কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০১৪

০১) তানিয়া চক্রবর্তী

সুখের দাগ

একটা বিষাক্ত দাগ -- একটা সুখের দাগ
তোমাকে চাইনি আমি
অথচ চেয়েছি বহুদূর থেকে
এক অসহ্য সমতলে বাঁধা আছে
রঙিন গাড়ির গোল চাকা
দশমীর ক্ষুধার্ত সন্ধ্যায়
শেষ দশকের কোনো নরম নারী
বেশ্যা হয়ে ছুটে গেল প্রেমিকের দিকে
তার পিতৃহীন ঘরের ডোরাকাটা বিছানায়
চাঁদ আগুনের অভিশাপ দেয়
ফোনের স্ক্রিন থেকে ঠিকরে বেরোয় স্মৃতি
আধলা ইটের মতো কোনোও পুরুষত্ব
চুরমার করে প্রেমময় নারীর গলার চামড়া
আর কোঁচকানো বিছানায় পাহাড়ী মিথ্যাচার ভাসে--
বিশ্বাস করো,
এত তীব্র তোমার হয়ে গেছি
যে আর কোনো ছোঁয়া আমায় নারী হতে দেয় না
এক পতিত জমির পাশে বসে থাকা
আশাবাদী চাষীর মতো প্রেম ফিরে আসে
সত্তার সমর্পণে চামর দোলায় কোনো কাপালিক
প্রতিমার বিসর্জনে দলবেঁধে ছুটছে তোমার সৈনিকেরা
যদি ভিড় ঠেলে তাদের কাছে যাই
তারা আমার আঁচলে ছুঁড়বে মদ
বাসি পাউরুটির রতি
তবু তাদের মাঝখান দিয়ে আমি ছুটে যাব
তোমার প্রাচীন বুকে -- আসলে যাব না
যাওয়ার আগে খুলে যাবে তুলতুলে শৈশব
সাড়ে চার বছরের ভাঙা চুরি আর সিঁদুরের গল্প
আর আমি লিজ দেওয়ার মতো
কোনো জায়গীরের পায়ে বসে স্বপ্ন দেখব মহাকাশের
আমাকে দুঃখ দিও, আরও দিও অপবাদ
আমাকে অকথ্য ভাষা দিও
যতখানি হেঁটে গেলে একঝাঁক মৌমাছি ঘিরে ধরে
ঠিক ততখানি হেঁটে গিয়ে ধুনুচির মুখে
প্রসব করব শোণিত সন্তান
এখনো পায়ে পাপ হাতে লীলা
ছুঁড়ে ফেলা লাস্যের আঙ্গিকে
অন্য নারীকে কোরো লেহন
আমি তারই মধ্যে উন্মত্ত আগাছার মতো
সামলাব গূঢ় অহঙ্কার --
শীতল হওয়ার আগে ঠোঁটে রাখব
পর্যাপ্ত শরীরের আদেখলা দিগন্ত
ভেবে নিও কতখানি উদার বলে
আমাকে তোমার করেও
তোমাকে অন্যের মোড়কে মুড়েছি
পাহাড়ী যোনিরসে ভিজে যায় পাথরের মুখ
তবু মিথ্যে বোলো না
মিথ্যে শরীরে সঙ্গম বন্ধ্যা হয়
আসক্ত যুবক মরে যায়
বেঁচে থাকো,
আমার প্রথম স্পর্শে ভীষণ বেঁচে থাকো...


1 কমেন্টস্:

  1. রঙিন গাড়ির গোল চাকা
    দশমীর ক্ষুধার্ত সন্ধ্যায়
    or
    আমাকে তোমার করেও
    তোমাকে অন্যের মোড়কে মুড়েছি

    ,,,সুতীব্র ভাল লাগা ঘিরে থাকল

    উত্তরমুছুন