![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৫০ |
পোড়ে আমিত্ব
ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করে প্রতিদিন পোড়ে আমিত্ব
পুড়তে পুড়তে ছাই হয় ছবি চিৎকার শুধুই সর্বত্র
বাক্যে ধরে না আওয়াজটুকু জেদ ধরেছে রোদ্দুর
পায়ে পায়ে উঠে আসে আলতাছাপ নরম সুন্দর
কাঠের পেঁচারা সারারাত একনাগাড়ে ডাকে সুরে
নিদ্রাভঙ্গে হতে পারে দন্ড কেন আমি আমি করে
পুরনো আমগাছের নেই কোনো দুঃখ সে সবজান্তা
শিশিরে ভিজে যায় বৃদ্ধ-শরীর তবুও চুপচাপ থাকে
এবাড়ির সব স্লোগান নিশ্চুপ হয়ে গেছে ঘাতে ঘাতে
প্রতিদিন পোড়ে আমিত্ব আর রোদ্দুরে পোড়ে দূরত্ব
সাধু না ফেরেস্তা
সিঁড়ি ধরে ধরে নামছি একেক তলায় আলোদের রেখে
নিচতলায় কম আলোয় বেরিয়ে দেখি সরু পথ অচেনা
বুকপকেট থেকে হালকা হয়ে নেমে গেছে তস্য ঠিকানা
নিজেকে সাধু বলি না ফেরেস্তা ফুরফুরে লাগে বৈরাগ্যে
দিলখুশ বাতাসে ওড়ে নানাবিধ ঐতিহাসিক বাস্তব সত্য
যেদিকে যাই না কেন পেছনে ছুটে আসে ফিসফিস কথ্য
প্রশস্ত বালুচরে দৌড়ে যাই পা থমকে দাঁড়ায় ঝানু
পাথরে
মনে হয় গা ডুবিয়ে স্নান করি গভীর পুকুরে থৈ থৈ
জলে
বিনয় ধকল সইতে পারে না কিছুটা অবিন্যস্ত ভাষা জোটে
তোমার ভাষার সঙ্গে মেলে না… মিষ্টতা শুধু অস্ফুট
ঠোঁটে
বিরামচিহ্ন
কোথাও কোনো চিহ্ন নেই এমনকি বিরামচিহ্ন পর্যন্ত
শুধু শ্বাস নিতে নিতে গরম হাওয়া আসে যায় বাতাসে
আরও কিছুক্ষণ কিছুকাল অন্তরায় কাটে যত্নে অযত্নে
রেফারিহীন এমন খেলায় মেতেছে আজ অপরাহ্নবেলা
কীভাবে উল্টেপাল্টে দেখা হয় লাবণ্য লুডুখেলা বন্ধ
রেখে
দূর থেকে আসা মুসাফির এক শুধু ভালোবাসা পদ্য লেখে
বিন্দু বিন্দু ঘাম শিহরিত অব্যয় প্রচুর অক্ষর বিন্যাস
হলো
কোনো বাক্য ফেলনা নয় পুরনো কাগজে লেপ্টে রাখা
খত
ছাদে উঠে জ্যোৎস্না দেখ কবলিত ইচ্ছা প্রলয় বোঝে
কোথাও কোনো চিহ্ন নেই এমনকি বিরামচিহ্ন শেষে
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন