কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০১৪

০৩) প্রদীপ চক্রবর্তী

প্রমোটার


(১)

মৌনহারা বনের শরীর থেকে পাতা এসেছে
এদেশের তোবড়ানো চানাচুরের ঠোঙায়
পাড়ভাঙা হাবিজাবির মতো নীল বিষাদিয়া নিষাদ
পেখমের সর্বোচ্চ উপশম একটুকরো অলিগলি
পাথর ভাঙার বাঁধন
এখন আমার চারপাশে মনে হয় যেন
                                          শূন্য মুঠিতে ধরা
                                                      নীল বিষাদিয়া নিষাদ...

ছাপোষা তরু-ময়ূর...
প্রমোটার এগোচ্ছে পরাহ্ন- অপরাহ্নে- গুনগুনিয়ে
হোটেল ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে স্তূপ স্তূপ পেঁজা তুলোয়
                                                  রোদ্দুর ছোঁয় সেভিং ক্রিমের গন্ধ
                                                             তার ছায়া বিছিয়ে দিয়েছে ফোঁটা...


(২)

কলম মিশিয়ে শীতের শেষ লিখছেন প্যাপিরাস
কাঠ-কুটো জ্বলৎ জ্বেলে কেউ রেঁধে নেয়
                                               শব্দের মতো শব্দ ভেঙে এই অ্যালকেমি
সেখানে একজন লোক এন্তার সাঁতার কাটছে
খুব কাছ থেকে ক্রমাগত ভেঙে যাচ্ছে চারপাশে
                                                   ভাঙা ভাঙা বুদবুদ
ডিমফোটা গরমমসলা মুগ বা মুসুর
বধির একজন
চৌচির নির্জনের অনুনয় সংবাদ আনে
ভ্রূক্ষেপহীন বিজুরি আজো তার পার্লার...


(৩)

ভ্রমণ কাহিনীতে যেমন হয় কিশোরী আমনকর
বৃষ্টি দৃশ্যের মাঝখানে দুজনে তুমুল ধুলো
রংরুট পিয়নের গন্ধ
কাপে চা ঢালতে ঢালতে চানাচুর বিষে হিসহিস করে চুমু

ভ্রামক এসেছেন। অলীক ছেনালি কত শত।
শাকে মাছ ঢাকা। ধন্য আশা কুহকিনী
দানা ফসলের দেশে সনাতন চাষা।
                                             বিকচ মেসিন দলে দেহস্থ পুরীষ...

এবং সে কারণে আদিখ্যেতার আলাদা আলাদা ডাকনাম।
কালো- পোড়া ভ্রূণবীজ। হেমচন্দ্র শব্দ শ্রমণ।
                                                   পটুবাক ফিলমম্যান
পাহাড়তলীর দস্যু মেঘ। তারই ভিতর একমুঠো নরম হাওয়া
বানানো জীবনে সোনালী - চতুর্ভুজ!

কিছুই হয় না তবু রাগের রোটাণ্ডায়
                                                 রিনিঠিনি জলঢাকা
ঘরোয়া রেনট্রির ছায়াহরফ ছায়াফ্রেনিক
বন্ধুত্বের মতো তাজা এক স্পিঞ্জা দ্বীপ
                                                 মাতা সহায়... ভৃগুর শ্রীজাতক...
সামান্য না তীব্র বশীকরণ? ৩ মিনিটে ৩৫১ টাকায়
এবং কিছুই করতে পারিস নি
“কোথায় এখন তুই মাল বেচিস”-?
রাস্তার মেয়ে -“বাঁশি বাবু কি এয়েচেন’’?
দাঁড়া একটু ...

বোহেমিয়ান কাকে বলে, বুঝে নেবার চেষ্টা কর...।
নির্দয় না নিরভিমান ? ঘাতক না আত্মঘাতী?
সে মাঝে মাঝে হাসে কখনও কাঁদে না...!
সে প্রেমহীন যৌনতায় বড্ড আনন্দ পায়...
হে নিঃসঙ্গ সম্রাট বিভুতিরঞ্জন গাই
ভ্রাম্যমাণ অসীমানন্দ গাইড
১০৮ শিব মন্দিরের প্রভু শ্রীমৎ স্বামী পরমহংস হে,

ফুলেরও বৃষ্টি বড় অসহায়... বড় ত্বরাণ্বিত...


(৪)

বাস্তুহারাদের ঠোঁটে নিয়ে ব্যাকরণ উড়ে যায়
লাঙলের ফলায় এই শেষ রাত নিংড়ে অপাবৃত ঘুমলে
উড়ে যায় ফেনা ফেনা আলুভাজা

আলুভাজা = রজনীশপূরম
আলুভাজা = দুনিয়া দাবড়ে উলট- ঝাপরা খেয়ে
                                                                 সম্বিৎ ফিরে পায়
আমার মল্লিকা বনে রগড় লাগে খুব...

সমজদারির থিয়োরি ছাড়ো গুরু।
পসরা যে ভাবে খুনসুটিপনা মনে মনে ছাড়ে
স্নিগ্ধ মায়াবী স্বচ্ছ উন্মুক্ত একক জড়িত রোদ ও দোড়ের হল্লাবোল

সব ছাড়ানো ও ছড়ানো মৃদু ছোঁয়া
কি ছিল, কি যেন কোথায় ছিল
                                         কিছু কি নাছোড় থাকে?
                 অলিভ নীল বান্দা
                 শব ডহরের বুনো ডোম
                 মেঘ কিন্তু ট্যাঁস হলো না
                                                 হলো না অদ্ভুত
এক কলকাকলিতে নামিয়ে আনছে ব্যবহারহীন
                                                               আহির ভৈরবী ভূষা...
বস্তু তারই শিখা, বিসমোতির ঝরোকা
দিকহারার তড়াগে পাখি পাতায় স্তূপ হয়ে হয়ে তীব্র কিশলয়
হাওয়াপ্রয়াসী থরে বিথরে নহরপহর সহবাসহারা
আফোটা মুকুল মুখর...


(৫)

ভিজে একশা আমানি। জানে ও, এ-ও জানে গোলাপিবালা বাড়ির জানালা নীল প্যারাসুট খুলে নিচে নেমে যাচ্ছে...

অমন শরীরী স্বনন। হাল্কা কুসুমের মতো ফূর্তি।
এই তো হাওয়া গাড়ি এক পায়ে খাড়া।
একদিন ছিল ইতস্তত অনুদ্ধত ছড়ানো নাভি মালতী
কোথাও অপলকওয়ালা... ডেকে যাচ্ছে সীমাশেষহারা

কিছুটা দূরে থাকি, ঘুরে ঘুরে দেখি। বর্ষা শেষের হাওয়ায় কেবল একটা পিপাসা মূক ...
আধখানা চাঁদ আটপৌরে পুকুরে...
কৌণিক ফলের মৌমাছি ঘুলঘুলি আঁকছে...
অসবর্ণ তারল্যে আদিম স্তরে স্তরে
                                             ভেঙে
                                                    যাচ্ছে
                                                            গান...
                                                                    ইলু ইলু তুলিন
তোড়াগ, ইটাগ টুশুর নেই অনুরাগ...

ভিজে একশা আমানির শরীর। এগোচ্ছে প্রমোটার... হাইরাইজ হরিণ... ধল-দীঘি-
গাজনের
হাট পেরিয়ে আসমানি শ্রাবণ দখল নিচ্ছে একটা ঘুড়ি...
                                                                         ইলু ইলু তুলিন তোড়াগ,
ইটাগ টুশুর নেই অনুরাগ...


গ্রিক আমলে নাটকের সূত্রপাত কী ভাবে হয়েছিল জানেন কি, টুশু গবেষক?

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন