কবিতার কালিমাটি ১২৩ |
জীবনচক্র
রাশি রাশি হাসি
ঝরনার জলে ঝংকার তুলে যায়
আমার তোমার
সবটা ছাপিয়ে আকাশের আঙিনায়।
তাই বুঝি আজ
বাঁধন ভেঙেছে, আকাশ নেমেছে কাছে
আকাশের দিকে
চাইলেই দেখি,সব আছে, সব আছে!
মৃত্যুও দেখ
মাঝেমাঝে এসে জীবনের গান গায়!
জীবন পারের
সীমানা ছাড়িয়ে ওই দূর নীলিমায়।
আয়নাতে দেখি
অবয়বহীন মৃত্যু ঘুমিয়ে আছে
ভেবেছি যাব
না, তবুও কেন যে ফিরে যাই তার কাছে!
বাঁচা
শিশিরের শব্দে ঘুম ভাঙেনি কখনো
পকেটে টাকার টান,জঠরের খিদে
বস্ত্রহীন শীতরাতে ঘুম কেড়ে নেয়।
অভাবই বন্ধু হয়ে আছে চিরকাল
অভাবের আগুনেই ধিকিধিকি বাঁচি।
বাবার শরীর দেখি ঘামে-রক্তে ভেজা
অভাবী মায়ের গায়ে শতছিন্ন শাড়ি
তবুও আদর মাখা স্নেহের পরশ
অভাবের গন্ধ আমি বড় ভালোবাসি
অভাবের আগুনেই সেঁকে নিই রুটি।
শূন্যতা
তুমি নেই।
থমথমে আকাশ
সারা ঘরে দাউদাউ জ্বলছে আগুন।
আমি পুড়ছি, পুড়ছি।
ফাঁকা ফাঁকা শূন্যতা...শূন্যতা
কান পাত যদি
চারিদিকে বহমান বিষাদের নদী।
আঁকাবাঁকা পাঁক, চোরাবালি স্রোত।
অন্ধকূপের অন্ধকারে
মুক্তি, মুক্তির খোঁজে
যতদূরে যাই,
তত মনে পড়ে।
তত মন পোড়ে...
ফেরা
ওই যে তীরের গাছ একা, খুব একা
তার ছায়া চুপিচুপি নদীর গভীরে গিয়ে শুত।
এই নদী জলে পাঁক
এই পাঁক টেনে ধরে
বিষাদের কালো কালো বুড়বুড়ি তুলে
হঠাৎ তলিয়ে দেয় দ্রুত, খুব দ্রুত।
জানি তুমি ফিরবে না
তবুও জানি না
কেন মনে হয় ফিরে আসতেও পারো
সেই লোভে অবেলায়
ফিরে ফিরে এসেছি আবারও
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন