কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৮

উদয়ার্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়




ছেঁড়া ডিঙি

ফেরারী চাঁদ, যাদের নিজস্ব রং নেই
ঝলসে উঠছে আমার বিক্ষত বর্ণমালায়
কিছু পাবার আশায় আমি পুনরায় দাগ কাটি
যখন জানা যায় সমস্ত শহর ঘিরে মৌন মিছিল

কবিতাকে বাঁচিয়ে রাখতে একদল উন্মাদ
কবিতা কে ভালোবেসে একদল উন্মাদ
কবিতার ঘৃণায় একদল উন্মাদ
নিজেদের লড়াইয়ের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন
জেলেদের চোখে।


অপরাহ্ণের কবিতা

সমস্ত শিলালিপি জুড়ে খোদাই রয়েছে এপিটাফ
যদি তুমি বাতাসে কান পেতে থাক 
যেন শুনতে পাবে যন্ত্রণার ধিক্কার

শব্দেরা ছবি হয়ে গান কিংবা বুনোহাঁস 
সাজিয়ে রেখেছে খরতর তীব্রতা 
সাজিয়ে রেখেছে নক্ষত্রখচিত গতিপথ
যদি তোমার সমাধি ফলক জুড়ে কেবল
একই কান্না বারবার করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে
 তবে জেনো এই বিশাল পুঁজির পৃথিবী
একটু একটু করে রং বদলাচ্ছে


দীর্ঘ স্বীকারোক্তি কিংবা আত্মপক্ষ সমর্থন

ঘুমিয়ে পড়া সূর্যের ছবি আঁকতে গিয়ে কবি আঁকছেন অঙ্গার। পৃথিবীর কথা ভাবতে গিয়ে এক ফালি তরমুজ, যার শীতলতায় ছোঁয়া আছে যুদ্ধের ঘোষণা কিংবা এক বিরাটমুখী এলার্ম।

কবির পৃষ্ঠার ওপর ভিড় করে বসে আছে ভোরের ক্ষিপ্র আঁচ। হয়ত রোদেলা ফসলের মুখ। ধান বা গমের গল্পে উপচে পড়ছে এক অসহায় শ্রেণীর কাতরতা। কবি আঁকছেন হাওয়ায় পরিমিত শোক।

কবি লিখেছেন নিঃসঙ্গ দেয়ালের কথা। যার ভেতর জমে আছে বরফের ক্ষেদ। যেন ঠাণ্ডায় এক ঝাঁক বালিয়াড়ি হাঁস যুদ্ধ বিরোধিতায় গেথে চলেছে চলমান তাঁবু।

কবি জানেন এর শহর তার কাছে বড়ই। যেমনটি নয় দেশ। দেশ শব্দের প্রকৃত মানে কবির কাছে ঠিক পরিষ্কার নয। কবি জানেন হয়ত একদিন স্বাধীনতার অপেক্ষায় পুড়িয়ে দেয়া হবে গোটা শরীর। থেঁতলে দেওয়া হবে হৃদপিণ্ড। নয়তো বুর্জোয়াদের জুতোর ছবি আঁকতে গিয়ে কবি হারিয়ে ফেলবেন নিজের সংগ্রামে অস্তিত্ব।


দেশটার নাম ভারতবর্ষ

অন্ধকার ফাঁকি দিয়ে জ্বলে উঠল ঘর
জমিটা তাদের 
তবুও কবর দেবার মত মিলল না এক মুঠো মাটি
একটা সামরিক শিবির বাজেট তুলে ধরল
ভারতবর্ষ এখানে...

কতগুলো প্রস্তাব জমা পড়েছে
কতগুলো পুড়ে খাক চুক্তির বিল
যারা স্বেচ্ছায় সব ছেড়ে পালিয়ে যাবে 
শুধুমাত্র তাদেরই অধিকার আছে বাচার
কিংবা যারা হাতে হাত রেখে মাটিতে গোড়ালি
এগিয়ে আসবে 
আগুনের গন্ধে 
সুদূর ঝর্ণার দিকে 
তবে তারা সমাজবিরোধী

গল্প বলার অভ্যাস বদলে ফেলা হলো
চোখের সামনে নজির রাখা হল 
ধর্ষণের স্থির মানচিত্র...

এবং বন্দুক হাতে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই
 মানে
তারা আরো বেশি রাষ্ট্রবিরোধী







0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন