ঝুরোকবিতা সিরিজ
(৮২)
ছায়া শিবিরের পাশেই আমার
ছায়াবাড়ি
সমুদ্র এখান থেকে প্রায়
দু’কিলোমিটার দূরে
তবু মাঝে মাঝেই সমুদ্র
এসে ঘুরে যায়
সকাল সন্ধ্যায়
বাতাসে ছড়ায় নোনাস্বাদ
নোনাজলে গভীর হয়
নোনাপুকুর
ছায়া শিবিরের পাশে
ছায়াবাড়িতে বসে আমি লিখি
সমুদ্রের সেই নোনা
ইতিহাস
(৮৩)
একটা কথা বলা হলো না
কদমতলায় বাঘের ভয়ে
আর একটা কথা না বলাই
ভালো শিয়ালরাজার বাঁশবনে
তোমাকে আমি যে আঙটি
দিয়েছিলাম
ক্যাওড়াতলায়
সন্ধ্যেবেলায়
তুমি ভাবতেই পারো ওটা
আসলে ঝেড়ে দেওয়া মাল
লাটাই লাটাই লাটাই আর কত
সুতো ছাড়বি রে তুই
পশ্চিমের হাওয়ায় উড়ে উড়ে
আসছে ভূতের সামিয়ানা
তুমি তো রাতকানা
দিনের আলোয় তবে কেন
দেখেও দেখো না আমায়
(৮৪)
তারপর একটা হ্যান্ডব্যাগ
লেগব্যাগ আর ল্যাপটপ
ভানুকাকা চললেন
ভানুকাকীর বাপের বাসায়
আর সেই যে
একটানা শালা সূর্যমৌলির কথকতা
এখন ক’টা বাজল
কাকু ট্রেন আসতে বড্ড লেট করছে
এভাবে ডেলি
প্যাসেঞ্জারী বুঝলেন মাইরি আর পোষায় না
আদা নুন জল
খেয়ে সবাই খুঁজে মরে চুলকানির আস্তানা
ঘুঙুরতলায়
ঘুঙুর বেজেছে তো সেই কবেই
এবার তাহলে
একলৌতা শালার বউ চন্দ্রকলা
৮২ নম্বর টা সবচেয়ে ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুন