কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১২৪

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১২৪

সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০১৪

১২) রত্নদীপা দে ঘোষ

ফিলামেন্ট

জরিসুতোর নখ

তুমি খুঁজে পাও শালিখগাছ
শালিখপাখির পাতা
পালকের ঘর বারান্দা সিঁড়ি

তোমার বাড়ির সামনে থইথই বসন্ত
দ্যাখো হে

একরোখা কুড়িটি আকাশ
বিদ্যুতের পিঠ
এইরকমই এক পূর্ণচাঁদ
নাম রেখেছি ভো-কাট্টা

সেইসব লাল নীল ভিড়
বাল্বের ধুলো
কাটাঘুড়ির ছোপ

দেখতে দেখতে কতগুলি ফিলামেন্ট
কেটে গেলো



কর্নার

এইসব বিনিউল্কা, এই অনবরত গ্রিনহাউস তোমার চেনা। তুমি হেসে উঠছ জ্ঞানী মেঘের মতো। ঈশ্বরের পাপী সিংহাসন, কামার্ত চোখ... ডিঙ্গিনৌকোর চেয়ে প্রবল কোনো ঋতু... হে একশো বছরের পুরনো শরৎঅপেরা... তোমাকে জানবো বলে তোমার কাঁধ বরাবর কোনোদিন ভ্রমের জ্যোতিষী লিখিনি... উল্লসিত ঘোড়াগুলি কেবলই ছুপাছুপি খেলছে মহীনের সাথে... কেশর ঝুলছে আশ্বিনের মধ্যতালু... বনঝাউয়ের পাতকুয়ো... জোনাকির পশ্চিমদিক
কিউবিক আদলে সরে যাচ্ছে মেহেন্দিন্যুড...



হেমন্ত

ক্লিভেজে ভর দিয়ে মিছিল পেরচ্ছে আঙুল। সবুজ গালিচা। কী ভীষণ হেমন্তঘড়ি। বৃক্ষগান কি আক্রেলিকের কলম? হঠাৎ মনে পড়া স্বপ্নের মধ্যে সৌরমণ্ডল, ব্রাহীন প্রজাপতির আতরফ্ল্যাগ... তুমি মুগ্ধ হেমন্তের প্রতিবাসরে, চাঁদপাড়া... সরগরম লোকালসিঁড়ি... আজ এক আশ্চর্য নাভি পেয়েছি... হেমবর্ণ। মল্লারে কেঁপে উঠেছে বেহাগ, প্রেক্ষাগৃহের আগুন... ঘুমের মধ্যে পুড়িয়ে দিই যে কবিতা, তার শুদ্ধতা তোমাকেও হেমন্ত পরাতে জানে। যদি ইচ্ছে হয় এইসব হেমন্তের সামন্ততন্ত্র নিয়ে বসি। হেমন্তের কাচ চারিয়ে যায় রক্তে। আলগা অনুচক্রিকার মতো হাইরাইজে জট পাকানো মৈথুন... বড়ো নড়বড়ে মাস্তুল। শিকড়ের নিচ দিয়ে বয়ে যায় তোমার হৃদপিণ্ড, আস্ত লাবডুব... সেখানে নাকি কাতারে কাতারে হেমন্ত...

1 কমেন্টস্: