কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০১৪

১৬) মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়

ফাগুন

উদ্ভাসিত লাল শিমূল পলাশ
জাগিয়ে তোলে সাংকেতিক পথ
দুপুরের হিল্লোল হাওয়ায় ভাসে
আমের মুকুলের গন্ধ
কালের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখবে ছেঁড়া শৈশব
খরার ফাটলে কান্নার জল লুকানো
রুক্ষতার আলস্যে শরীরে চেনা জ্বর
তবু মনে তৃপ্তির হাসি
কচিপাতার লালাভ সবুজ বদলে
জানান দিচ্ছে ফাগুনের রঙ ছড়ানো।



অজানা পথিক


ন্যায়ের উর্দি খুলে নিষুপ্তি ভেঙে
আকাশের উড়াল মেঘে বিচরণ করছি আমি
তখন কুঁয়োর জলে অবিকল্প প্রেমের ঢেউ
লোহিতকণা প্রাণচ্ছ্বোল রক্তস্রাবে
ছেলেমানুষী পরিভাষায় পূর্ণ করি শস্যভূম
হামাগুড়ি দেয় এক চিলতে রৌদ্র
আমার মনের জানালার পাশে
কোন্ কোকিল শীস্ দেয় অজানা পথিক হয়ে?
আমি ছুটি ---
ভ্রমণপথের ঘাসে ছড়িয়ে দিয়ে যায় তাকে
বিচ্ছেদভেজা ঘাস তাও গন্ধ বিলায় তার
আর আমি ভেদ করি তার অনন্ত দিশা।



অমরত্ব আমার চোখ


সমস্ত বর্ণকে কর্দমাক্ত করছে আমার হাত
শ্যাওলাগুলো চিবিয়ে খেয়ে
ফণীমনসার গাছে শায়িত করব শরীর
তারপর রক্তের ঘ্রাণে খুঁজব নিজের পাপ
তিমিরতা ভেঙে তিমিরত্বে হারাব
শেষ...?
না, শেষ হবে না...
নিজের রক্তমাখা শরীরকে স্নান করাব -
মদিরা নদীর অতলে
একটা দেশলাই...
শুধু দেশলাই বাক্স ও তার কাঠি
জ্বালিয়ে দেবে আমার শরীর
মাংসের খসে পড়া কঙ্কাল...
কবিতার পিঠে জুড়ে দেবে ঘৃণার বিষ
তবু অমরত্বে আমার চোখ...।

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন