গোলাপি নেলপালিশ
নখ দিয়েই নখের গোলাপি রঙটা অন্যমনস্কের মতো খুঁটে চলেছে এল্সি। বুদ্ধি খাটছে না। সুডোকু করতে করতে আজকাল মগজে আপনা থেকেই সুডোকু তৈরি হয়। প্রথম আঁচড়ে খোপ খোপ, দ্বিতীয় আঁচড়ে সংখ্যা, তৃতীয় আঁচড় থেকে সব এলোপাথারি। মাঝে মাঝেই আঁচড়গুলো আবার রূপ বদলে ফেলে যাযাবর হয়ে যায়। কুঁকড়ে গোল গোল রিঙ হয়ে থাকা চুলের মধ্যে আঙুল পেঁচিয়ে ফেলে সে। গত রাত্রে মাফিনের গন্ধে অসমাপ্ত খোপগুলো বুজে রয়েছে। মাফিনের রেসিপি টুকে নিতে ভুলে গেছে সে এয়ারপোর্টে ছেড়ে বেরনোর আগে। বদলে এক খাতা সুডোকু কষেছে সারা আকাশপথের যাত্রায়। ইন্টারন্যাশনাল টার্মিনাল থেকে ট্যাক্সিটা যখন বাঁ দিকে টার্ন নিল, ভাষাগুলো বদলে যেতে শুরু করলো আচমকা। যেন একটা নাটক। শূন্য অঙ্কের আগে মস্ত ইন্টারভেলের নেমে আসা পর্দায় চলছে সলিটেয়ার। যার টেক্কা সাহেব বিবি গোলামের কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। কয়েক হাজার দর্শক ভর্তি হলকে নিমেষে পাঠিয়ে দিচ্ছে আইসোলেশনে। এল্সির চোখে দুলছে পর্দার লাল। ট্যাক্সিটা হাইওয়ে ধরে এগিয়ে চলল। সুডোকুর চরিত্রে শহরটা মুখ ভেংচাচ্ছে। এইরকম মুখ দেখিয়েছিল কার্লো। ওর বুকে অনেক পুরুষ জন্মাতো। দু হাতের ভাঁজে লুকিয়ে ফেলত একটার পর একটা সম্পর্কের চিট। গোলাপি নেলপালিশে অ্যালার্জির কথা কোনোদিন জানতে দেয়নি এল্সিকে। শুধু আপাদমস্তক সম্মোহনের জালে জড়িয়ে পড়ে এল্সি নিজে থেকেই উঠিয়ে দিত রঙিন পরত। আর বুঝতে পারেনি কার্লো অ্যাডিকটেড টু হুম। শুধু রাত বাড়লেই হাজার হাজার সুডোকু বিছিয়ে দিত, মেখে নিত, ডুব দিত। আর নিজে গণিতগ্রস্তের মতো ছুটে বেড়াতো যোগ-বিয়োগ-গুন-ভাগের পিছনে। নারী নক্ষত্রের সাইকেল চেপে ঢেউয়ের পর ঢেউ খেলত আর তাতে এক একটা সুডোকুর জন্ম হলেই হয়ে যেত সব রহস্যের সমাধান। কার্লোর বুকে পুরুষেরা চেহারা বদলাতো, ধরন বদলাতো, বদলে দিত এল্সিদের ঠিকানা। ট্যাক্সিটা ইন্টারন্যাশানাল টার্মিনাল পিছনে ফেলে অনেক দূর চলে এসেছে। কেটে যাচ্ছে মাফিন গন্ধের ঘোর লাগা সুডোকু। পেঁজা পেঁজা রঙ বাকি রয়েছে এখনো এল্সির নখে। গোলাপি নেলপালিশে এই শহরের কোনো অ্যালার্জি নেই।
নখ দিয়েই নখের গোলাপি রঙটা অন্যমনস্কের মতো খুঁটে চলেছে এল্সি। বুদ্ধি খাটছে না। সুডোকু করতে করতে আজকাল মগজে আপনা থেকেই সুডোকু তৈরি হয়। প্রথম আঁচড়ে খোপ খোপ, দ্বিতীয় আঁচড়ে সংখ্যা, তৃতীয় আঁচড় থেকে সব এলোপাথারি। মাঝে মাঝেই আঁচড়গুলো আবার রূপ বদলে ফেলে যাযাবর হয়ে যায়। কুঁকড়ে গোল গোল রিঙ হয়ে থাকা চুলের মধ্যে আঙুল পেঁচিয়ে ফেলে সে। গত রাত্রে মাফিনের গন্ধে অসমাপ্ত খোপগুলো বুজে রয়েছে। মাফিনের রেসিপি টুকে নিতে ভুলে গেছে সে এয়ারপোর্টে ছেড়ে বেরনোর আগে। বদলে এক খাতা সুডোকু কষেছে সারা আকাশপথের যাত্রায়। ইন্টারন্যাশনাল টার্মিনাল থেকে ট্যাক্সিটা যখন বাঁ দিকে টার্ন নিল, ভাষাগুলো বদলে যেতে শুরু করলো আচমকা। যেন একটা নাটক। শূন্য অঙ্কের আগে মস্ত ইন্টারভেলের নেমে আসা পর্দায় চলছে সলিটেয়ার। যার টেক্কা সাহেব বিবি গোলামের কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। কয়েক হাজার দর্শক ভর্তি হলকে নিমেষে পাঠিয়ে দিচ্ছে আইসোলেশনে। এল্সির চোখে দুলছে পর্দার লাল। ট্যাক্সিটা হাইওয়ে ধরে এগিয়ে চলল। সুডোকুর চরিত্রে শহরটা মুখ ভেংচাচ্ছে। এইরকম মুখ দেখিয়েছিল কার্লো। ওর বুকে অনেক পুরুষ জন্মাতো। দু হাতের ভাঁজে লুকিয়ে ফেলত একটার পর একটা সম্পর্কের চিট। গোলাপি নেলপালিশে অ্যালার্জির কথা কোনোদিন জানতে দেয়নি এল্সিকে। শুধু আপাদমস্তক সম্মোহনের জালে জড়িয়ে পড়ে এল্সি নিজে থেকেই উঠিয়ে দিত রঙিন পরত। আর বুঝতে পারেনি কার্লো অ্যাডিকটেড টু হুম। শুধু রাত বাড়লেই হাজার হাজার সুডোকু বিছিয়ে দিত, মেখে নিত, ডুব দিত। আর নিজে গণিতগ্রস্তের মতো ছুটে বেড়াতো যোগ-বিয়োগ-গুন-ভাগের পিছনে। নারী নক্ষত্রের সাইকেল চেপে ঢেউয়ের পর ঢেউ খেলত আর তাতে এক একটা সুডোকুর জন্ম হলেই হয়ে যেত সব রহস্যের সমাধান। কার্লোর বুকে পুরুষেরা চেহারা বদলাতো, ধরন বদলাতো, বদলে দিত এল্সিদের ঠিকানা। ট্যাক্সিটা ইন্টারন্যাশানাল টার্মিনাল পিছনে ফেলে অনেক দূর চলে এসেছে। কেটে যাচ্ছে মাফিন গন্ধের ঘোর লাগা সুডোকু। পেঁজা পেঁজা রঙ বাকি রয়েছে এখনো এল্সির নখে। গোলাপি নেলপালিশে এই শহরের কোনো অ্যালার্জি নেই।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন