কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭

জাকির হোসেন স্মৃতিজিৎ

ভেড়ার রচনা

ভেড়ার রচনা লিখতে বসলে
বড়ো বড়ো চারণক্ষেত্র চোখে ভাসে
অনেক রাস্তাকে গিলে খাওয়ার মতো ডাগর পেট
এমনকি অজগর রাজপথও এসে উগরে দেয়
অগণিত ভেড়া
তাদের শিং বেঁধে রাখা স্মারকচিহ্ন ওড়ে
সবুজ লাল গেরুয়া আর নানান ইস্তেহার

অবশ্য দিনক্ষণ ঠিক করে রাখে রাখালেরা
চারণযোগ্য ভূমি কমে যাওয়ায়
একেকদিন একেক রঙের স্মারকপত্রধারী ভেড়াদের প্রবেশ নির্দিষ্ট থাকে

ভেড়ার রচনা লিখতে বসলে
বড়ো বড়ো চারণক্ষেত্র চোখে ভাসে
এই সব ভেড়াদের মাঝে মোহ এসে আমাকেও
ধরে নিয়ে যায়
মোহ গড়ে, মোহ ভাঙে
কিন্তু চারণভূমি শূন্য থাকে না

আর রাখালের উচ্চকণ্ঠে বুঁদ হয়ে থাকে
সমস্ত মাঠ
মাঝে মাঝে নিবিষ্ট ভেড়াদের পা-তালিতে মুখর
হয়ে ওঠে চরাচর
পরদিন খবর হয়ে ওঠে রাখালের রাজপাঠ...


শীতের তোয়াক্কাহীন আঙিনায়

বারবার আতস কাচের নীচে রাখি
ভাগ্যের তুলো
আমাদের চোখের দৃষ্টগ্রাহ্যতাকে নিয়ে
তার মস্করা কে না জানে
বুদ্ধির স্থুল সুতোয় তাকে বেশিদূর ওড়াতে পারি না

আতস কাচ আর কল্পনার কানামাছি
ছুটতে থাকে তার অনির্দিষ্ট পথে
আজ বা কাল
কাল বা পরশু
তুলোর মধ্যেকার বীজ -- আমাদের বিশ্বাসের কালো বিন্দু
কোন পবিত্র মাটিতে পড়ে অঙ্কুরিত হবে
কল্পনা দ্রুত ডালপালা ছড়িয়ে
বাড়তে থাকবে সুরম্য বরষায়
শীতের তোয়াক্কাহীন আঙিনায়

                

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন