নগ্নতা
একপিঠ জ্বলে যাচ্ছে, দগ্ধ তার পোড়া
গন্ধে নাক মুখ দ্রাব স্রাব
তোমার সামনে যে পদ্ম ফুটে ছিল
তা ছিল একটা ম্যাজিক
ফিল্টারের শুদ্ধতায় কতটুকু জীবন কণা পড়ে থাকে?
অসুখ দেহের পাশেই সৃষ্ট হচ্ছে নিরাময় বৃক্ষ।
পত্র পুষ্প মূলের ভেষজ তোমার প্রকৃতিতে ফুটছে তোমার দেহ
তুমি তাতে মৃত্তিকা দিয়েছ, মাটি গন্ধের একটা
নিবাস
তার চোখের আতুরতা দেখেছো।
এক তীব্রতর আলোকতলে তোমায় খুঁটে খুঁটে দেখতে দেখতে প্রজন্ম হারাল
নগ্নতা মেপে মেপে তোমার লাল মুখ হ্রেষা ধ্বনিতে মেতে ওঠে
মাঠের মাঝখানে এক খচ্চর জন্ম নিলো
তুমি তাকেও তোমার আস্তাবলের পাশে স্থান দিলে
আর একদিন এক নতুন ক্লোনে মনের সমস্ত কথাগুলি
আকৃতিগুলি প্রকৃতিকে ছাড়িয়ে
সেই কৃত্রিমতা রয়ে গেল।
মায়াবী
তার মায়াবী হরিণ চোখ ঢেকে নেয়
জাল ফাঁসে যেটুকু রসদ ছিল তা ছিল বাহ্য
তার বুনো ঘ্রাণে ফুটে ওঠে এক অরণ্য
সেই কালশিটে পরা মেয়েটিকে পেয়েছি
এক শাবক ছানার জন্ম গাঁথায়,
কোথাও এক দুর্দম্য রোমশ ভালোবাসার হিংস্রতা জেগে উঠছে
দলিত-মথিত সেই মেয়েটির ভালো লাগা শিকার হয়ে যাচ্ছে।
বিলাপ
বিলাপের উৎস থেকে তাকে খুঁজে পাবে
চৈতন্যে যা কিছু রয়েছে তা নিয়ে একটা মানুষ জন্মায়
দেখাশোনার মাঝখান থেকে গড়ে উঠছে স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিকতা
তার বাইরে তোমার এক চিলতে চরিত্রহীন রেখা।
নতুবা সে মানুষ হবে কি করে?
বৈষম্যতার মাঝে বিচ্যুতি ঘটছে, তাকে তুমি লুকিয়ে
রাখছো
গড়িয়ে যাবার অবস্থায় তুমি তাকে হারিয়ে ফেলছো,
তুমি বললে, কত জন্ম ছড়িয়ে
ছিঁটিয়ে বাসনায় লিপ্ত হচ্ছ--
বাসনাহীন কোন পৃথিবী জন্ম হতে পারে না।
জন্মজন্মান্তর ছুটে যাচ্ছে, একটা বন্ধন তোমার
প্রকৃতিকে ধরে রাখতে চাইছে।
স্বপ্ন ও বাস্তব
টানটান স্বপ্নগুলি বাস্তব হতে হতে মুছে যাচ্ছে
দীঘল জলের প্রতিবিম্ব বার বার ফেটে যাচ্ছে
অস্তিত্ব কতটুকু খুঁজে পাচ্ছ তুমি?
তোমার চৈতন্যের কাঁপে
পৃথিবীর অস্থির ঘূর্ণনের মাঝে তোমার স্থিরতা
রক্ত চাপের মাত্রা টানটান হচ্ছে
শরীরে উঠলে উঠছে যে ভালবাসা
সকালের সতেজ ফুল বিকেলের ঝাঁপিতে রাত্রি হয়ে যাচ্ছে!
ভুলের ফাঁক ফোঁকর গলিয়ে সত্য তন্দ্রায়িত হয়ে
তুমিও প্রচণ্ড ব্যতিক্রমে ফেটে পড়ো ক্লান্তিতে
তেমনি অস্থিরতা স্তিমিত হতে হতে আবার স্বপ্ন।
সে ধর্ষিতার কথা আর স্মরণে আসে না।
|
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন