কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৯

ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত




অশ্ব বেলাগাম

আমার জন্মের আগে
তৃণের স্বাক্ষর ছিল না কাগজে - এতোটুকু নয়!
ছিল কিছু ধুলোঢাকা গাছের নির্বাক ছবি
আর ছিল ধূসরিত নির্জন প্রান্তর

স্বপ্নে দেখেছি যৌবন নদী বয়ে যায়
অরণ্যানীর রাতের গভীরে
এখন সমস্ত সবুজ অস্তিত্ব সংকটে
ধূসর ধুলো লেগে আছে অতীতশরীরে

স্বপ্ন কি এক জলসেচন হতে পারে
পরিকল্পনাহীন ছুটেছি অভ্যন্তরে
উত্তরসন্ধানে কেটেছে বিনিদ্র

যাপন এত দুর্বার হয়
অশ্ব বেলাগাম ছুটেছে ধূসরিত প্রান্তরে


মায়াবী ছাই

পাথরে এসেছ নারী, দাঁড়িয়েছ সমুদ্রসন্ধানে-
বিস্তৃত বেলাভূমি জুড়ে বেজেছে একতারা
কোন শেকড় গাছকে ধরে রাখে শৈলশিখরে-
কোন পাখি ডেকে ওঠে একান্ত গভীরে,
উত্তর খুঁজেছি আমিও দিশেহারা।

তুমি তো অপেক্ষা করো, দ্যাখো
একচোখো নাবিকের আগমন পাইরেট শিপে।
আমার প্রান্তর জুড়ে বিচ্ছিন্ন সিগাল ওড়ে-
একা হতে থাকি, একা হতে থাকি
একা হতে থাকি মনের গভীরে।
অজস্র মায়াবী ছাই ঝরে, ঝরে পড়ে।


রাতের পায়রাগুলো

পৃথিবী নিদ্রানত; ঘুমহীন চোখে দেখি
শাশ্বত পারাবত উড়ে যায় জ্যোৎস্নায়-
এই আপ্লুত ভূমি কাল্পনিক;
উড়ন্ত রেলগাড়ি পেরিয়ে যায়
স্বপ্নের ষ্টেশনগুলো, সমুদ্রতটে নামে সিপ্লেন।

পৃথিবী নিদ্রায় তাই জাগরণে থাকা;  
এ এক বিরোধাভাস – রাতফুল ফোটে,
জেগে ওঠে পরাগকেশর-
এই ধারণা সমূহ সযত্নে রক্ষণ করি,
গভীর নিয়ম পরিস্ফুট হতে থাকে।

বোধলব্ধ স্বপ্নাবলী নিপুণ প্রেমিকার মতো
আপন হতে থাকে-
রাত্রি এক রসায়নাগার, 
আবিষ্কৃত হয় সুনির্দিষ্ট তথ্যাদি
নানারূপ প্রতিভাত হয় নিজস্ব নীড়ের থেকে দূরে। 




0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন