D-‘LINK’
হ্যালো! দাদাভাই... এই জানিস কী হয়েছে?
আমার
সর্বনাশ হয়ে গ্যাছে রে... জাস্ট সর্বনাশ
হয়ে গ্যাছে!
আরে কী হয়েছে?
তোকে, সেই ওয়াই-ফাই-এর
কেসটা বলেছিলাম না - আরে, হচ্ছিল না যে
-
জানিস, ও-টা কেউ হ্যাক
করেছিল। তুই জাস্ট ভাব একবার! কত বড় সাহস ভাব খালি একবার!
হ্যাঁ! কি বলছিস? ওয়াই-ফাই হ্যাক করতে সাহস লাগে না... টেকনোলজি লাগে...
এই শোন, তোর এই ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে ডায়লগবাজিটা না আমাকে আ্যটলিস্ট দিবি না, হ্যাঁ...
Yeah, yeah... i warn you!
নিজে তো অ্যামাজনে চাকরি হাঁকিয়ে বসে আছে, আর মেয়ে পটাচ্ছে...
আরে, থাক-থাক আর ফুটেজ খেতে হবে না ঠিক আছে, তবে হ্যাঁ...
তুই যদি কোনো সাউথ-ইন্ডিয়ান
মেয়েকে বউ করেছিস না, তোকে আমি ধোসার চাটনি বানিয়ে দেবো।
Anyways...
এই দাদাভাই, বল না কিছু -
আমি কোথায় তোকে বলতে দিচ্ছি না?
আচ্ছা ছাড়...
ধূর, তুই শোন না... শোন না... আমার কি মনে হচ্ছে বল তো... এর মধ্যে
একটা বড় কন্সপিরেসি আছে, একটা রহস্য আছে...
অ্যাই দাদাভাই!
কি? কি বললি? না...
না...
What do u mean by ‘Don’t behave
Like Zee Bangla’?
অ্যাই শোন, বাংলা সিরিয়ালকে
সব সময় এত আন্ডার এস্টিমেট করারও কিছু হয়নি, ok?
একদিন ‘আমার দুর্গা’টা
দ্যাখ... অনি-দুর্গার ভালোবাসাটা দ্যাখ একদিন...
Uff! i just love it
শোন তবু তোর মতো তো না। মা-বাবা
ভাবছে, ল্যাপটপ নিয়ে ছেলে আমার প্রোগামিং করছে,
কিন্তু ছেলে যে কি করছে... সে তো... বলব?
বলব?
সাইটগুলো...
তুই আয় এবার, তোর ওয়াচ হিস্ট্রি-র প্রিন্ট
আউটের পোস্টার বের করে দেওয়ালে সাঁটাবো...
অ্যাই তুই রাখ তো ফোনটা...
উফফফ... এই দাদাভাইটা না চাকরি পেয়ে পুরো...
আমাকে এদিকে চাপে ফেলে নিজে দিব্যি বাইরে বসে আছে। এখন ও যাই করুক,
সাত
কেন উনপঞ্চাশ খুনও মাফ হয়ে যায় মা-বাবার কাছে। আমার ইংলিশ অনার্স নেওয়াটা যেন দিন-দিন
ইস্যু হয়ে যাচ্ছে বাড়িতে। তার ওপর ওয়াই-ফাই
হ্যাক। মাথাটা জাস্ট হ্যাং হয়ে আছে।
কিন্তু দাদাভাই হঠাৎ দীপ্তর কথাটা বলল কেন?
শুধুই
কি আমার লেগপুল করবে বলে, নাকি কোনো ক্লু
দিতে চাইল?
দীপ্ত... ব্যানার্জ্জী
কাকুর ছেলে
হুমমমম... ভাবতে হচ্ছে...
-দীপ্ত তোর সাহস তো কম নয়! তুই আবার আমাকে দেখে শিস্ দিচ্ছিস!
=সাহসের আর দেখলি কোথায়?
-কি? যা বলবি জোরে
বল...
=বলছি, কাকিমা তোর বিয়ে-টিয়ে
ঠিক করল নাকি রে? আজ হঠাৎ ছাদে জামা-কাপড় মেলতে
এসছিস যে! নাকি আমাকে দেখার অজুহাত? হুম?
-এই শোন, একদম বাড়াবাড়ি
করবি না, ঠিকাছে! আমার বাড়ির ছা্দ, আমি যখন যা ইচ্ছে
তাই করব। তাতে তোর কি, হ্যাঁ?
হুঁ...
যত্তসব...
= ঝগরুটি কোথাকার!
-ভালো, তোর কি তাতে? তুই
তো ডাকাত! তুই আমার ওয়াই-ফাই হ্যাক করেছিলিস
কেন?
= আ...মি...ই!
এই দ্যাখ মিঠাই, আমার কাদা মনে সাদা নেই... এই
সরি, মানে সাদা মনে কাদা নেই...
-তুই অস্বীকার করতে পারবি যে, তুই হ্যাক করিসনি?
= না মানে... হ্যাঁ... অ্যাই দেখ তুইই
তো ওয়াই-ফাইএর নাম দিয়ে রেখেছিলিস ‘ভদ্রভাবে
চুরি করুন’, তাই আমিও...
-ওহহহ i see, i see... তার
মানে তুইই... হ্যাঁ? আমি তো জাস্ট অন্ধকারে একটা ঢিল ছুঁড়েছিলাম,
সেটা যে এইভাবে...! দাঁড়া, আমি আজই কাকুকে বলব!
=এইইই... নাহহহ্
... প্লিজ! আচ্ছা বেশ করব না আর হ্যাক, পাসওয়ার্ডটা বল।
-কেন বলব? তুই আমার কে
হোস?
=ওলে বাবা লে!
তাহলে
কিন্তু বাবু আমি আবার হ্যাক করব!
-দীপ্ত না... প্লিজ!
আমি
কিন্তু তোকে জাস্ট মেরে ফেলব! কি হল... এটা
কি?
=কাগজের প্লেন...
ওখানে
দ্যাখ আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটা আছে। একটা
পিং করে পাসওয়ার্ডটা বলে দিস, কেমন? তারপর দ্যাখ... হ্যাক
করা কাকে বলে...
-মানে?
=কিছু না।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন