কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২২

বিদিশা সরকার

 

ব্যক্তিগত গদ্য


মহামায়াতলা



যার অবস্থান অনুভবে তাকেই খুঁজছে ওরা। হাওয়ার ভাষা পড়া সহজ নয় বলেই ওদের জানলা বন্ধ সারাদিন। প্রতিবেশী যেন ছোঁয়াচে অসুখ। আর সেই অসুখের সুখের খবর কে আর রাখে! ঈশ্বর বিস্ময়! ঈশ্বর অভিভূত! ঈশ্বর একাত্মার মৌন সহবাস। কমণ্ডলুর পুরোটা খরচ করে অববাহিকায় পায়ের ছাপ! ঈশ্বর অলকানন্দার অভিমুখ। ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে যেতে যেতে মনে হয় ঈশ্বর শরণ! অধিগ্রহণের লিপ্সা থেকে নিবৃত্তির মার্গে ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলি। তাঁর কোনও জিজ্ঞাসা নেই কারণ সে সব জানে। আমিও বলি না কিছু। একটা পীচগলা রাস্তায় ক্ষিদে খুঁজতে বেরিয়েছিল যখন অনুগ্রহের অভিসম্পাত, একটা গাছের পাতাও নড়েনি তখন। একটা মানুষও চোখে পড়েনি। শুধু নিজেকেই দেখেছি এক শ্মশানের দাব থেকে অপরূপ রশ্মির ধারায়। সমগ্র রচনাবলী রক্তমাংস মানবীর অপরাধে আলতায় ধুয়ে দিচ্ছে ময়ামায়াতলা।

এই ফিরে যাওয়ার অর্থ খুঁজতে নেই। আসলে সবই যে পাওয়া। কি সুখ, কি দুঃখ। পূর্ব প্রসঙ্গ ফিরে ফিরে আসে। আমি সেই স্পর্ধাকে সাধুবাদ জানাই যে অনুমতির অপেক্ষা না করেই ঢুকে পড়ে বিবাহ বার্ষিকীতে। পরপর দশটা সংখ্যা এই প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থাকে অস্বীকার করে পদাবলী খুলে বসে। এও যে এক বাহানা। সেই সম্মোহন থেকে ছিটকে যেতে পারেনি অতীতের বসবাস।

অথচ ঘর ভেঙে যাচ্ছে, দেওয়াল ঘনিষ্ঠ হচ্ছে - সেই ধ্বংসস্তূপের প্রত্যক্ষদর্শীরা এই বেনিয়মের চাইবাসায় মনি মানিক্যের দাবী দাওয়া। হতে দিচ্ছি এইসব।

আমি পাপের স্বপক্ষে বলতে বাধ্য কারণ আমার ঈশ্বর নৈসর্গিক। ভালোবাসা বণ্টন করে নিঃস্ব হওয়ার সৌভাগ্য ক'জনের ? আমার ঈশ্বর এই আশ্রিতাকে

আত্মহননের পূর্ব পরিকল্পনাকে মননশীলতায় পৌঁছে দিয়ে অধরাই। আমার ঘুম পাচ্ছে। আরেক বিছানায় সম্পর্ক ঘুমিয়ে রয়েছে। রাত একটা বিয়াল্লিশ।

বিকেলের গায়ে কে যেন একপোঁচ অন্ধকার বুলিয়ে দিয়ে না বলেই! এই রঙ বদলের তামাশা আর কার্বাইড কোম্পানির চিমনির উত্তাপ একটা বৃষ্টির অপেক্ষায়। যেন শমন ধরিয়ে দিয়ে চলে গেছে কেউ। পরবর্তী পর্যায়ে কী কী ঘটতে পারে সেই ভাববারও সহজ কোনও পদ্ধতি জানা নেই। হ্যামারেজের পর হ্যামারেজ। পথ দৃষ্টিশক্তি হারালে হাঁটবে কী করে। পথ যে হাঁটে, তার সঙ্গে আমিও কতদিন পথে পথেই। এত মানুষ, এত চাহিদা - সমর্পণ ভুলে গেছে তারা। এই যে একটা বিকেল পড়তে পড়তে, তার গায়ের অন্ধকার মুছে দিতে দিতে তার মতো হচ্ছি – সে তো তার কথা ভেবেই। তার কথা ভেবেই তো পূজাপর্বে অগুরু নসীব চাতকের মত সহনীয় হতে হতে কুল মান সবই বেমালুম ভুলে গিয়ে হা জল! হা জল! কমণ্ডলু রেখে, কোন তীর্থে মজে থাকে এমন অধীর! এয়োতির চিহ্নগুলো মুছে দিচ্ছে আকাশের রাত্রি, সহচর। তমালে জড়িয়ে থাকি প্রভুআলো আকাশের প্রিয় সৌরপথ।

 

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন