কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭

শাশ্বতী সান্যাল

ভিখিরি


()

এখন খিদের কথা, যৌনতার কথা
কত অনায়াসে বলে। পাত পাড়ে লঙ্গরখানায়

সহজে না পেলে হাত কামড়ে ধরে। শ্বাপদের মতো

বমি ও বিষ্ঠার লোভে ডাস্টবিনে আর ঘোরে না সে।

ছেঁড়া কাপড়ের নীচে হাঘরে কবিতা
কীরকম চিনে গেছে দেখো - তোমার গায়ের গন্ধে
একটু গরম ভাত, একটা ঠিকানা।

()

স্ট্যাচুর বাঁপায়ে ছিল সোনালি রিবন বাঁধা জুতো
ডান পা সবুজ ঘাসে...

এসব দেখেনি কেউ। অন্ধকার গলিটির মুখে
শুধু জেগে আছে একটা হলুদ মলাট

ঘাসের ভেতর থেকে এনামেল থালা হাতে কারা উঠে আসে?

খিদে, সেই সংবিধান
যার সামনে প্রতিটি জীবিত কবি মাথা নামিয়েছে...


ডাস্টবিনের কবিতা

অতিরিক্ত চর্বি নিয়ে খোঁটা দিলে রাগ করবেন না মশাই। চর্বি কিন্তু স্নেহজাতীয়। সেই স্নেহ, যা আপনি মায়ের দুধে পেয়ে গেছেন জন্মসূত্রে। ডাস্টবিনের সামনে ঘেয়ো কুকুরের মতো কামড়াকামড়ি করতে হয়নি।  মধ্যযামে ছিঁড়ে নিতে হয়নি রক্তাক্ত অন্যের উরু...

বড়রাস্তার মোড়ে ভিখিরিটার দিকে কখনো তাকিয়েছেন? ও সারা শরীর দিয়ে মাটি ঘষে, মনে হয় বীজ বুনতে চায়। একটা এনামেলের থালায় আর কতটা ভিক্ষে ধরে  বলুন। ক্রমাগত মাইলো খেতে খেতে বস্তির শিশুরাও ভাতের গন্ধ ভুলে গেছে। 

রাগ করবেন না মশাই। আপনি তো জানেনই সামন্ততান্ত্রিক গ্রহে সুষম বন্টন এক হাস্যকর চতুষ্পদ, যখন তখন যার লেজ মুচড়ে ঠাট্টা করা যায়।


মেটামরফোসিস

ধর্মীয় মেরুকরণে যারা বিশ্বাস রেখেছিলো, আপনি তাদের কেউ নন

কিন্তু, আপনি তো গ্রেগরি সামসাকে চিনতেন
দেখেছেন, কীভাবে একটা পোকা
মানুষের খুলির মধ্যে ধীরে ধীরে
বড় হয়ে ওঠে

আর শিক্ষা নামক সমস্ত 'হিট'  তার বিরুদ্ধে
ক্রমাগত গুলি চালাতে চালাতে
একসময় নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।









0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন