প্রতিবেশী সাহিত্য
তরসেম গুজরাল-এর কবিতা
(অনুবাদ : মিতা দাশ)
কবি
পরিচিতিঃ কবি তরসেম গুজরালের জন্ম ১০ এপ্রিল
১৯৫০, পাঞ্জাবের জলন্ধরে। শিক্ষা - এম এ
হিন্দি, পি এইচ ডি। তাঁর অনেকগুলি গল্প সংকলন ও উপন্যাস সংকলনের সম্পাদনা
করেছেন। তিনি প্রেমচাঁদ মহেশ সম্মান, ভাষা
বিভাগ পাঞ্জাব থেকে বহু সম্মানে সম্মানিত। )
দুর্ঘটনাগ্রস্ত স্বামী
রোজ সবুজ লতার মত
ঘরের বাইরে যায় আমার বৌ
কারণ বাজারে চড়া দাম
ঘর চালানো মুস্কিল
সে রোজ জীর্ণ পাতার মত
চুপসে ফিরে আসে
কারণ রোজকার কাজ
ঠিক চিলের চোখ
ছিনিয়ে নেয় সব কোমলতা
আবার ঘরের বাইরে আসা যাওয়ার মাঝে
রয়েছে একটা ঋতুচক্র
সে ছিনিয়ে নিচ্ছে সুখ
আর ফিরিয়ে দিচ্ছে খোসা
আমি সেই খোসাগুলোতে
রোজ বরণ করি মরণকে।
অসুবিধার কথা
অসুবিধার কথা নয় এটা
যে আমরা কিছু বুঝতে পারছি না
অসুবিধা এটা
কী আমরা কিছু করতে পারছিলাম না
জমি ছিলো আমাদের
কিন্তু বীজ ওদের ছিলো
আর ফলের সম্বন্ধে
আমাদের ইচ্ছে ছিলো
ঠিক সেই রকম যেন হয়
যা আমরা চেয়েছিলাম
কথা হল
রোজ রাতে
হাড়ে হাড়ে নেমে আসে শীত
দাসত্বের অনুভূতি
আগামী ভোরে আমরা
চলে যাই
বলদের জায়গায় লাঙল টানতে
অসুবিধার কথা হল
কী আমাদের মুখ থেকে
বয়সের মুক্ত
চিল ছিনিয়ে নিচ্ছিলো
আর চিলকে ওরা
শান্তির পায়রা বলে মনে করছে।
যথারীতি
বেশ খারাপ লাগে তখন
যত দেয়া হয়
ততটাই হামেশা ওরা পায়
আর চুপ করেই থাকে
রামের নাম জপ করে আর
ঠান্ডা জল খেতে থাকে
তখন বেশ খারাপ লাগে
যখন ওরা বেশি পেতে চায়
বিরক্ত হয়
করে ঝগড়া
আর বিষাক্ত ফুলের মত
চেহারা তৈরি করে
অরাজক হতে থাকে
নিভে যায়
শান্তি, ধৈর্য্যের আলোক
ওরা মানে না
ওরা যারা আমাদের নুন খেত
এখন বলে
সব নুন তো
ওদেরই ছিলো!
ভালো লাগলো। প্রথম কবিতাটা তো অনবদ্য!
উত্তরমুছুন