প্রবেশপথ
শ্রীরামপুরের রাস্তা দিয়ে হাঁটছি স্কুলের এক বন্ধুর সাথে। আগামীকাল আবার এক বছরের জন্য বিদেশ যাত্রা। গঙ্গার ঘাট বরাবর বিদায়ী আঘ্রাণ গ্রহণের বাসনা বেশ প্রবল বলা যায়। সিগারেটের দোকানের পেছনে একটা ভাঙ্গাচোরা মন্দিরের চূড়ো চোখে পড়ল। আমি শ্রীরামপুরে থাকি না, কিন্তু আমার বন্ধু আদ্যন্ত শ্রীরামপুরিয়ান, তাকে শুধোলুম মন্দিরটার নামধাম বা তার সম্পর্কে ওর কিছু জানা আছে কিনা, কিন্তু সেও বিশেষ কিছু বলতে পারল না। সব থেকে অদ্ভুত ব্যাপার হলো, কোনোদিক থেকেই মন্দিরটায় ঢোকার কোনো রাস্তা পাওয়া গেল না। একদিকে ফ্ল্যাট আর অন্যদিকে মাঠ, দু’দিকেই পাঁচিল। হারিয়ে যাওয়া একটা সময়কে ঘিরে নতুন সময়ের অনেক কিছু গজিয়ে উঠেছে আর পুরনোটা কেমন ফেলনা হয়ে গেছে। শেষ ওব্দি সামনের ইস্তিরিওলাকে জিগোলাম, মন্দিরটায় কি ঢোকা যায় আদৌ? সে হেসে বললো, ‘না, ঠাকুর আটক হয়ে আছেন, নিজেই রান্না করে খান। ঢোকা বেরোনো বন্ধ’। আমরাও হেসে এগিয়ে গেলাম রাস্তা দিয়ে। সামনে একটা ভগ্নপ্রায় চার্চ। তবে এখানে ঢোকার পরিষ্কার একটা গেট রয়েছে, যদিও সতর্কীকরণ চোখে পড়ল যে, এ বাড়ির আশেপাশে থাকা বিপদজনক। এখানে অবশ্য মেরামতির কাজ চলছে। দেখলাম, ব্যানারে লেখা আছে, কাজটার ফান্ডিং আসছে সাত সমুদ্র পেরিয়ে পাবলিক লাইব্রেরি অফ ডেন্মার্ক্ থেকে। বিকেলের পড়ন্ত রোদে চার্চের বন্ধ ঘড়িটা এক চিলতে মিচকে হাসি হেসে দিল আমায় দেখে। আমি আমার বন্ধু স্নেহাশীষকে বললাম, এবার আসি। আবার এক বছর পর দেশে ফেরা। তখন দেখা যাবে মন্দিরটার কি হয় আর চার্চটারই বা কি?
শ্রীরামপুরের রাস্তা দিয়ে হাঁটছি স্কুলের এক বন্ধুর সাথে। আগামীকাল আবার এক বছরের জন্য বিদেশ যাত্রা। গঙ্গার ঘাট বরাবর বিদায়ী আঘ্রাণ গ্রহণের বাসনা বেশ প্রবল বলা যায়। সিগারেটের দোকানের পেছনে একটা ভাঙ্গাচোরা মন্দিরের চূড়ো চোখে পড়ল। আমি শ্রীরামপুরে থাকি না, কিন্তু আমার বন্ধু আদ্যন্ত শ্রীরামপুরিয়ান, তাকে শুধোলুম মন্দিরটার নামধাম বা তার সম্পর্কে ওর কিছু জানা আছে কিনা, কিন্তু সেও বিশেষ কিছু বলতে পারল না। সব থেকে অদ্ভুত ব্যাপার হলো, কোনোদিক থেকেই মন্দিরটায় ঢোকার কোনো রাস্তা পাওয়া গেল না। একদিকে ফ্ল্যাট আর অন্যদিকে মাঠ, দু’দিকেই পাঁচিল। হারিয়ে যাওয়া একটা সময়কে ঘিরে নতুন সময়ের অনেক কিছু গজিয়ে উঠেছে আর পুরনোটা কেমন ফেলনা হয়ে গেছে। শেষ ওব্দি সামনের ইস্তিরিওলাকে জিগোলাম, মন্দিরটায় কি ঢোকা যায় আদৌ? সে হেসে বললো, ‘না, ঠাকুর আটক হয়ে আছেন, নিজেই রান্না করে খান। ঢোকা বেরোনো বন্ধ’। আমরাও হেসে এগিয়ে গেলাম রাস্তা দিয়ে। সামনে একটা ভগ্নপ্রায় চার্চ। তবে এখানে ঢোকার পরিষ্কার একটা গেট রয়েছে, যদিও সতর্কীকরণ চোখে পড়ল যে, এ বাড়ির আশেপাশে থাকা বিপদজনক। এখানে অবশ্য মেরামতির কাজ চলছে। দেখলাম, ব্যানারে লেখা আছে, কাজটার ফান্ডিং আসছে সাত সমুদ্র পেরিয়ে পাবলিক লাইব্রেরি অফ ডেন্মার্ক্ থেকে। বিকেলের পড়ন্ত রোদে চার্চের বন্ধ ঘড়িটা এক চিলতে মিচকে হাসি হেসে দিল আমায় দেখে। আমি আমার বন্ধু স্নেহাশীষকে বললাম, এবার আসি। আবার এক বছর পর দেশে ফেরা। তখন দেখা যাবে মন্দিরটার কি হয় আর চার্চটারই বা কি?
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন