কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৮

আরিয়ান রশিদ




চারিদিকে সংসারের গল্প


অতনু বলতে চেয়েছিল তোমার এই অর্জন প্রশংসার দাবীদার, কিন্তু মুহূর্তের অমনোযোগে বলল, ‘আচ্ছা, কেমন করে করলে? 
হাসিমুখে বলা সে কথা বলেই সে দেখল অন্যপ্রান্তের মুখটা আপাত হাসি হাসি উবে গিয়ে ভাবলেশহীন হয়ে গেল!

সম্পর্কের অবনতি শুরু হলো।      

একদিন পর অতনু ফিরে যাবে সিডনিপ্রিয়াকে আজ যে করেই হোক বলতে হবে ওর ভালোবাসার কথা। সারারাত কথাগুলো নানাভাবে সাজিয়ে এখন ক্লান্ত সকাল।

দেখা হলো, বলার কথা, সহজ তিনটি শব্দ! রাজ্যের কথা শেষে, শেষ কথা বললো অতনু, ‘ভালো থেকো!’ আমার বিশ্বাস ছিল ঠিক কথাগুলো বলবে অতনু, কিন্তু...

প্রিয়া ঘাসের উপর আয়েশে বসে বলে, ‘আমাকে আদর করো’ 
অতনু বলে, ‘ক্ষণিকের আদরে আমার কী লাভ?
প্রিয়া বলে, আগামী কোনদিন যখন তোমার বেড়ে ওঠা কেশ লাবণ্যহীন হয়ে পড়বে, তখন এই ক্ষণিকের আদর আর পাবে কি?

ভেজা শার্টটা বারান্দায় রোদে শুকোচ্ছে, জলকণা বাতাসে উড়ে চলে, শুষ্ক হয়ে আসে তার শরীর। আক্ষেপে আদ্রতা গায়ে জড়িয়ে সে বলে, ‘আহা! আর একটুক্ষণ যদি থাকা যেত ভেজা গায়ে!’
দু’টো হাত তখন বন্য হয়ে জাপটে ধরছে সে শুষ্কতা, বাষ্পকণাগুলো ভাবছে, বেঁচে  গেলাম!

ঘুম থেকে ওঠা, একটা সিগারেট, এক মগ কফি, গোসল। চেক চেক! মূঠোফোন, ফেসবুক, ওয়ালেট, চশমা, আবহাওয়া, এবার পথে নামা। রোজকার চাওয়া, রোজকার না পাওয়া, রোজ রোজ সংকল্প, রোজ কত গল্প। রোজ রোজ নেই ভালোবাসা। ওয়াল-মার্ট, বেস্ট বাই, জ্যাজ বার, পেশাজীবি শরীরসেবী, কোথায় আছে? ভালোবাসার ভালো কী, মন্দ কী, সে জানা থাকলে, ডিসকাউন্ট দেবে?  আদরে ডিসকাউন্ট চায় না অতনু, পরশের উষ্ণতা চায় ষোলো আনা ভালোবাসা কোন ঠিকানায় আছে, নেই জানা...

পকেটে হাত দিয়ে ওয়ালেট বের করলো অতনু, আজ ভীষণ ইচ্ছে করছে প্রিয়ার সাথে দেখা করতে প্রিয়া গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছে, আজ ওদের আসর হবে, অস্থায়ী  বাসর হবে, উন্মাতাল চাঁদ রাত, বিজয়া হবে! কিন্ত, একটা মিথ্যে বলতে হলো অতনুকে।
আজ একটা কাজ পড়ে গেলো...
প্রিয়া রাগে ক্ষোভে স্যামসাং-এর ব্যবসা বাড়িয়ে দিলো, ফোন ছুঁড়ে মারল...
অতনু তখন অভয় মিত্রের জাহাজ ঘাটায়, নদীর দিকে তাকিয়ে...  
দূরে নদীতে সন্ধ্যার নৌকা, অরুণ আর প্রিয়ার প্রক্সি দিচ্ছে অন্য অতনু অন্য প্রিয়া...




0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন