'নকল হইতে সাবধান'
ভেবেছিলাম, এটাও একটা রিপিট টেলিকাস্ট হবে। পিকনিক করতে এসে
শ্যামাপোকার দল, মনে করিয়ে দেয় আমায়। তখন কার নভেম্বরগুলোর চুল দাড়ি ছিল বহাল। বছর ষোলোর
একটা শীত, হাত বুলিয়ে যেত মেসেজবক্স জুড়ে। আমি তখন রোজ বাগানে ঘুরতে যেতাম। একুশ
টাকার এসএমএস রিচার্জ-এর পর, ফোনের স্ক্রিনটা ছিল আমার গোলাপ ক্ষেত।
জল দিতাম, সার দিতাম। রোদ উঠবে না জানতাম, তাও দিতাম। কী যে আরাম
হত, বুকের বাঁ-দিকটাতে!
(মোটেই
কষ্টের কথা বলিনি! বললেই হবে? যত্তসব! উঁহু!)
সেই আরামগুলোকেই ফিক্সড ডিপোসিট করে রেখে দিয়েছি একটু
একটু করে।
ভুল করে তারপর বড় হয়ে গেলাম, খাতায়-কলমে। তারপর থেকেই
তোমাকে খোঁজার পালা।
এখন, আর বাস-এর মধ্যে, উঁকি ঝুঁকি মারি না! তিন মাথার মোড়েও চোখ
লাগিয়ে বসে থাকি
না।
আসলে, আগে তুমি তো কবিতা ছিলে, এখন মানুষ হয়ে গেছো।
তুমি কি গান গাও? গীটার চাপড়াও নরম ভাবে? চোখ আঁকো
গানের শরীরে?
আমি?
আমি কী করি জানো?
ভুল সত্যিগুলোকে জমাই ডাকটিকিটের মত।
বুদবুদ চেনো? বুদবুদ?
আমি চিনি, ভীষণ ভাবে চিনি।
ঝেড়ে ঝুড়ে তাদের জড়ো করে বেরোচ্ছি, প্রতিনিয়ত।
আর ভাবছি পরের সংখ্যায় কাকে নিয়ে লিখব!
আচ্ছা, তোমাকে নিয়ে লিখলে, তুমিও কি আমাকে নিয়ে গান
বাঁধবে?
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন