কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৮

পৃথা রায় চৌধুরী




কন্যা, তোকে বলি  

সর্বাঙ্গে, তোর গোপনতম বোধের অঙ্গে, দাঁত, সূঁচ নিয়ে চলে গেলি মেয়ে। আসিস আবার ফিরে, কোনো সনাতন পিশাচের ধ্বংস হয়ে।

সহস্র মূঢ় গর্ভকে শাপ দিয়ে যা বন্ধ্যাত্বের। ওই দূরে অন্ধকারের পারে সোনালি ডানায় ভর করে তুই ছোট্ট পায়ে নাচ, মেলে দে পেখম।

তোর ঘুমেও যেন স্পর্শ পাস প্রজাপতি ডানার, জাগরণে যেন সাধ করে ছুঁয়ে নিস মায়ামৃগ। বরং তোকে জন্ম দিক কোনো শাপগ্রস্তা হরিণী।

ছুঁতে যেন আর না পারি তোকে...
আমি শেয়াল, আমি শকুন।


দাবাড়ু ও সাদাকালো

চাঁপা গালিচা দেখি, দেখি ঊর্ধ্বমুখী প্রাণকেন্দ্র। ঘুমিয়ে পড়া কোনো দীপ্তির অবয়বে আঁকো শাণিত ফলা। বলয় ভেদ করতে পারার কালে কালো সেই কিংকরের বিদ্যার ধাপে ধাপে জীবন্ত করেছি পদচিহ্ন। ইতিহাসের পাতা তুলে আনার দায় নিয়েছি, নেকড়ের হিংস্রতা প্রসব করে। অমল জোছনার বিদ্রুপে ভেসেছে তিন ফোঁটা পায়রামেঘ।

আমি ভেলা বানাই না এমন গাঙ ধরে। ভেতর বাড়িতে আদিত্যতেজ, জরদৌজি আঁচল কোনো চুল্লি, বুঝেছে অগ্নিসঙ্ঘ। সৌরমণ্ডল নিয়ন্ত্রণের আবেগে নড়ে ওঠে তর্জনী। নির্দ্বিধায় পুড়ে যায় আত্মপট।

হৃদয়ের চার টুকরো হয়েছিলো কোনো শ্রীহীন শবের? দুই হাতের দশ আঙুল নির্জীব ছত্রাকার? এখন তোমরা প্রশ্ন করেই চলেছো, পৃথক পৃথক মূর্ছনায় কিভাবে গাওয়া যেতে পারে ভেঙে পড়া টালির চাল, অকেজো অঙ্গের ভার, সাথে জবানবন্দী এবং ধারা একশো চুয়াল্লিশ।

আমি খুনি, শখের কবি। শুকিয়ে যাওয়া হাতের দেহে এক ইঞ্চি লেগে থাকা ধড়মুণ্ড। মৃত দৃষ্টি দেখে এখন ভাবো... Who unleashed the beast!


সূর্যমুঠি ও বিকিরণ

কে কার শরীর নির্ভর, ঈশ্বরকণা মেয়েমানুষ বিনিদ্র। বসো চতুরাত্মা, বসো নিধনযজ্ঞে। কে পাঠায় ঈশাণ, সেই নন্দিনীর ছায়ায় থাকে মেঘ, তাই না চিন্ময়ী? বানাও দাহ্য পুতুল, জাগাও অবিনাশীর হুঙ্কার। স্তব্ধ অশোকনন্দিনী।

কে খুলে দেয় ভৈরবী নাদের প্রবেশ দ্বার! প্রাচীর দৃশ্যপটে, গড়ে ওঠে গুপ্তঘর। সরে আসে তুমুল যুগান্তরের সৈনিক, ঘিরে ধরে জমাট আগুনে ভাবুক ঈশ্বর। তুমি ঘাট খুঁজে দাও দেবী, বিসর্জন হয় কালো। ভবিষ্যতের বুকে ক্ষীণ লাল রেখাগুঁড়ি বুঝি আতসকাচেও অদৃশ্য।

যে দেহে ধারণ হয় পাতালের টঙ্কার, তার মাতৃকোষে জেগে ওঠে বিজয়। ত্রিকালজ্ঞের পূর্ববর্তীরাও গাঙ্গেয় ভস্ম, বিলীন সহচরবৃন্দ। নবগ্রহের মাঝে যা দেখা যায়, তাই শাশ্বত। অন্ধকারের চলনের ওপর জেদের আলো ভেসে থাকে, ফুটে থাকে সদ্যপ্রাণ শিশির।

মিসলটো নামেই চির আকর্ষণ। প্রথম বরফ আলোচূড়ায় ওড়ে আনন্দকেতন। তৃতীয়াক্ষের আবাহনে ঝলসে ওঠে "কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিং"। অকাল মহালয়ায় লেগে থাকে পুনর্বার অকালবোধন।






0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন