শিশু সাহিত্য
সাড়ে-চার বছরের ছোটন রোজ দুপুরে দাদুর পাশে শুয়ে গল্প শোনে। আজ হচ্ছিল হাতী আর সিংহের গল্প।
-সিংহরা সেদিন ভালো শিকার পেয়েছে, তারা খুশিতে কেশর নাড়াচ্ছে আর থেকে থেকে গর্জন করে উঠছে। এদিকে পাশের জঙ্গলে হাতীদের ঘুম আসছে না, অত আওয়াজে কি ঘুম আসে? হাতীরা গেল রেগে আর সিংহদের সঙ্গে তাদের তুমুল লড়াই বেধে গেল...
ছোটন যতক্ষণ না ঘুমিয়ে পড়ল, ততক্ষণ গল্প চলল।
সেদিন বিকেল থেকে ঝেঁপে বৃষ্টি। ছোটন বাইরে খেলতে যেতে না পেরে বাড়ির ভেতর কিছু্ক্ষণ ছোটাছুটি করল। তারপর এর কাছে ওর কাছে বকুনি খেয়ে শেষে দাদুর কাছে এসে বলল – গল্প বল।
দাদু দিনভর ‘অ্যানিমাল প্লানেট’ চ্যানেলটা খুলে বসে থাকে - পশুপাখি নিয়ে গল্পের ঝাঁপি কখনো ফুরোয় না। দাদু বলতে লাগল – এক দেশে অনেক দিন বৃষ্টি হয়নি, মাঠের ঘাস সব শুকিয়ে গেছে। হরিণরা খাবে কী, খুব কষ্ট ওদের। একটা বাচ্চা হরিণ ছিল, থাকত মা-বাবার সঙ্গে ঝোপঝাড়ের ভেতর। সে একদিন বলল – জানো বাবা, আমি আজ টিলার ওপর উঠেছিলাম।
-টিলা মানে কী? ছোটন বলল।
-টিলা মানে ছোট পাহাড়। হ্যাঁ, টিলার ওপর থেকে দেখলাম নদীর ওপারে বৃষ্টি হয়েছে, মাটি ভিজে আর সবুজ ঘাস হয়েছে। চল আমরা নদী পার হয়ে চলে যাই। মা-হরিণ বলল- নদীতে যে কুমির আছে! যাইহোক ওরা ঠিক করলো, ওরা যাবে।
বাবা-হরিণ আগে আগে চারিদিক দেখে সাঁতার কাটতে লাগল, পেছনে মা আর ছোটটা। বাবা ডাঙ্গায় উঠেছে, এমন সময় কোথা থেকে একটা কুমির এসে মা-হরিণের পা কামড়ে ধরল। ছটফট করে মা বলল, তুই পালা, আমি আর বাঁচব না। বাচ্চা হরিণটা কিন্তু ছিল খুব চালাক আর সাহসী। সে করল কী জানো - ডুব সাঁতার দিয়ে সে তার ছোট কিন্তু ধারালো শিং দিয়ে কুমিরের পেটে এমন জোরে খোঁচা মারল যে, কুমির চমকে উঠল। তাতে কামড় হয়ে গেল আলগা আর ব্যাস্, মা-হরিণ চট করে পা ছাড়িয়ে নিল। দুজনে তাড়াতাড়ি সাঁতরে উঠে পড়ল ডাঙ্গায়।
- তারপর কী হলো?
- তারপর আর কী, তারপর ওরা ওপারে পেট ভরে ঘাস খেত আর সুখে থাকতে লাগল।
- বৃষ্টি কেন থামছে না - কখন খেলতে যাব? আচ্ছা, তোমার খাট থেকে মেঝেতে ঝাঁপ দিতে পারি, দেখবে?
- তা দাও, কিন্তু আমাকে বল তো কো্ন্ গল্পটা তোমার বেশি ভালো লাগল!
- হরিণেরটা।
- সে কি গো, হাতীর গল্পে কত বড় বড় জন্তু ছিল, কত লড়াই, সেটা তোমার ভালো লাগল না?
- না। হরিণেরটা ভালো।
- হরিণের গল্পটা ভালো? কেন ভা্লো?
খাট থেকে ঝপাস্ করে মেঝেতে আরেকটা ঝাঁপ দিয়ে দাদুর কাছ ঘেঁষে ছোটন বলল – হরিণের গল্পতে যে আমি রয়েছি...
সাড়ে-চার বছরের ছোটন রোজ দুপুরে দাদুর পাশে শুয়ে গল্প শোনে। আজ হচ্ছিল হাতী আর সিংহের গল্প।
-সিংহরা সেদিন ভালো শিকার পেয়েছে, তারা খুশিতে কেশর নাড়াচ্ছে আর থেকে থেকে গর্জন করে উঠছে। এদিকে পাশের জঙ্গলে হাতীদের ঘুম আসছে না, অত আওয়াজে কি ঘুম আসে? হাতীরা গেল রেগে আর সিংহদের সঙ্গে তাদের তুমুল লড়াই বেধে গেল...
ছোটন যতক্ষণ না ঘুমিয়ে পড়ল, ততক্ষণ গল্প চলল।
সেদিন বিকেল থেকে ঝেঁপে বৃষ্টি। ছোটন বাইরে খেলতে যেতে না পেরে বাড়ির ভেতর কিছু্ক্ষণ ছোটাছুটি করল। তারপর এর কাছে ওর কাছে বকুনি খেয়ে শেষে দাদুর কাছে এসে বলল – গল্প বল।
দাদু দিনভর ‘অ্যানিমাল প্লানেট’ চ্যানেলটা খুলে বসে থাকে - পশুপাখি নিয়ে গল্পের ঝাঁপি কখনো ফুরোয় না। দাদু বলতে লাগল – এক দেশে অনেক দিন বৃষ্টি হয়নি, মাঠের ঘাস সব শুকিয়ে গেছে। হরিণরা খাবে কী, খুব কষ্ট ওদের। একটা বাচ্চা হরিণ ছিল, থাকত মা-বাবার সঙ্গে ঝোপঝাড়ের ভেতর। সে একদিন বলল – জানো বাবা, আমি আজ টিলার ওপর উঠেছিলাম।
-টিলা মানে কী? ছোটন বলল।
-টিলা মানে ছোট পাহাড়। হ্যাঁ, টিলার ওপর থেকে দেখলাম নদীর ওপারে বৃষ্টি হয়েছে, মাটি ভিজে আর সবুজ ঘাস হয়েছে। চল আমরা নদী পার হয়ে চলে যাই। মা-হরিণ বলল- নদীতে যে কুমির আছে! যাইহোক ওরা ঠিক করলো, ওরা যাবে।
বাবা-হরিণ আগে আগে চারিদিক দেখে সাঁতার কাটতে লাগল, পেছনে মা আর ছোটটা। বাবা ডাঙ্গায় উঠেছে, এমন সময় কোথা থেকে একটা কুমির এসে মা-হরিণের পা কামড়ে ধরল। ছটফট করে মা বলল, তুই পালা, আমি আর বাঁচব না। বাচ্চা হরিণটা কিন্তু ছিল খুব চালাক আর সাহসী। সে করল কী জানো - ডুব সাঁতার দিয়ে সে তার ছোট কিন্তু ধারালো শিং দিয়ে কুমিরের পেটে এমন জোরে খোঁচা মারল যে, কুমির চমকে উঠল। তাতে কামড় হয়ে গেল আলগা আর ব্যাস্, মা-হরিণ চট করে পা ছাড়িয়ে নিল। দুজনে তাড়াতাড়ি সাঁতরে উঠে পড়ল ডাঙ্গায়।
- তারপর কী হলো?
- তারপর আর কী, তারপর ওরা ওপারে পেট ভরে ঘাস খেত আর সুখে থাকতে লাগল।
- বৃষ্টি কেন থামছে না - কখন খেলতে যাব? আচ্ছা, তোমার খাট থেকে মেঝেতে ঝাঁপ দিতে পারি, দেখবে?
- তা দাও, কিন্তু আমাকে বল তো কো্ন্ গল্পটা তোমার বেশি ভালো লাগল!
- হরিণেরটা।
- সে কি গো, হাতীর গল্পে কত বড় বড় জন্তু ছিল, কত লড়াই, সেটা তোমার ভালো লাগল না?
- না। হরিণেরটা ভালো।
- হরিণের গল্পটা ভালো? কেন ভা্লো?
খাট থেকে ঝপাস্ করে মেঝেতে আরেকটা ঝাঁপ দিয়ে দাদুর কাছ ঘেঁষে ছোটন বলল – হরিণের গল্পতে যে আমি রয়েছি...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন