ইলিশ
নদী এবং সমুদ্রের নিচে উজ্জ্বল ফসফরাসের মতো যারা উদ্বেল ছিলো, তারা মৃত। অর্ধভুক্ত জেলেদের জালে-ইলিশ-পদ্মার ইলিশ, গঙ্গার ইলিশ। রূপনারায়ণ -- সমুদ্রের বিপরীতে, জোয়ারের বিপরীতে সুতীব্র বেগে ধাবমান ইলিশ। ঘাড়ে গর্দানে কালো দাগ, সংগ্রামী জীবনের উচ্ছ্বাস, মৃত্যু মানেই হাজার টাকা কেজি, গোদাবরী মোহনা হলে তিনশ টাকা। মানিকতলা, জগুবাবু, চারু, সোনার বাংলা, তাজ বাংলা, ভজহরি, তেরো পার্বণ -- কলকাতা দিল্লী পুনে ব্যাঙ্গালুরু - বর্ষভর সোনালি ইলিশ, বর্ষভর পাতুরি-ভাপা। বর্ষভর মাছের তেলে মাছের ডিম ভাজা। বাঙালির ঢেঁকুর উৎসব।
উল্টো দূরবীনে ও ক্যামকর্ডারে সাদা কালো বাদামী সাহেবেরা বিলাসী জলযান থেকে ইস্পাতের লেন্সে ধরে রাখে ইলিশের পণ্যবাহী স্বপ্নিল জীবনী -- বণিক সভ্যতা শূন্য মরুভূমে ইলিশ এক প্রাণের অঞ্জলি...
দোলযাত্রা
নামবদলের নামঘর ঘুরে ফিরে আসা স্বনামের সোপর্দে। জলপতনের বৃক্ষ থেকে উড়ে গেছে লক্ষ্মীছাড়া শালিখ। অরক্ষার অরক্ষণীয়া আদালতে মানহানির কথা ও কাহিনী। ঘরে ও বাইরে শরীরের উষ্ণতায় প্রেম সখ্য যৌনতার চকমকি আগুন...
চাইলেই ফিরে আসা যায়। সক্কলে নয়, কেউ কেউ চাইলে। তোমার প্রেমের ছায়ায় ফেরবার চিনে জেনে নেওয়া। ঊরু মুড়ে বসে ঝনঝন অস্ত্রের তছনছ ভেঙে শরীরী ঘাত অপঘাতের ঝিলডাঙা। পেরিয়ে যাই ধারালো কুর্নিশের ভুজ থেকে কছ রান... জাতক এখন অস্ত্র ত্যাগ করে, দুই হাতে যমুনার অঞ্জলি নিয়ে ময়ূর। প্যাখম মেলে চন্দ্রমা জুড়ে। মাতাল সমীরণের তালে তালে মাদলের দোলযাত্রা...
চাঁদনীর শস্যহীন মাঠ, আল জুড়ে ছুটছে একটি বিনিসুতোর বিনুনি আর তার হদিস পেতে তুমিও মেলে দিচ্ছো ইগলের ডানা... মেঘনা থেকে যমুনা, ধারাগিরির বসন্ত উৎসব...
অনুরণন
ভোরের সূর্যের কাছে দাঁড়াও। ও বড়ো কাঁদছে। একটু আগে শ্বাস রেখেছে অপাপবিদ্ধ প্রেম। এখনো পাহাড়ি বরফের মুকুট পড়ে, রানী কাঞ্চনজঙ্ঘা তার সামনে নতজানু আছে, মুখ থুবড়ে আছে কম্যান্ডার। অপাপবিদ্ধ ভালোবাসা বৃষ্টির প্যাখমে মেলে দিচ্ছে পাইনের ছাঁট। আনকোরা নারীটির মুখ, কপালে স্থির আগুন সূর্যোদয়।
দীর্ঘশ্বাসের শেষে অপার্থিব নিঃশব্দ প্রণয়ের সন্ধানে চলে গেছে সাধুবক। অপাপবিদ্ধ যৌনতা শেষ করে। যৌনতার কোনো পিছটান, হিসেব নিকেশ কুটিল ষড়যন্ত্র নেই।
পূর্ণিমার চাঁদের কাছে গিয়ে দাঁড়াও। রূপোর পাতের মতো উজ্জ্বল। একটু আগেই শেষ হয়েছে কাঞ্চনরাগ, গোধূলির প্রসাধন সেরে এখন সন্ধ্যার বিভাস।
নদী এবং সমুদ্রের নিচে উজ্জ্বল ফসফরাসের মতো যারা উদ্বেল ছিলো, তারা মৃত। অর্ধভুক্ত জেলেদের জালে-ইলিশ-পদ্মার ইলিশ, গঙ্গার ইলিশ। রূপনারায়ণ -- সমুদ্রের বিপরীতে, জোয়ারের বিপরীতে সুতীব্র বেগে ধাবমান ইলিশ। ঘাড়ে গর্দানে কালো দাগ, সংগ্রামী জীবনের উচ্ছ্বাস, মৃত্যু মানেই হাজার টাকা কেজি, গোদাবরী মোহনা হলে তিনশ টাকা। মানিকতলা, জগুবাবু, চারু, সোনার বাংলা, তাজ বাংলা, ভজহরি, তেরো পার্বণ -- কলকাতা দিল্লী পুনে ব্যাঙ্গালুরু - বর্ষভর সোনালি ইলিশ, বর্ষভর পাতুরি-ভাপা। বর্ষভর মাছের তেলে মাছের ডিম ভাজা। বাঙালির ঢেঁকুর উৎসব।
উল্টো দূরবীনে ও ক্যামকর্ডারে সাদা কালো বাদামী সাহেবেরা বিলাসী জলযান থেকে ইস্পাতের লেন্সে ধরে রাখে ইলিশের পণ্যবাহী স্বপ্নিল জীবনী -- বণিক সভ্যতা শূন্য মরুভূমে ইলিশ এক প্রাণের অঞ্জলি...
দোলযাত্রা
নামবদলের নামঘর ঘুরে ফিরে আসা স্বনামের সোপর্দে। জলপতনের বৃক্ষ থেকে উড়ে গেছে লক্ষ্মীছাড়া শালিখ। অরক্ষার অরক্ষণীয়া আদালতে মানহানির কথা ও কাহিনী। ঘরে ও বাইরে শরীরের উষ্ণতায় প্রেম সখ্য যৌনতার চকমকি আগুন...
চাইলেই ফিরে আসা যায়। সক্কলে নয়, কেউ কেউ চাইলে। তোমার প্রেমের ছায়ায় ফেরবার চিনে জেনে নেওয়া। ঊরু মুড়ে বসে ঝনঝন অস্ত্রের তছনছ ভেঙে শরীরী ঘাত অপঘাতের ঝিলডাঙা। পেরিয়ে যাই ধারালো কুর্নিশের ভুজ থেকে কছ রান... জাতক এখন অস্ত্র ত্যাগ করে, দুই হাতে যমুনার অঞ্জলি নিয়ে ময়ূর। প্যাখম মেলে চন্দ্রমা জুড়ে। মাতাল সমীরণের তালে তালে মাদলের দোলযাত্রা...
চাঁদনীর শস্যহীন মাঠ, আল জুড়ে ছুটছে একটি বিনিসুতোর বিনুনি আর তার হদিস পেতে তুমিও মেলে দিচ্ছো ইগলের ডানা... মেঘনা থেকে যমুনা, ধারাগিরির বসন্ত উৎসব...
অনুরণন
ভোরের সূর্যের কাছে দাঁড়াও। ও বড়ো কাঁদছে। একটু আগে শ্বাস রেখেছে অপাপবিদ্ধ প্রেম। এখনো পাহাড়ি বরফের মুকুট পড়ে, রানী কাঞ্চনজঙ্ঘা তার সামনে নতজানু আছে, মুখ থুবড়ে আছে কম্যান্ডার। অপাপবিদ্ধ ভালোবাসা বৃষ্টির প্যাখমে মেলে দিচ্ছে পাইনের ছাঁট। আনকোরা নারীটির মুখ, কপালে স্থির আগুন সূর্যোদয়।
দীর্ঘশ্বাসের শেষে অপার্থিব নিঃশব্দ প্রণয়ের সন্ধানে চলে গেছে সাধুবক। অপাপবিদ্ধ যৌনতা শেষ করে। যৌনতার কোনো পিছটান, হিসেব নিকেশ কুটিল ষড়যন্ত্র নেই।
পূর্ণিমার চাঁদের কাছে গিয়ে দাঁড়াও। রূপোর পাতের মতো উজ্জ্বল। একটু আগেই শেষ হয়েছে কাঞ্চনরাগ, গোধূলির প্রসাধন সেরে এখন সন্ধ্যার বিভাস।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন