কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আসমা অধরা

ক্ল্যাপস ফর আ অলরাউণ্ডার


উঠোন জুড়ে উড়তে থাকা প্রজাপতির ছায়া নেচে বেড়ায়, তার পেছন ছুটতে ছুটতে লজ্জাবতী  কাঁটা চিরে দেয় সেই, সে-ই একদা সুস্থ পদতল। ঠিক তখনি বেজে ওঠে এক পাগলাঘন্টা; 'পালিয়েছে ফের' - বলেই মুচকি হেসে মাথার ঠিক উপরে চলে আসে সূর্য। হন্যে হয়ে খুঁজি নিজের ছায়া, নিজের চারপাশে দু'হাত ছড়িয়ে চরকি ঘোরা হয়ে আঁকতে থাকি বৃত্ত। মন বিড়বিড় করে এক হোয়াইট মার্কার বোর্ডের গোটা হরফে লিখে রাখা উলম্ব বোধ। ছায়া গো! আরো উদগ্র হয়ে থাকো বুকের ভেতরে স্ব-অহম কেমন ক্ষ্যাপা হয়ে খোঁজে সেই রঙিলা ফানুস, হুশের সমাচার, এক  পিদিমের পুড়ে যাওয়া সলতে। অথচ যে আহুত আগুন পুড়িয়ে দ্যায় সব, তার জন্যেও  নিয়মিত তেল ঢেলে ঢেলে উজ্জীবিত করতে হয় তাকে, এর নাম উপাসনা বুঝি! এইসব ফেমিনিন ছায়ারা বড্ড অস্থির, স্থিরতম নোঙরের গিঁট খুলে কোথায় কোন সমুদ্রের তলদেশ ভারী করে আছে যে বস্তু খুঁজে পাওয়া যায় না, তাকে কী বলে   ডাকি? ঈশ্বর, পরাবাস্তব নাকি অধিবাস্তব! নিজেকে সুপ্রাচীন শিলাখন্ডের মতো নিস্তব্ধ,  সুনসান লাগে, এই গ্রহে একটিও কথা বলা সবজান্তা বৃক্ষ নেই! এই সমস্ত তালাশেরা খুব নৈঃশব্দ্য জানে, মুখে কুলুপ এঁটে থাকে প্রজ্ঞাবান শতবর্ষীয় বট, আর তখন কোথা থেকে এক অতিকায় ফ্যালকন উড়ে আসে - টেনে নিয়ে যায় কুয়াশার চাইতেও অধিক ঝাপসা মর্ত্যের গহীন পাতালে, যেখানে ক্লান্তি, জরা, বৈকল্য ও প্যারানরমাল অস্তিত্বেরা মিলেমিশে এক অতিকায় পাণ্ডুলিপিতে লিখে যায় ভিজিটর'স অ্যাকটিভিটিজ। এই সব দিনরাত্রির মাত্র কিছু উত্তর নিয়ে ছুটে আসো, বিড়বিড় করে মন্ত্রের মতো ঢেলে দাও কর্ণকুহরে, ছুঁয়ে দাও উদগ্রীব অস্তিত্বের ব্যাকুলিত অভ্যন্তর। একবার জেনে নিয়ে মরে যাবার সময় বিধাতা বলেই মেনে নিয়ে, সে তুমি যেই হও - মানবগোত্রীয়, প্রেতাত্মা অথবা নুরের ফারিশতা - এসো, নেমে এসো এই মর্ত্যে, ধরায় একটিবার। পরম বলে কেবল একটা ক্ল্যাপস বাজাবে বলে হাত দুটো অধীর প্রতীক্ষায়... এসো!

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন