কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৯

বলাকা সেন




বাইরের ঘরে


কত অজানার কাছে রাত এক কোমল হরিণী
দুই চোখ ত্রস্তলীনা তবু আগ্রহী বনের পথে
বন্ধুবর গাছের গোপন মেহেফিলে অকারণে পাতার মর্মর

ত্রিরাত্রি রহস্য রচে সাতটি বনের রাজা

নিয়ত ঝিঁঝির শব্দ স্পর্শ করে হাওয়ার শরীর
ভাঙা সুরের মূর্ছনা কান পেতে শুনি

অক্ষর কেমন হয় তীক্ষ্ণ ছুড়ির ফলকে কাটে
বোকা বেকসুর তারা, টিমটিম নিভে আসে অহেতুক রাত
আরো গভীর দীঘির বনে নেমে আসে তৃষ্ণাতুর

ছায়ায় আবৃত শ্যামা রমণীর সদ্য ভেজা শাড়ি

নিয়ম বিপন্ন করে মেঘরাজ অতর্কিতে চায়
জল বালিশের তুলো কে করে সঞ্চয়, চোখের কাজলে?
রাত কেবল প্রেয়সী তার অপেক্ষায় জেগে থাকে রাতের আসরে

শুষ্ক চোখে জল আসে, অপলক চেয়ে থাকা ভুল!

ডুবে থাকা চাঁদ দেখে ভাবো প্রতিবিম্ব
রোজ ফিরে আসো সাতটি বনের সে আসর থেকে

তুমি বোঝো না তোমাকে অনুসরণ করছে,
এক চন্দ্রাহত চাঁদ কত সহস্র বছর জন্মপথ ঘুরে

শুধু সবার অলক্ষ্যে তুমি তাকিয়ে দেখবে বলে।



স্মৃতি


স্মৃতি এক গ্রহযান
ধুলোবালি আর...
তোমার আলোয় আলোকিত
অবিরাম ঘূর্ণনে পেষণে ক্লান্ত দীর্ণ

পথহীন নয়, গতিহীন নয়
কেবল অন্ধত্ব ঘিরে ধরে... ঘুরে মরে
আলোর সন্ধানে মৃত্যুর কাননে...


কেতকীর ঘ্রাণ


ঊর্ণনাভ ঘেরা কুহেলিকা জঙ্গলের রাতে
ফিরে এলো কেতকীর ঘ্রাণ
ধুতুরা কাঁটায় ধরা শিশিরের কাছে
তোমাদের অনাবিল দেয়ানেয়া নাই-বা রাখলে
স্যাঁতস্যাঁতে কাদা পথে ধোয়া চাঁদ রেখে গেছে মোহ
ভাড়া করা ঘরে নিজের বলতে কেবল আয়না
তাও পারা হীন মৃদু মুখব্যাদান অমঙ্গল কে ডাকে

বাটি-জলে ঠোকাঠুকি লেগে, শব্দ করে বলে, মৃত্যু--
নিশ্চুপের পরামর্শে পাশ ফেরে দূরে;

কেতকীর ঘ্রাণ ওগো বন্য বেদুইন
এবেলা তোমার সবটুকু আরোগ্য অপার
শুধু আমার জন্যই রেখো, এই নিরুদ্দেশের জঙ্গলে...




0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন