নিরুদ্দেশ
(১)
বুবুন আমায় চেনে না। তাই বুবুনের সাথে আমার কোনো ভালো বা মন্দবাসা তৈরিই হল না। আমি টুকিটাকি বাগান করি। ফুলের বাগানে তালগাছ পুঁতি, ফলের বাগানে, হাস্নুহানা। সাত সালে যেবার খুব গরম, আমি রিপ ভ্যানের সাথে পাহাড়ে বেড়াতে গেছিলুম। চোদ্দোতে ফিরে এসে দেখি সব সাদা বেমালুম। রাত শেষে যতটুকু চাঁদের আশ্বাস, সেখানে আমি নিজের জায়গা করে নিতে গিয়ে, টের পাই - তালগাছ খুব লম্বা। আর হাস্নুহানা থাকলে সাপ আসে। বুবুন আমায় আজও চেনে না। আমি সাপ খুঁজে বেড়াই। তালগাছ দেখি। কাটা ঘুড়ি আটকে ছটফট করলে বলি স্বভাব দোষ। একটা গোটা দশক চলে গেলেও বুবুন আমায় চেনেনি। রিপ ভ্যানের সাথে আবার পাহাড়ে যাবার আগে এই কটা কথা লিখে গেলাম। চাঁদ উঠলে, আশ্বাস ভারী হয়ে এলে, যদি ফিরি আবার, বুবুন তখনও চিনবে না আমায়। যেমন চেনেনি কেউ মালতী বৌদিকে। ভোর রাতে জানলা খুলে যার ঝুলন্ত পায়ে লেগেছিল প্রথম সুর্যের আলো!
(২)
কোকো ইয়াসমিনের কথা বলা হয়নি তোমায়। সে চললে, পেছনে কুকুরের ছায়া পড়ত, কেন কে জানে! ইস্কুলগুলো তখনও ইস্কুল নয়। অফিসগুলো চেয়ার আর টেবিল সর্বস্ব, সে সব দিনে চৈতালি বাতাস বইত বিকেল হলেই। সেই যেবার রবি ঠাকুর নোবেল পেলো, কোকোর দাদু সেই একই বছরে সংসার থেকে পালিয়ে চলে যায় কোন দূর দেশে। তারপর যা হয়। কাগজে কাগজে বিজ্ঞাপন, থানা পুলিশ। কোকোর দিদিমা আবার বিয়ে করতে চান। কিন্তু হয়ে ওঠে না। যেমন রবি ঠাকুর শান্তির নিকেতন গড়ে কি প্রবল অশান্তিতেই... আর পূবদিকে তখন মৃত্যুর মিছিল। তবু কোকো বড় হয়েছে। হয়েছে মানে শরীরে, মনে কি’না জানা যায় না। তবে বেশ নাম আর ডাক। কেবল কুকুরের ছায়াটা পেছন ছাড়ে না। এ হেন সময়ে বঙ্গদেশে বাড়ি থেকে পালিয়ে, ঋত্বিক ঘটক... কোকো আর ঋত্বিকে তেমন যোগসূত্র নেই। যেমন তোমার বা আমার। তবু আমি লিখি, আর তুমি ইচ্ছে না হলেও পড়। যা বলছিলাম অফিসগুলো আজও টেবিল আর চেয়ার। ইস্কুলগুলো কেবল 'ই' দুর্বলতা কাটিয়েছে মাত্র। বাইরে বাতাস বয়। কৃষ্ণ বা রাধাচূড়া ফোটে। বসন্ত থেকে বসন্তে আমরাও বেঁচে থাকি কেবল কুকুরের ছায়াকে সঙ্গী করে। কেবল আমি নিরুদ্দেশ হলে বিজ্ঞাপন টিজ্ঞাপন হবে, এসব ভেবে আমি নিরুদ্দেশেও যাই না। কেবল প্রতীক্ষা করি, কোকোর দাদু বা রবি ঠাকুর হয়ত আবার বেঁচে উঠবেন। আর তখন সংসারগুলো সাজানো বাগান হয়ে উঠবে আবার, যেমনটা ভেবে সারাটা জীবন কাটিয়ে দেয় আমাদের মায়েরা।
কোকো ইয়াসমিনের কথা বলা হয়নি তোমায়। সে চললে, পেছনে কুকুরের ছায়া পড়ত, কেন কে জানে! ইস্কুলগুলো তখনও ইস্কুল নয়। অফিসগুলো চেয়ার আর টেবিল সর্বস্ব, সে সব দিনে চৈতালি বাতাস বইত বিকেল হলেই। সেই যেবার রবি ঠাকুর নোবেল পেলো, কোকোর দাদু সেই একই বছরে সংসার থেকে পালিয়ে চলে যায় কোন দূর দেশে। তারপর যা হয়। কাগজে কাগজে বিজ্ঞাপন, থানা পুলিশ। কোকোর দিদিমা আবার বিয়ে করতে চান। কিন্তু হয়ে ওঠে না। যেমন রবি ঠাকুর শান্তির নিকেতন গড়ে কি প্রবল অশান্তিতেই... আর পূবদিকে তখন মৃত্যুর মিছিল। তবু কোকো বড় হয়েছে। হয়েছে মানে শরীরে, মনে কি’না জানা যায় না। তবে বেশ নাম আর ডাক। কেবল কুকুরের ছায়াটা পেছন ছাড়ে না। এ হেন সময়ে বঙ্গদেশে বাড়ি থেকে পালিয়ে, ঋত্বিক ঘটক... কোকো আর ঋত্বিকে তেমন যোগসূত্র নেই। যেমন তোমার বা আমার। তবু আমি লিখি, আর তুমি ইচ্ছে না হলেও পড়। যা বলছিলাম অফিসগুলো আজও টেবিল আর চেয়ার। ইস্কুলগুলো কেবল 'ই' দুর্বলতা কাটিয়েছে মাত্র। বাইরে বাতাস বয়। কৃষ্ণ বা রাধাচূড়া ফোটে। বসন্ত থেকে বসন্তে আমরাও বেঁচে থাকি কেবল কুকুরের ছায়াকে সঙ্গী করে। কেবল আমি নিরুদ্দেশ হলে বিজ্ঞাপন টিজ্ঞাপন হবে, এসব ভেবে আমি নিরুদ্দেশেও যাই না। কেবল প্রতীক্ষা করি, কোকোর দাদু বা রবি ঠাকুর হয়ত আবার বেঁচে উঠবেন। আর তখন সংসারগুলো সাজানো বাগান হয়ে উঠবে আবার, যেমনটা ভেবে সারাটা জীবন কাটিয়ে দেয় আমাদের মায়েরা।
আর তখন সংসারগুলো সাজানো বাগান হয়ে উঠবে আবার যেমনটা ভেবে সারাটা জীবন কাটিয়েছেন আমাদের মায়েরা----- ঠিক এমন একটি বাক্য লিখতে চাই তমাল দা।
উত্তরমুছুনহৃদয় খুঁড়ে লেখা
আর তখন সংসারগুলো সাজানো বাগান হয়ে উঠবে আবার যেমনটা ভেবে সারাটা জীবন কাটিয়েছেন আমাদের মায়েরা----- ঠিক এমন একটি বাক্য লিখতে চাই তমাল দা।
উত্তরমুছুনহৃদয় খুঁড়ে লেখা