অন্ধ
কিছুই দেখিনি আমি, পেছনে দাঁড়িয়ে
শুধু নদী পার হই
বুঝি এ অতিক্রম, জল গভীর হলে আয়না হয়ে যায়
তাতে লুকানো থাকে ছবি, নিজেদের অথবা অন্য কারোর
সেসব চিনতে নেই, যেমন ডিঙোতে নেই ভেজা চৌকাঠ
শ্রাবণ আসার ঠিক একদিন আগে, অলিতে গলিতে মায়ায়
শুনেছি অন্ধ হলে কারো কারো মুখ এভাবেই নদী হয়ে যায়।
বুঝি এ অতিক্রম, জল গভীর হলে আয়না হয়ে যায়
তাতে লুকানো থাকে ছবি, নিজেদের অথবা অন্য কারোর
সেসব চিনতে নেই, যেমন ডিঙোতে নেই ভেজা চৌকাঠ
শ্রাবণ আসার ঠিক একদিন আগে, অলিতে গলিতে মায়ায়
শুনেছি অন্ধ হলে কারো কারো মুখ এভাবেই নদী হয়ে যায়।
২৭শে
ডিসেম্বর
অন্য সব জল যা পায়ে মেখে আছ, কথা নেই
গায়ে হাত তুলতো তবু জড়িয়ে ধরলে
সে উড়ান
পাঁচিল ডিঙোনো কিছু লুটপাট
ঘরের ভিতর
ভুল বুঝে বৃষ্টি হয়ে গেলে, কী হবে তোমার বল? জান।
কে আদর করত, কে মাথায় হাত বুলিয়ে দিত?
সাইকেলে কে নামাত মেঘ, চুড়িদারে জোছনা, ম্যাজিক
তোকে ভালোবাসবার সমস্ত উইলে,
সে এসে একটি বার সই করে দিক
বাকি জীবন ভূত হয়ে ঘাড়ে বসে
থাকব আমি তোর
সোম মঙ্গল বুধ বৃহস্পতি শুক্র শনি
রবি - রাত্রি থেকে ভোর
কলম্বাস
শিখতে গেলে আসতে হবে মেয়ে
বুঝতে হলে মাপতে হবে জ্বর
মাস্তুল আর দূরবিনে চোখ রেখে
খুঁজতে হবে সমুদ্রে বন্দর
সবার আগে চিনতে হবে দিক
ডিসেম্বরে বিপন্ন চারপাশ
তোর শরীরে জাহাজ নোঙর করে
ক্লান্ত এখন বৃদ্ধ কলম্বাস
বিশ্বাস
অথচ কী বিশ্বাসে পরজন্মের কথা
ভাবি
হয়তো অন্য কোনো দেশে একা একা
পড়তে যাচ্ছ
হাজার মাইল দূরে, তোমাকে চিনি না, শুধু জানি
দেখা তো হতেই হবে, এই যে হাতের তালু, রেখা
ওরা তো বলেছে এরকম ঘোলাটে নদীর
সেই জল
যার পাশে বসে আছ তুমি, জানি না কী নামের শহর
শুধু কোনোদিন বৃষ্টি হলে দরজা
খুলে বাইরে এসে দেখ
কেউ বলে কিনা, “ভিজিস না মেয়ে ঠাণ্ডা লেগে যেতে
পারে তোর”
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন