নন্দনতত্ত্ব
স্বপ্নাতুর মানুষ কষ্টের প্লাবনে
ডুবে গিয়েও মাছ খুঁজে বেড়ায়
স্পর্শের বর্ণমালায় পড়ে নিতে চায়
শিং অথবা মাগুর
কী আটকে পড়েছে মুঠিতে।
প্লাবনে ডুবে যায় বাড়ি
হালের গরু ভেসে যায় মানচিত্রের সীমানা ভেঙে।
আর একটি মেষ
অশ্বত্থের ডাল থেকে চেয়ে দ্যাখে
স্বপ্নাতুর মানুষ, এ্যাবসার্ড নাটকের হাসিমুখ
কীভাবে মাছ খুঁজে বেড়ায়।
কীভাবে মানুষ পবিত্র বর্ণমালার উচ্চারণে
বুঁদ হয়ে গিয়ে চরিত্র হয়ে যায়
একটি ছবির।
অজানা অচেনার দেওয়ালে
এরকমই একটি ছবি বাঁধানো, আটকে আছে।
আমাদের নিঃশ্বাস যার প্রতিধ্বনি মাত্র।
জল-ডাঙার মাছ
একটা মাছ যদি
কখনো ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়
ডাঙায় চলে আসে, সে কষ্ট পায়
কষ্ট পায় জলের জন্যে।
জলের কষ্ট পেতে পেতেই
নিজের অজান্তে ডাঙায় কিছুটা শেকড় গেড়ে ফেলে।
আবার কখনো জলে ফিরে এলে
ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়,
সেই ডাঙার জন্যই কষ্ট হয়।
ঈশ্বর আমাদের শেকড়ের জানান দেননি
আমরা ভালো আছি।
ঈশ্বর আমাদের জল এবং ডাঙার শোক দেননি।
শব্দের ভেতরে ও বাইরে
আমরা শব্দের ভেতর ঢুকে গিয়ে
শব্দের বাইরে চলে যাই।
স্মৃতির ভেতর শব্দের মতো
আমরাও ভাষার ভেতর অর্থহীন
আমাদের পিতামহের কফিনে
শব্দ লিপি হয়ে আটকে আছে।
আর অনুচ্চারিত শব্দে তুমি অবিরাম বলে যাও
তোমার চোখ দুটো দেখছে আমায়-
এ্যাকোরিয়ামের জলের ভেতর আমি সোনালী মাছ।
তোমার হাত অনুভব করছে-
সংগমের উত্তাপে আমি বালিহাঁস।
এমনি করেই তোমার অক্ষর বানিয়ে দ্যায় আমার ভাষা
তোমার অক্ষরে সাজানো আমার ভাষায় আমি ঢুকে যাই,
এমনি করেই আমি তোমার বাইরে চলে যাই
এমনি করেই আমি আমার বাইরে চলে যাই।
স্বপ্নাতুর মানুষ কষ্টের প্লাবনে
ডুবে গিয়েও মাছ খুঁজে বেড়ায়
স্পর্শের বর্ণমালায় পড়ে নিতে চায়
শিং অথবা মাগুর
কী আটকে পড়েছে মুঠিতে।
প্লাবনে ডুবে যায় বাড়ি
হালের গরু ভেসে যায় মানচিত্রের সীমানা ভেঙে।
আর একটি মেষ
অশ্বত্থের ডাল থেকে চেয়ে দ্যাখে
স্বপ্নাতুর মানুষ, এ্যাবসার্ড নাটকের হাসিমুখ
কীভাবে মাছ খুঁজে বেড়ায়।
কীভাবে মানুষ পবিত্র বর্ণমালার উচ্চারণে
বুঁদ হয়ে গিয়ে চরিত্র হয়ে যায়
একটি ছবির।
অজানা অচেনার দেওয়ালে
এরকমই একটি ছবি বাঁধানো, আটকে আছে।
আমাদের নিঃশ্বাস যার প্রতিধ্বনি মাত্র।
জল-ডাঙার মাছ
একটা মাছ যদি
কখনো ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়
ডাঙায় চলে আসে, সে কষ্ট পায়
কষ্ট পায় জলের জন্যে।
জলের কষ্ট পেতে পেতেই
নিজের অজান্তে ডাঙায় কিছুটা শেকড় গেড়ে ফেলে।
আবার কখনো জলে ফিরে এলে
ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়,
সেই ডাঙার জন্যই কষ্ট হয়।
ঈশ্বর আমাদের শেকড়ের জানান দেননি
আমরা ভালো আছি।
ঈশ্বর আমাদের জল এবং ডাঙার শোক দেননি।
শব্দের ভেতরে ও বাইরে
আমরা শব্দের ভেতর ঢুকে গিয়ে
শব্দের বাইরে চলে যাই।
স্মৃতির ভেতর শব্দের মতো
আমরাও ভাষার ভেতর অর্থহীন
আমাদের পিতামহের কফিনে
শব্দ লিপি হয়ে আটকে আছে।
আর অনুচ্চারিত শব্দে তুমি অবিরাম বলে যাও
তোমার চোখ দুটো দেখছে আমায়-
এ্যাকোরিয়ামের জলের ভেতর আমি সোনালী মাছ।
তোমার হাত অনুভব করছে-
সংগমের উত্তাপে আমি বালিহাঁস।
এমনি করেই তোমার অক্ষর বানিয়ে দ্যায় আমার ভাষা
তোমার অক্ষরে সাজানো আমার ভাষায় আমি ঢুকে যাই,
এমনি করেই আমি তোমার বাইরে চলে যাই
এমনি করেই আমি আমার বাইরে চলে যাই।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন