ডিউটি যাওয়া যেত না। যেতে হত স্কুল করে। এভাবে প্রচুর ওভারটাইম
আর প্রচুর প্রচুর প্রচুর স্কুলের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য নিজের পয়সা খরচ করে দিতে দিতে
শেষে চা খাওয়ানোটাও যখন আমার পকেটের দায়িত্বে পড়ল আমি বীতশ্রদ্ধ হয়ে শুধুমাত্র আমারই
দেওয়া একটি নষ্ট হয়ে যাওয়া মেজারিং মেশিন বাড়ি নিয়ে চলে যাই। সেই মেজারিং মেশিন গোটা
লক ডাউন জুড়ে মুন্নির হাজার হাজার টাকা বাঁচিয়েছে মুদি দোকান দিয়ে বাচ্চাদের জন্য বরাদ্দ
চাল, ডাল, আলু ইত্যাদি প্যাকিং করানোর। শুনেছি পরে সেটা রিজলিশন খাতায় মিটিং ডেকে লিখিয়ে
নেওয়া হয়েছে বাকিদের দিয়ে যে অর্ঘ্যের সবকিছু ফেরত দিইয়ে দেওয়া হল! পাঠক, কোনো কোনো
রূপকথায় শুনে থাকবেন ডাইনিদের খুব লম্বা জিভ হত! এখন বুঝছেন তার মানে আসলে কী! হ্যাঁ,
রূপকথায় সবই রূপক।
সত্যিই
হাঁসে ডিম পাড়ে, আর দারোগাবাবু খায়। তাই না মুন্নাদি!
বাচ্চারাও
এই নৃশংসতা থেকে রেহাই পেত না। সারোয়ার বলেছিল, তার জীবনের অন্যতম বড় ভুল আলি নামক
ছেলেটিকে মুন্নির কাছে শাস্তির জন্য নিয়ে যাওয়া। মোটা স্টিলের স্কেল সেদিন বেঁকে গিয়েছিল।
আমরা অবাক হয়ে সেই অতৃপ্ত কাম চরিতার্থতা অবসারভ করছিলাম। চুড়েলসুলভ জীঘাংসায় জ্বলছিল
মুন্নির চোখ!
তাই
তার আধ্যাত্মিক গুরুও নির্বাচিত হয়েছে মালসার প্রসাদের লোভে আর বিজেপির ক্ষমতার ছায়ার
লোভে। সেই গুরু আমার স্কুলের প্রাক্তন বাংলার অনারারি স্যার। তিনি বিবাহিত, মেয়ের বাবা
অথচ সন্ন্যাসী! রোজ মালসা ভোগ এলে রান্না করতে হয় না আর! আর ২১-এর ভোটের সময় মুন্নি
বলেছিল, তৃণমূল জিতলেও আমি জিতব, বিজেপি জিতলেও আমি জিতব, সিপিএম জিতলেও আমি জিতব!
অথচ বরানগরের বিখ্যাত তৃণমূল কাউন্সিলারের সঙ্গে ওঠাবসা আর আমাদের থেকে রাম মন্দির
বাবদ ৭০০ টাকা করে অনিচ্ছাসত্ত্বেও চাঁদা তোলা। আফটার অল আমরা শিক্ষক সংগঠন। লেবার
ইউনিয়ন তো নই না!
-
অর্ঘ্য
দেরি করে আসে!
-
অর্ঘ্য
হল ব্যর্থ প্রেমিক…
-
অর্ঘ্যর
মনের কথাগুলো ও বসে বসে লিখে সময় নষ্ট করে…
শেষের
দিকে বলতঃ
-
আমি
যদি সবাইকে বলে বেড়াই অর্ঘ্য পাগল তো একটু একটু করে সবাই বিশ্বাস করা শুরু করবে…
-
অর্ঘ্যকে
হাতে মারব না ভাতে মারব…
-
অর্ঘ্য
যদি ঠিকই করে থাকে চাকরিটা ছেড়ে দেবে তাহলে…
ইমিটেশনের
গয়নায় সারা হাত ভরিয়ে স্কুলে বসেই ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখানো দেখে আমার মণিহারা’র প্রেতাত্মা
মনে হত ওকে… আর ওনার কথায় কথায় বগলদাবা করে রাখা সার্কুলারগুলোর থেকে পুঁতিগন্ধ বেরোতো!
- ডাইনি জ্যায়সি দিখনেওয়ালি অওরত, মুঝে
তুমহারি মু বিলকুল নেহি পসন্দ আয়ি! অ্যা থুঃ।
- পাগলি, পাগলের পাগল, চেনে বেঁধে রাখার
পাগল। রাস্তে মে ম্যায়নে অভি এক পাগল চুড়েল দেখা। তুঝে দেখ কে মুঝে বো জেনিফার লোপেজ
লগনে লগি! বেটি ম্যায় তো ক্যাহতা হু টাইম নিকাল কে সুইসাইড কর লো!
ছি ছি ছি রে
মুন্নি ছি
ছি ছি ছি রে
মুন্নি ছি রে মুন্নি ছি
হিন্দুধর্ম দাঁড়িয়ে আছে কর্ম ও কর্মফলের
উপর। চিত্তগুপ্তে সঞ্চিত সব। সুতরাং হিন্দুধর্ম যদি সত্য হয় তো হে বুড়ি বেশ্যা তোর
ভবিষ্যৎ যে কী হবে তা ভেবে আমারও আতঙ্ক লাগছে! প্রার্থনা করি যেন পরের জন্মে তির্যক
যোনি প্রাপ্ত না হয়ে মানুষ হয়ে জন্মাতে পারেন! আর প্রার্থনা করি আপনাকে যেন ক্ষমা করে
দিতে পারি!
মৃত্যোর্ম্মা
অমৃতং গময়
প্রমিথিউস আগুন আনলো। মানুষ মানুষী চেতনা সম্ভব হয়ে উঠল। আর জেগে উঠল
মৃত্যুবোধ। মৃত্যুচেতনা। মানুষ মরণশীল হল। চেতনায় মৃত্যু না থাকলে কীসের মৃত্যু? সে
যুগে মানুষ অমর ছিল। আর বেদান্ত বলে মানুষ অমর হতে পারে অহং নাশ করে। আবার ফ্রয়েড বলেন
সেই যে শিশুর অহং নেই সেই পর্যায়ে ফিরে যাওয়ার বাসনাই যোগ, ব্রহ্মেচ্ছা! হাস্যকর!
বয়স মাত্র ৪০। একটা সময় অবধি মৃত্যু কি আমি বুঝিনি। গীতা পড়েছি, মরণের
পারে, রবীন্দ্রনাথ, উপনিষদ তবু মৃত্যু আমায় ছুঁতে পারেনি। আজ আমি বলব সেই সেই প্রিয়
মানুষের কথা যারা আজ আর নেই, সঙ্গে নেই সেই সব কাটানো সময় কাটাকুটি হয়ে গেছে।
বড়মা। বড় জ্যেঠিমা। হার্ট অ্যাটাক।
৬৫।
রাঙা। মেজ মেসোমশাই। হার্ট অ্যাটাক।
৭০।
সুমিতদা। জামাইবাবু। হার্ট অ্যাটাক।
৪৫।
সোনাজ্যেঠু। টিবি। ৬৫।
সোনামা। সেজ জ্যেঠিমা। থ্যালাসেমিয়া।
৫০।
সোনাদি। বড় জ্যেঠতুতো দিদি। হার্টের
ভাল্বে ফুটো। ৪৫।
ফুলমণি। সেজ মাসী। ক্যান্সার। ৬৫।
দেবকল্প। H.S. বন্ধু। অ্যালকোহল ওভারডোজ। ৩৫।
চিরঞ্জিত। ডানলপের বন্ধু। হার্টে ফুটো। ৪০।
প্রজ্ঞাদীপা। লেখক বন্ধু। খুন। ৪০।
অমিতাভ প্রহরাজ। লেখক বন্ধু। অ্যালকোহল। ৫০।
ঝন্টুদা। বড় শালা। ট্রেন অ্যাকসিডেন্ট। ৪৫।
আশীষের বাবা। বন্ধুর বাবা। সুইসাইড।
কল্যাণদা। জামাইবাবু। ক্যান্সার। ৫০।
বুবাইদি। পিসতুতো দিদি। অ্যালকোহল ওভারডোজ।
৪৫।
বিধানানন্দজী মহারাজ। মিশনের হেডমাস্টার। হার্ট
অ্যাটাক। ৫০।
সুভাষদা। মিশনের স্বপ্নের ইংরিজি মাস্টার।
শুভঙ্কর দাস। শুরুর দিনের
স্বপ্নের কবি। হার্ট অ্যাটাক। ৬০।
তুমি মৃত্যুর জন্ম দিয়ে, জন্মের জন্ম দিয়ে
পৃথিবীর শাশ্বত ধারাকে কি করে করছো লালন
আমি জানি…
খালি
তাই চলে... চলতেই থাকে... পরিত্রাণহীন প্রতিক্ষণে মৃত্যু খালি চলেএএএ প্রেতলোকের
বৈতরণী বেয়ে... প্রতিটি ক্ষণ পরক্ষণেই মরে যায়... যা আছে তোমার মনে তাই অভিক্ষেপিত
হয়ে প্রতিটি ক্ষণেই তোমার জীবন নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গী তোমাকে ক্ষণে ক্ষণে আরো বেশি
বাঁচাতে বা মারতে থাকে... মনই মনের মিত্র, মনই মনের শত্রু, ব্যক্তিসত্তার
স্বতঃস্ফূর্ততা মরে যেতে থাকে... প্রতিদিন বেঁচে ওঠে... আবারও মরে, বাঁচে...
এইরকমই কালী খালি ধেই ধেই নেচে চলে...
#
#
#
এবং আমার কিছু অনেকান্ত গল্পের অন্তঃঃ
শববাসনা – ওঁ নমঃ শবায়
ওঁ নমোঃ মনোঃশবায়।
মৃতের যা যা গুণ তাই অ্যাডাপ্ট করে
নিলে তবে তার মতো হওয়া যায় কারণ গুণই পারসেপসন বস্তুর। আর মৃতের কোন ইন্দ্রিয়জ চাহিদা
থাকে না, ক্ষুধাতৃষ্ণা মূত্রত্যাগাবেগ শীতলতা বোধ থাকে না। সে ইন্দ্রিয়ের দুর্গদ্বার
রক্ষার অসম লড়াই লড়ে যাচ্ছে। জড়বস্তু মনকে একেবারে মৃতজড়ে পরিণত করার লড়াই। ফুসফুসে
বাতাসের ঝড় কমে আসছে, ভাটা আসছে ধমনীনদে – পঙ্ক দূষণে চলচ্ছক্তিহীন। হৃদয়ের দাদামা
হাড়িয়ার নেশায় হাত ক্রমশঃ শ্লথ হতে থাকে, শীতাতপের নিন্মতমতা উদোম চামড়া মাসলে ধনুষ্টঙ্কারের
শব্দ ধীরে ধীরে বাড়াচ্ছে, পেশী নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যাচ্ছে ধীরে, তবু ধীরে। পেটের পূর্ণিমা–অমাবস্যা কমে আসছে, বন্ধ চোখে তৈরি
হচ্ছে না আর কোন তীব্র হলুদের ক্যালাইডোস্কোপ – নাভি ও ও পুরুষের বোঁটা একেবারে সমান্তরাল
রেখার যাবতীয় ধর্ম মেনে… জ্যামিতির সত্যের মতো ধ্রুবক হয়ে যেতে চায়। নিজের তোষকের নীচে
শ্মশানের চিতার ছাই আর মড়ার কাপড় রেখে শবসাধনা অভ্যাস করে চলে। নিজে নিজেকে বোঝায় মনে
মনে বারবার আওড়ায় আমি শব –
তবে নিজের মধ্যে প্রতিধ্বনি হতে থাকে আমি শব
…
আমি শব …
যে শবসংহিতা এ লেখা জুড়ে, গল্পের উদ্দেশ্য
কিন্তু তার ঠিক বিপরীত।
প্রতিটি সময়েই একটি করে সময় আসে, প্রতিটি
সভ্যতায় একটি সভ্যতার থাক, প্রতিটি ডাইনেস্টিতে দু এক রাজার কাল, সাংস্কৃতিক বিকাশের
একটি অবস্থা আসে যখন সব থমকে দাঁড়ায়, পাগলের ফ্যালফ্যালে চাহনির মতো। সময় তখন শবাসন
বিলাসে ভেসে যায়। একেবারে নির্বিকার নির্লিপ্ত স্বেচ্ছা নির্বাসন। মগজে কার্ফিউ। প্রতিটি
শতকে এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী আত্মহনন প্রবণতায় মেতে ওঠে, আকণ্ঠ অতৃপ্তির গরলে চুর হয়ে
বিচ্ছিন্ন বাস্তব বিচ্ছিন্নভাবে অ্যাসাসিন হয়। সে জানত সে নিজেই জানত শিল্পী হিসাবে
সে শুধু আত্মপ্রবঞ্চনা আপোষ করে গেছে। শিল্পীর ক্রাইসিস নয়, শিল্পীর পলিটিক্স
ব্যবহার করে লাসকাটা ঘরে
পচতে পাঠিয়েছে শিল্পসত্ত্বা চিন্তনশক্তিকে। সহ্য করতে করতে শবাচার করতে করতে নিজের
চারপাশটাকে শিকড় শুদ্ধ নিয়ে শব করে দিতে চায় অজান্তে। মেরুদণ্ডহীন সত্যি কথা বলার সাহস
হারানোদের পলায়নবাদীতা। তবে এ তাদেরই এলিজিবিলিটির এক ধৈর্য্যপরীক্ষার অমীমাংসিত টেষ্ট
ম্যাচ। জেনারেশনের পর জেনারেশনে যখন যখনই তার চৈতন্য বুদ্ধি বিবেক – নিজেকে অজর প্রতিক্রিয়াহীন বাকরুদ্ধ
শ্বাসরোধী শবাসনে নিষ্ক্রিয় করে ক্ষমতার বাহন হয়েছে, তখন নতুন খোলা সময় এসে মনে করিয়ে
দিয়েছে যাবতীয় বুদ্ধিমত্তাকে নিয়োজিত নিবেদিত থাকতে হবে ক্ষমতার সমালোচনায়, শবের মতো
নিষ্ক্রিয় ননসেন্স ক্ষমতা লেহন তোষণে নয়।
“সময়ের হাতে এসে মুছে
ফেলে আর সব ... মানুষের আয়ু শেষ হয় ...
সমস্ত সংকল্প কাজ একটি
ওঁ কার তুলে মহাশূন্যে লীন হয়ে যায় …”
তবুও আমাদের মধ্যে সবাই দ হয়ে হযবরল
শব হয়ে থাকতে শেষ পর্যন্ত থাকতে পারে না, শমন হয়ে রুখে দাঁড়ায়, সকল শবসময়ের শেষে আবারো
বারে বারে দাঁড়াবে।
“লেখালেখি আরও একটি ক্ষমতার উৎস, সুতরাং সমস্ত
মস্তিষ্কস্ফীত লেখকদের লণ্ড কেটে নাও”, লিখেই নির্বিকার মহাজান বোধে ইমন কল্যাণের প্রেমে বাঁধা স্কিৎজোসোমাটিক শ্লোগান দেই ওই—
সমাজ উচ্ছিষ্ট বেকার লেখকদের নারী, রোদ ও মদ্য সংস্থান অন্ততঃ
১০০ দিন স্কিমে অভয়ারণ্যবৎ সংরক্ষিত করা হোক, হউক...
রাষ্ট্রপতি আসছেন দ্বিতীয়
আমি
অপু ট্রিলজিতে শুধু মৃত্যুচেতনা খুঁজি,
মারা যায় দুর্গা, সর্বজয়া ও অপর্ণা—যথাক্রমে দিদি, মা ও স্ত্রী—ব্যক্তির জীবনের
তিন স্তম্ভ আর এ গল্পও তো এক মৃত্যু ট্রিলজি—আদর্শের মৃত্যুগাথা—বিশ্বাস খ্যাতি ও
সত্ত্বার মৃত্যুগাথা—গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কথা ভাবি—ভাবি মানুষ নিজেকে
বিখ্যাত করতে গিয়ে নিজেকে ফাউয়ের মতো বেচে দেয়—কত পরিশ্রম, নিয়ত অভ্যাস, যন্ত্রণা,
ক্লেশ, সংযম ও সাধনা, কত কী... শুধু নিজেকে বিখ্যাত করতে—কিন্তু সত্যিটা অন্যত্র
যে প্রতিটি মানুষের নিজস্ব মাধ্যাকর্ষণ মেকানিজম্ আছে ও সেখানে তার নিজস্ব ভুবনের কেন্দ্রে সেই—সে এক ও একমেবাদ্বিতীয়ম্ বিখ্যাত। সে গিনেজের প্রতিটা পাতার প্রতিটা এন্ট্রিতে শুধু নিজেকেই দ্যাখে এবং বাস্তবে এই রেকর্ডবুক ও তার গ্ল্যামারটাই সত্য—এই অস্বাভাবিক ইচ্ছাগুলোই বাস্তব আর বাস্তবটা যেন ব্যতিক্রম—বাস্তবে কারও আর কোনো স্পৃহা নেই,
বাস্তব বাড়ি বাড়ি মাধুকরী করে না খেতে পেয়ে সর্সর্কে
মারা গেছে সকলের অগোচরে, অবজ্ঞায় অবহেলায় তাদের সবার যাদের নাম গিনেজে আছে আর যারা
স্বপ্নে মেক বিলিভে গিনেজে আছে ভাবে তাদের সবার সম্মিলিত পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে
সাধারণ মানুষসুলভ বাস্তব মারা গেছে—মেক বিলিভের
গলিত স্থবির সত্ত্বার মেকি আদর্শের বাইরে আর কিচ্ছু নেই কারণ বাস্তব
অবিশ্বাস্যরকমের সাদামাঠা হয়ে গেছে,
তাই তা এখন দুচ্ছাই উপেক্ষণীয়—এখন either consciously or unconsciously the too
truth to be true is the only truth on the surface of imaginary named reality!
পাগলের মাথার নিলাম
তবু শেষাবধি মানুষ কিছু উত্তেজক মুহূর্তেরই
দাস।
সে বলছে, এ কী?
আমি সুইসাইড কিনেছি।
আড়াই সেকেন্ড দেরি হচ্ছে কেন?
বা হয়ত একদিন শোনা যাবে যে খুন করার
অভিজ্ঞতাও অর্থ দিয়ে কেনা যায়।
সেই AsMan জ্যান্ত, গোটা দুই অর্ডার
ছিল যে!
ভাইকিং গুহাচিত্র থেকে বেরিয়ে এসে
ব্যপন পদ্ধতিতে রক্ত মিশিয়ে দিলো পৃথিবীর জলে ছলাৎ ছলাৎ অনেক রক্তনদী বেয়ে বহুদিন
পর গিলগামেশের কোলের পোষ্য সিংহের মতো গর্জনহীন মৃদু হয়ে যাবো…
প্রিপ্ল্যান্ড ভাবে??!! জলে জল
মিশে গেলে সিটিলাইটস। ইউ অল্ সেভড মাই লাইফ টুনাইটস।।
এবং ওই যা হাস্যকর, I'm suffering from too much
happiness
কর্ণমলজাতব্রহ্মাণ্ড
কর্ণমলজাত মধু-কৈটভ দৈত্যদ্বয় ব্রহ্মার অস্তিত্ব বিনাশে তৎপর হয়েছিল। কারণ সৃষ্টির…
বিগ ব্যাংগ-এর আদিনাদ কর্ণগোচর… এভাবে কানই আদি ইন্দ্রিয়।
তবে জৈনমতে আত্মার চারপাশে কর্মফল কালো ধোঁয়া হয়ে জমে আর তান্ত্রিক মতে জীবাত্মার
চারপাশে জমে মল। শ্রীচন্ডী তন্ত্রপ্রভাবী হলে তবে বেদ-তন্ত্র দ্বৈরথ ভ্রম দূর হয়…
সদাশিব পরমশিব ও শিশুশব… পুরুষের এত ভ্যারাইটি গীতা সাংখ্যদেরও হার মানায়…
এ পৃথ্বী রক্ত-মাংসস্বরূপিনী- ‘মধু’মেদসম্ভূতা…সুতরাং দ্বিধাহীন শয়তান সাধনে ব্রত
হও…
আর আদিকল্পের অবসানে এযুগে এক সাপ গোলাকার ঘুরেই চলেছে ঘুরেই চলেছে নিজের লেজখাদন
লালসায় যার নাম ডিজিটাল প্রতীক্ষা আর আনমনে এত ভুলে যায় যে ভুলে গেছি বয়স্কিবায়ু সিউডোকুন্ডলিনী
- শেষে রামসহায়ে তার আমি-আঁতলামি আশ্রয় পেয়ে থাকে।
আর এক রিংটোন পরাবাক্, মধ্যমাবাক্ আর বৈখরীবাকের তিন বৃহত্তর হতে থাকা ওয়েভে
জানান দেয় তুমি কথা বলার ফোন তোলাবার তরে কারও অ্যাটেনশন চাইছো আর প্রতীক্ষায় বুড়ো
হয়ে যাও জীবনের অনেক ম্যাজিকে মুহূর্ত জমা হতে হতে ক্ষণবাদে আর মাধ্যমিকের ফ্রি অফ
কস্ট অপচয়ে... বহুত অচ্ছে লেজেই লজ্জা ঢাকা যেত সারল্যে... বাকিটা ধাঁধাঁনিয়া।
কর্ণ কৌরব সংবাদ—অবতার সংস্করণ—হোমো ফ্লেবার্ড—একটি বাজে প্রগল্প
নারী হলে, যতই
কুরূপা হোক, তার নির্বাচন আছে প্রত্যাখ্যান আছে তার চাহিদা জোগানের সৌন্দর্যবাজার
রয়েছে জানি। তাই নারী at least এমত ‘বাজেগল্প’ লেখে না। শুনেছি দিব্যদৃষ্টি হয়, এজন্মেই
যদি একবার নারীদৃষ্টি দিয়ে চারপাশটাকে দেখা যেত!!!
তোমাকে ব্রহ্ম বলি -
ক্রমে সোহহং প্র্যাকটিশ করে করে ব্রহ্ম স্বয়ং হই - সর্বক্ষমতা সম্পন্ন ব্রহ্মরূপে
নিজেকে দাবি করি। তোমাকে আদ্যাশক্তি বলি, ক্রমে তপস্যার শেষে হই প্রকৃতিরমণ।
নিজেকে প্রাকৃতিকে উন্নীত করি। তোমাকে আমি আমারই স্বার্থে স্বদন্ত ঈশ্বর বানাই,
অবতারত্ব আরোপ করি সে তো নিজেকেই নিজে ভক্তি করবো বলে, ভক্তের অহংকারে উন্মাদ হব
বলে তবে ক্ষ্যাপা খুঁজে ফেরে মানবে ঈশ্বর।
এক ছিল-বিভক্ত হল-আবার
মিলে যাওয়ার কামনা লয়ে ব্যর্থ হয়ে ফেরে আমরণ!
রাধার মত বলি তুমি ও আমি
উভয়েই এক বুড়ি চাঁদ দেখছি, তাই মিলে যাচ্ছে আমাদের নয়নযুগল, তুমি আর আমি এই
পৃথিবীতেই বর্তমান আছি একই সময়ে, তাহাই কেবলানন্দ, সহজ বিরহে বেঁচে আছি।
ধে ধে ধে রঙ্গ ভঙ্গ/বাজে
অঙ্গ সঙ্গ মৃদঙ্গ/ গাইছে ছন্দ ভকতবৃন্দ/আরতি তোমার – শুভ শুভ, শিব শিব আরতি তোমার।
শ্রীচরণে শ্রীকৃষ্ণায়অর্পণমস্তু।
And they lived happily
ever after ও এরকম অসংখ্য মাল্টিপল ওপেন এন্ডিংয়েরা...
মাংসের সন্তান – a flesh borned out of desire of flesh
বিষণ্ণ
বারবিলাসিনী বা তার মতো রূপশালী নুন
এক কন্যা গজ
গেলে
এসো বোসো আমার
ঘরে
বোঝো তো
নিশ্চয়ই!
আসি যাই –
গজমাংসে পুষ্ট শরীর ভোগ করি – ভাবো তো কি নরম!
- মা, বাবা বিছানায়
কেমন ছিল?
মা, বাবা তো একটাও
রবীন্দ্রসংগীত জানে না। একটাও সিনেমা তোমাকে দেখিয়েছে বলে মনে হয় না ...
ভিক্টোরিয়া কি গঙ্গার পাড় কি কফিহাউস... নাঃ, প্রেম করতেই
জানে না লোকটা – ভোকাট্টা কাঠখোট্টা টাকা আনা পাই লোক একজন – কিভাবে সারাটা জীবন
কাটালে মা মানুষটার সঙ্গে?
- তোমাদের চাহিদা
মেটাতেই যে ওনার সবটা জীবনীশক্তি ক্ষয় হয়ে যায় হেম। কর্তব্য তো সারাজীবন যথাযথভাবে
পালন করে গেলেন। প্রেমিক ছিলেন না, প্রেম দেননি
কখনও অবহেলা আঘাতও তো করেননি! কম্বলটা ঠিকমতো গায়ে জড়িয়ে শোয়, ডিসেম্বরের রাত, জানলার পাট
ভাঙ্গা, নিজের যত্ন নাও, মানুষের সমাজে
বাস করার মতো হও হেম। মনে রেখো ওনাকে নিয়ে উচ্ছ্বাসের যেমন জায়গা নেই, অভিযোগেরও অবকাশ
নেই। সুখী কি না জানি না, শান্তিতে আছি।
একটি গদ্যের নামঃ
লিটিল ম্যাগে
লেখার স্বাধীনতা- বুদ্ধিহীন ছোট বুদ্ধিজীবীর ফর্ম উদযাপন- প্রগদ্য প্রগল্প ফর্ম-
আমার স্বাধীন ফর্মচেতনা – আমার অক্ষমতাই আমার সর্বাপেক্ষা বড় সক্ষমতা – my weakness is my
uniquest form personified , স্বভাবসিদ্ধভাবেই-
সাইকিয়াট্রিক বকবকানিগুচ্ছ...
“ক্ষমতাকে আমি স্বার্থপরের মতো
বিরোধিতা করি”। পাবলো নেরুদা।।
A reader’s
diary-চিন্তার নোটবইঃ কিয়দঃশ
Existence is humiliating. Not anyone’s, not of mine, but
the very word existence. Reflection শব্দটির যথার্থ বাংলা প্রতিশব্দ খুঁজে পেলাম
না। So this word remains absurd to me. ভাবি ডিকশনারি খুঁজলে এমনও কিছু শব্দ পাওয়া
যাবে যাদের বয়স আমার থেকে কম। অর্থাৎ ভাষার পূর্ণতার দিকে যাত্রার ইতিহাসে আমার
চেতন পূর্ণ আবার খন্ডিতও বটে। খন্ডিত, এমনকী হরিচরণও, এখনও কত শব্দ আবিষ্কৃত হবে,
হতেই থাকবে তদ্ভব, যা এখনও ভাষামানুষের অবচেতনে কল্পনায় নেই। তবুও ভাষা ও অভিধান
ছেঁচে আমরা বানিয়েছি মানুষের পারসোনালিটি ব্যাখ্যা করার পাঁচটি বৃহত্তম খোপ। Big Five
Factor Model. Openness to experience, conscientiousness, Extravert- introvert,
Agreeableness & neuroticism (OCEAN). যে কোন ভাষার কোটি কোটি বিশেষণ এই পাঁচটি
খোপের অন্তর্গত হয়ে লেক্সিক্যালি মানবচরিত্র বিশ্লেষণ করে যায়। ভাষা সুতরাং অবচেতন
গঠনে নয়, আভিধানিক সচেতনেও সর্বশক্তিমান। ভাষা সাপেক্ষে আমরা সকলেই ভাসমানুষ!
The finite and limited character of human existence is
more primordial than man itself. একটু অপেক্ষা করে যাও, যতক্ষণ না বেসিক অ্যাংজাইটি তার
থ্রেশহোল্ড অতিক্রম করছে আমার স্যুইচ জ্বলবে না। একটি চাহিদা যা নিউরোটিক পর্যায়ে
না গেলে ঠিক মেজাজটা পাচ্ছি না। আমি আমার যাবতীয় সাইকোসিসকে সমস্যা ভাবছি না বলেই
কোনরকমে টিকে থাকা এই স্বাভাবিকত্বটিকে একান্ত ব্যক্তিগত বলে জানি।
How long it
will take to be a concrete I from this habitual anonymous i? My dear don’t you
know that the end of a mind is the failure of a model?
লড়াইটা এক শ্যেনপক্ষীর
শক্তি থাবা প্রভুত্ববাদের সঙ্গে শ্বেতকপোতের শান্তি অহিংসার অহংকারের। লড়াইটা দুটো
মডেলের। এবং আমার পরাজয় মানে আমার জীবনদর্শনের পরাজয়। আমার মডেলের হার মানে ডেথ অফ
মাই মাইন্ড।
কনশাসনেস আমাদের সম্পূর্ণ প্রতারিত করেছে। মানুষ তার অহং
দিয়ে যাকে আক্রমণ করে না, সে একমাত্র “আমি”। এক রণমুখী ঘোড়া যেন... যথেষ্ট কনশাস
হয়েও যাকে থামানো যায় না। “ Everything egoistic has came to disgust us, even though
we realise impossibility of unrealistic.”
মায়া দ্য
ইলিউসন, যাবতীয় স্থিতাবস্থা বজায় রেখে দিয়েছে। এবং স্বপ্ন সিম্বল আর ড্রিমওয়ার্ক
দিয়ে নিজের থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখছে defence mechanism. And even the 3rd
degree of torture is not enough but 5 degrees of simulation discloses the
“post” plays within. There is nothing more than or less than nothingness. বৃহত্তম
অপেক্ষাও বৃহৎ ক্ষুদ্রতম অপেক্ষাও ক্ষুদ্র। এবং
এই আছে আছে, নেই আছে, আছে নেই, নেই নেই, আছে শূন্য, নেই শূন্য এবং দি শূন্য... synthesis is
marv, honey!
যেটা আমি বুঝলাম
না সেটা হল নন সেন্স।
যেটা আমি বুঝলাম
না সেটা হল নন সেন্স।
যেটা আমি বুঝলাম
না সেটা হল নন সেন্স।
যেটা আমি বুঝলাম
না সেটা হল নন সেন্স।
যেটা আমি বুঝলাম
না সেটা হল নন সেন্স।
এবং এই একই যুক্তিতে যার পদ্ধতি ভালো তার সব ভালো।
পেট্রোলের দাম ডলারের হার রুলিং পার্টির সাংসদ সংখ্যা আর প্রসেসারের স্পিড দিয়ে একটা সময়কে বোঝা যায় না, যায়নি কখনও।
তোমাকে সরি বলতে পারলাম না তার জন্য i m sorry । বস্তুত আজকাল আর অন্যের দুঃখে দুঃখিত হতে পারি না। আর এই যে পারছি না তার জন্যও কোনপ্রকার দুঃখ অনুভব করি না। অথচ রবীন্দ্রনাথের ম্যাচিওরিটিকে বরাবর আমি জ্যোতিবাবুর থেকে বেশি পেয়েছিলাম...
-
আর আপনি আমার প্রেমে পড়ে গেলেন?
-
নিশ্চিত তুমি? এমন নয় তো নিজেই নিজেরই অজান্তে নিজের কাছে
প্রেমের ভাণ করছি? না হে নিজে নিজেকে সিওরলি বোঝাতে পারছি না যে তোমার প্রেমে
পড়েইছি... ওটা একমাত্র প্রথম প্রেমেই আমার ১০০% নিশ্চয়তা ছিল... দাঁড়াও বাপু,
আপাতত কিছুই বলতে পারছি না... কী একটা দরকার... হ্যাঁ একটু মদ...
its high time to take a decision on whether this is the proper time to take a decision against the threats of reality which has taken malign decisions a long time ago against me. Decision নিতে গেলে যে যুক্তি পথ দিয়ে হাঁটতে হয় তার অলসতা অর্থাৎ হাঁটার অলসতা তার যদিও down the memory lane হাঁটাটা মনে হয় ইডেন গার্ডেন। যদি তার কোন ক্রনিক ব্যারাম থেকে থাকে তা হল আলসেমি। অথচ লোকটা চালাকও নয়। কী ডেঞ্জারাস কম্বিনেশন! লোকটা এতদিন বেঁচে আছে কীকরে! এত অসম্ভব কম ভেবে, এত এত স্থবির এত এত যে মাঝে মাঝে বোধ হয় মাথাই নেই অথচ দেখো ফর্ম আছে। তাও সে সিদ্ধান্ত নেয় না, ডাক্তার দেখায় না, ক্ষেপেও ওঠে না, অলস আলসেমিতে থাকে।
থ্রি মাস্কেটিয়ার্স বা রত্নাকরের রামরা এভাবেই একটা ম্যাগাজিন চালাতে থাকে দুর্নীতি ও নোংরামির পয়সায়, যার উৎসমুখ হলো সেই ছোট্ট পত্রিকার সাথে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতাঃ প্রোলংড হার্ডমেটাল ও তার অ্যালকামিটদের একমাত্র জুজু – মুদ্রারাক্ষস, যা অতিক্রম করেই বানিয়ে নিতে হবে প্রতিমহাকাব্য, নিরজনে প্রভু নিরজনে ...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন